গত বছর চরম অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়ে দ্বীপদেশ শ্রীলংকা। অসহনীয় মূল্যস্ফীতির চাপে নাভিশ্বাস উঠে যায় দেশটির মানুষের। জ্বালানি ও রিজার্ভ সংকটে দেউলিয়া হয়ে পড়ে দেশটি। অর্থনৈতিক সংকট কাটাতে তাই আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দ্বারস্থ হয়। শ্রীলংকার মতো চরম পর্যায়ে না গেলেও গত বছর থেকেই সামষ্টিক অর্থনীতির নানামুখী সংকটে বাংলাদেশও। অর্থনীতিকে নাজুক অবস্থানে ঠেলে দিয়েছে মূল্যস্ফীতির বাড়বাড়ন্তের পাশাপাশি রিজার্ভ সংকট। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ আইএমএফের দ্বারস্থ হয়েছে। এরই মধ্যে দুই দেশের অনুকূলে ঋণের প্রথম কিস্তির অর্থ ছাড় করেছে আইএমএফ। সংস্থাটির পর্ষদে দুই দেশের জন্য দ্বিতীয় কিস্তির অর্থছাড়ের প্রস্তাব উত্থাপিত হতে যাচ্ছে আগামী মঙ্গলবার।
এর আগে চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ প্রস্তাবে অনুমোদন দেয় আইএমএফের পর্ষদ। সাত কিস্তিতে ৪২ মাসে এ ঋণ পাওয়ার কথা রয়েছে। ঋণের গড় সুদের হার ২ দশমিক ২ শতাংশ। গত ফেব্রুয়ারিতে আইএমএফের কাছ থেকে ঋণের প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার বুঝে পেয়েছে বাংলাদেশ। গোটা প্যাকেজে দুই ধরনের ঋণ রয়েছে। এর মধ্যে বর্ধিত ঋণ সহায়তা বা বর্ধিত তহবিল (ইসিএফ অ্যান্ড ইএফএফ) থেকে পাওয়া যাবে ৩৩০ কোটি ডলার। রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটির (আরএসএফ) আওতায় পাওয়া যাবে ১৪০ কোটি ডলার। ২০২৬ সাল পর্যন্ত এ ঋণ কর্মসূচি চলাকালীন বাংলাদেশকে বিভিন্ন ধরনের শর্ত পরিপালন ও সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে হবে। ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ডলার ছাড়ের বিষয়ে মঙ্গলবার আইএমএফের পর্ষদ সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
ঋণ পাওয়ার জন্য আইএমএফ বাংলাদেশকে কোয়ান্টিটেটিভ পারফরম্যান্স ক্রাইটেরিয়া (কিউপিসি) বা পরিমাণগত কর্মসক্ষমতার মানদণ্ড, ইন্ডিকেটিভ টার্গেটস (আইটি) বা নির্দেশক লক্ষ্য এবং স্ট্রাকচারাল বেঞ্চমার্ক (এসবি) বা কাঠামোগত মাপকাঠি পূরণের শর্ত দিয়েছে। এর মধ্যে নিট ইন্টারন্যাশনাল রিজার্ভ (এনআইআর), প্রাইমারি ব্যালান্স ও এক্সটার্নাল পেমেন্টস এরিয়ার্স সংক্রান্ত শর্তগুলো কিউপিসির আওতাভুক্ত। নিট রিজার্ভ-সংক্রান্ত শর্ত এখনো পূরণ করতে পারেনি বাংলাদেশ। নির্দেশক হিসেবে কর রাজস্ব, সামাজিক খাতে সরকারের ব্যয় ও সরকারের মূলধনি বিনিয়োগসংক্রান্ত কিছু লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল আইএমএফ। লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে সংগতিপূর্ণভাবে রাজস্ব আহরণ করতে পারেনি এনবিআর।
আইএমএফের শর্তে গত জুনের মধ্যে কর-জিডিপির অনুপাত দশমিক ৫ শতাংশ বাড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ, বিপিএম৬ অনুসারে রিজার্ভের হিসাবায়ন, বাজারভিত্তিক বৈদেশিক মুদ্রার দর নির্ধারণ, ব্যাংকের পাইলট রিস্কভিত্তিক নজরদারির কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও দুর্দশাগ্রস্ত ঋণের তথ্য প্রকাশের কথা বলা হয়েছিল। এছাড়া জুলাইয়ের মধ্যে সুদহারে করিডোর পদ্ধতি গ্রহণেরও শর্ত দিয়েছিল সংস্থাটি। শর্ত ছিল সেপ্টেম্বরের