আঁতাতেও ফল আসেনি

আঁতাতেও ফল আসেনি, জনপ্রিয়তায় ছিল ঘাটতি.

বহুল আলোচিত ‘কিংস পার্টি’র ভরাডুবি ঘটেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। বিরোধী দল হওয়ার স্বপ্নে বিভোর ‘তৃণমূল বিএনপি’ ও ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-বিএনএম’-এর কেউই জিততে পারেননি। এমনকি হেভিওয়েট নেতা হিসেবে পরিচিত ছয় নেতা সবাই জামানত খুইয়েছেন। নিজেদের জনপ্রিয়তা না থাকায় কোনো প্রভাবই বিস্তার করতে পারেননি তারা। এমনকি সরকারি দলের সঙ্গে ‘আঁতাত’ করেও কাজ হয়নি। নির্বাচনের মাঠ থেকে শুধু খালি হাতে নয়; লজ্জাজনকভাবে ফিরতে হয়েছে তাদের।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সারাদেশে দুই দলের ১৮৭ প্রার্থীর মধ্যে মাত্র একজনের জামানত রক্ষা পেয়েছে। তাও আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে কক্সবাজার-২ আসনে বিএনএম প্রার্থী ৪৫ হাজার ৭৫ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হন। এখানে কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী না থাকায় আওয়ামী লীগের ক্ষুব্ধ নেতাকর্মী তাঁকে বেছে নেয়।

অতীতের মতো এবারের নির্বাচনের আগেই এসব ‘কিংস পার্টি’ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে তোড়জোড় শুরু হয়। তখন এসব নেতার ‘চমক’ দেখানোর বক্তব্য সর্বত্র আলোচনায় আসে। নির্বাচন বর্জনকারী রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপিকে  ভেঙে নেতাদের বাগিয়ে আনতে জোর তৎপরতা চালায় তারা। শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হতে হয়। অখ্যাত, কম পরিচিতি আর জোড়াতালি দিয়ে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার চেষ্টা করেন দুই দলের শীর্ষ নেতারা।

বিএনপির সাবেক এসব নেতা মনে করেছিলেন, সরকারের ‘আশীর্বাদ’ নিয়েই জয়লাভ করবেন। সেই চেষ্টাও করা হয়েছে। তবে জনপ্রিয়তার ধাক্কা খেতে হয়েছে সবাইকে। এর বাইরে বিএনপিকে ভাঙার চেষ্টাকেও ভালোভাবে নেয়নি সাধারণ মানুষ। স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মী পরোক্ষভাবে এসব প্রার্থীকে ‘বেইমান’ হিসেবে আখ্যায়িত করে ভূমিকা রাখে তাদের পরাজয়ে। ফলে কেউ বিজয়ী হয়ে আসতে পারেননি নির্বাচনে।
স্থানীয়রা মনে করছেন, নির্বাচনী এলাকায় জনপ্রিয়তা ছাড়া শুধু ক্ষমতাসীন দলের ‘আশীর্বাদপুষ্ট’ হলেই নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারবেন বলে আশা করেছিলেন ‘কিংস পার্টি’র নেতারা। তবে তাদের প্রত্যাশার সঙ্গে বাস্তবতার অনেক ফারাক ছিল বলে এমন নাজুক পরাজয় হয়েছে।

জাতীয় সংসদে ‘বিরোধী দল’ হওয়ার ঘোষণা দিয়ে তৃণমূল বিএনপি ২৩০ আসনে আর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-বিএনএম ৮২ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়। এর মধ্যে তৃণমূল বিএনপির ১৩৩ এবং বিএনএম দলের ৫৪টি মনোনয়নপত্র বৈধ করে নির্বাচন কমিশন। তবে সবাই নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন। এমনকি শীর্ষ নেতারাও জামানত রক্ষা করতে পারেননি।
শীর্ষ নেতাদের মধ্যে রয়েছেন– তৃণমূল বিএনপির চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী, মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার ও নির্বাহী চেয়ারপারসন অ্যাডভোকেট অন্তরা হুদা; বিএনএম দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর, মহাসচিব ড. মোহাম্মদ শাহজাহান এবং দলটির সাবেক আহ্বায়ক ড. আবদুর রহমান।

শমসের মবিন চৌধুরী
সিলেট-৬ আসনে শমসের মবিনকে শুরুতে শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে মনে করা হয়েছিল। ক্ষমতাসীন দলের উচ্চ পর্যায়ের সমর্থনে স্থানীয় আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী প্রকাশ্যে তাঁর পক্ষে মাঠে নামলেও কোনো কাজে আসেনি। এ আসনে ভোট পড়েছে ১ লাখ ৬ হাজার ৭০২টি। ৫৭ হাজার ৭৭৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগের নুরুল ইসলাম নাহিদ। সেখানে ১০ হাজার ৯৩৬ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থান লাভ করে জামানত খুইয়েছেন শমসের মবিন চৌধুরী।

স্থানীয় ভোটাররা জানান, সরকারি দলের কথিত সমর্থন নিয়