মধ্যে সংসদে ব্যাংক কোম্পানি আইনের সংশোধন ও ফাইন্যান্স কোম্পানি আইনের খসড়া জমা দেয়ারও। এছাড়া সেপ্টেম্বর শেষে জলবায়ু ও সবুজ উদ্যোগকে সংহত করতে টেকসই সরকারি কেনাকাটার নীতি গ্রহণ ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের শর্ত ছিল। ঋণ কর্মসূচিতে চলতি ডিসেম্বরের মধ্যে জ্বালানি পণ্যের দাম সমন্বয়ে সময়ভিত্তিক মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি নির্ধারণেরও শর্ত দেয়া হয়েছিল।
আইএমএফের এশীয় ও প্যাসিফিক বিভাগের প্রধান রাহুল আনন্দের নেতৃত্বে গত ৪ থেকে ১৯ অক্টোবর বাংলাদেশে সংস্থাটির রিভিউ মিশন সম্পন্ন হয়। মিশন শেষে বাংলাদেশ ও আইএমএফের কর্মকর্তারা মতৈক্যে পৌঁছান। পরে রাহুল আনন্দ তার বিবৃতিতে বলেন, ‘আইএমএফের ঋণ কর্মসূচির আওতায় কাঠামোগত সংস্কারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ উল্লেখযোগ্য সংস্কার করেছে। কিন্তু চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। বিদ্যমান ঝুঁকি এবং বিশ্বব্যাপী আর্থিক খাতে ক্রমাগত সুদহার বৃদ্ধির সম্মিলিত প্রভাবে সামষ্টিক অর্থনীতির ব্যবস্থাপনা চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়েছে। এর ফলে চাপে পড়েছে স্থানীয় মুদ্রা টাকার বিনিময় হার ও বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ। এ অবস্থায় স্বল্পমেয়াদি নীতি অগ্রাধিকারে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, নাজুক জনগোষ্ঠীর ওপর এসব অর্থনৈতিক দুর্বিপাকের প্রভাবকে সহনীয় করা এবং বহিস্থ প্রভাবকের অভিঘাত মোকাবেলায় সহনশীলতা তৈরিতে জোর দিতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গত ৪ অক্টোবর গৃহীত নীতি সুদহার ৭৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। পরবর্তী সময়ে ক্রমান্বয়ে কঠোর আর্থিক ও মুদ্রানীতি গ্রহণ এবং বিনিময় হারকে আরো বেশি নমনীয় করা হলে তা সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করবে।’
বাংলাদেশের জন্য আইএমএফের ঋণ অনুমোদন করা হয় গত জানুয়ারিতে। সে সময় বাংলাদেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি পয়েন্ট টু পয়েন্ট বেসিসে ছিল ৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ, যা গত নভেম্বর শেষে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৪৯ শতাংশে। এর মধ্যে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশ ও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ। জানুয়ারিতে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ ছিল ৩২ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলার, যা গত নভেম্বর শেষে কমে ২৪ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। অবশ্য আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম৬ অনুসারে বাংলাদেশের রিজার্ভ এখন আরো কম। গত ৬ ডিসেম্বর বিপিএম৬ অনুসারে বাংলাদেশের রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলারে। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী বাংলাদেশের নিট ইন্টারন্যাশনাল রিজার্ভ বা (এনআইআর) সংরক্ষণেরও শর্ত রয়েছে। এ হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের রিজার্ভের পরিমাণ এখন ১৬ বিলিয়ন ডলারের মতো হওয়ার কথা। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক এ-সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করে না।
শর্ত অনুযায়ী বাজার নিয়ন্ত্রণের সুদহার কিছুটা বাড়ানো হলেও তা এখনো মূল্যস্ফীতিতে লাগাম টানতে যথেষ্ট নয় বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তাদের ভাষ্যমতে, মুদ্রার বিনিময় হার এখনো পুরোপুরি বাজারভিত্তিক হয়নি। ফলে খোলাবাজারে (কার্ব মার্কেট) ডলারের বিনিময় হারে বড় ধরনের ব্যবধান থেকে যাচ্ছে। এতে আনুষ্ঠানিক চ্যানেলে রেমিট্যান্স আহরণ নিরুৎসাহিত হচ্ছে।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ডিস্টিংগুইশড ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বণিক বার্তাকে বলেন, ‘আইএমএফের ঋণ কর্মসূচির আওতায় যেসব প্রতিশ্রুতি বা শর্ত ছিল সেগুলোর মধ্যে বড় দুই-তিনটি আমরা পূরণ করতে পারিনি। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আহরণ ও বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ সংরক্ষণ করতে পারিনি। ব্যাংক খাতের সংস্কার, বিভিন্ন ধরনের নীতি সংস্কার বিশেষ করে সুদহার ও টাকার বিনিময় হার পুরোপুরি বাজারভিত্তিক করার বিষয়েও আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেইনি। খুবই শ্লথগতিতে ও ভেঙে ভেঙে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। অন্যদিকে শ্রীলংকা যেভাবে সংস্কারের পক্ষে জোরালোভাবে দাঁড়িয়েছে এবং তার পেছনে যে রাজনৈতিক সমর্থন তারা পেয়েছে, আমাদের ক্ষেত্রে সেটি অনুপস্থিত। উপরন্তু রিভিউ মিশনের সময় কর্মকর্তা পর্যায়ের আলোচনায় বিভিন্ন লক্ষ্যমাত্রাকে আমরা আরো নিচে নামিয়ে আনার বিষয়ে তাদের সম্মতি নিয়েছি। শ্রীলংকা যখন প্রতিকূল পরিস্থিতি থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে বৈদেশিক মুদ্রায় ঋণ ফেরত দিচ্ছে, বৈদেশিক মুদ্রার মজুদকে আরো উন্নত করছে, মুদ্রার বিনিময় হারকে স্থিতিশীল করছে; সেখানে আমরা বিভিন্ন ধরনের ঋণ পরিশোধের জন্য আরো ঋণ করছি। সাম্প্রতিক সময়ে সিপিডির আমন্ত্রণে শ্রীলংকার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর বাংলাদেশে এসেছিলেন। সে সময় তিনি দুটি কথা বলেছেন। একটি হচ্ছে ঋণ করে ঋণের টাকা শোধ করা উচিত নয়। তাহলে সংশ্লিষ্ট দেশ একটা বড় ধরনের ফাঁদে পড়ে যায়। বাংলাদেশ সেদিকেই এগিয়ে চলেছে। আরেকটি কথা তিনি বলেছেন যে এ ধরনের ক্রান্তিকালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ স্বাধীনতা যতটা না কাগজপত্রে থাকে তার চেয়ে বেশি থাকা প্রয়োজন নির্বাহীদের মনের মধ্যে। তারা স্বাধীনভাবে, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ও প্রভাব ছাড়াই দেশের স্বার্থে পেশাদারত্বের সঙ্গে নীতি প্রণয়ন করতে পারেন কিনা, সেটি বড় বিষয়। আমার মনে হয় আমরা দুই দিক দিয়েই পিছিয়ে আছি।’
এ বছরের ২০ মার্চ আইএমএফের পর্ষদ শ্রীলংকার জন্য ৪৮ মাস মেয়াদে ৩০০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচি অনুমোদন করে। এরই মধ্যে এ ঋণের প্রথম কিস্তির ৩৩ কোটি ৩০ লাখ ডলার পেয়েছে দেশটি। দ্বিতীয় কিস্তির ঋণের জন্য গত ১৯ অক্টোবর আইএমএম ও শ্রীলংকার কর্মকর্তারা মতৈক্যে পৌঁছেছেন। আইএমএফের পর্ষদের অনুমোদন পেলে দ্বিতীয় কিস্তিতে ৩৩ কোটি ডলার পাবে শ্রীলংকা। এরই মধ্যে আইএমএফের শর্ত মেনে ব্যাপক সংস্কার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে শ্রীলংকা। দেশটির মূল্যস্ফীতি ও রিজার্ভ পরিস্থিতির অভাবনীয় উন্নতি হয়েছে। এ বছরের জানুয়ারিতে শ্রীলংকার মূল্যস্ফীতি ছিল ৪৫ দশমিক ৬০ শতাংশে। সেখান থেকে গত অক্টোবর শেষে দেশটির মূল্যস্ফীতি ১ দশমিক ২০ শতাংশে নেমে এসেছে। জানুয়ারি শেষে শ্রীলংকার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ২ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার, যা গত নভেম্বর শেষে বেড়ে ৩ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। মূল্যস্ফীতি ও রিজার্ভের পাশাপাশি শ্রীলংকার পর্যটন খাত ও রেমিট্যান্স থেকেও এ সময়ে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ আয় বেড়েছে।
জানুয়ারি-নভেম্বর সময়ে শ্রীলংকার পর্যটন খাত থেকে আয় বেড়েছে ৭৮ শতাংশ ও রেমিট্যান্স বেড়েছে ৬৩ শতাংশ। পাশাপাশি ডলারের বিপরীতে শ্রীলংকান রুপির বিনিময় হারও ধীরে ধীরে শক্তিশালী হচ্ছে। আগ্রাসীভাবে ঋণের সুদহার বাড়ানোর মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক। দেশটির অর্থনীতিতে সংকোচনের পূর্বাভাস রয়েছে। এ অবস্থায় প্রবৃদ্ধিকে উজ্জীবিত করতেই সাম্প্রতিক সময়ে সুদহার কিছুটা কমিয়েছে শ্রীলংকা। বিশ্লেষকরা বলছেন, অর্থনীতির প্রচলিত নীতিগুলোর কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমেই সংকটকে সামলে নিয়েছে দেশটি। এক্ষেত্রে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও এর গভর্নর। এছাড়া দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক যাতে সরকারের হস্তক্ষেপ ছাড়াই স্বাধীনভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে সে উদ্যোগও নেয়া হয়েছে। দেশটির মনিটরি বোর্ডে সরকারে প্রতিনিধির অংশ নেয়ার সুযোগ আইন পরিবর্তন করে রহিত করা হয়েছে।
দেশটির বিভিন্ন অর্থনৈতিক সূচকের এ উন্নতির বিষয়টি উঠে এসেছে আইএমএফের রিভিউ মিশনের বিবৃতিতেও। রিভিউ মিশন শেষে শ্রীলংকার বিষয়ে আইএমএফের বিবৃতিতে বলা হয়, দেশটির কর্তৃপক্ষ উচ্চাভিলাষী সংস্কার কর্মসূচি প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছে এবং তাদের সংস্কার প্রচেষ্টা প্রশংসার দাবি রাখে। এ বছরের জুন শেষে দেশটির শর্তপূরণের পারফরম্যান্স সন্তোষজনক। এ সময়ে একটি বাদে বাকি সব কিউপিসি শর্ত পূরণ করেছে দেশটি। কর রাজস্ব বাদে বাকি সব নির্দেশক লক্ষ্যমাত্রাও পূরণ হয়েছে। অধিকাংশ কাঠামোগত লক্ষ্যও হয় বাস্তবায়ন করা হয়েছে কিংবা সেপ্টেম্বরের শেষে বাস্তবায়িত হবে।
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বণিক বার্তাকে বলেন, ‘শ্রীলংকার ক্ষেত্রে দেখা গেছে যে তারা নীতিগুলো ঠিকমতো গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে যেটা হয়েছে যে সংশ্লিষ্টরা বোঝানোর চেষ্টা করেছেন যে এটা না করলেও হবে, ওটা না করলেও হবে, এটা দেরিতে করব, ওটা পরে করব ইত্যাদি। বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত সেভাবে কোনো নীতি গ্রহণ করেনি। এ কারণে আমরা এর ফলাফলও সেভাবে পাইনি। কিস্তির টাকা হয়তো আমরা পাব কিন্তু যে উদ্দেশ্যে ঋণ নেয়া সেটি পূরণ হলো না। আমাদের সমস্যাগুলোরও সমাধান হলো না।’
বরিক বার্তা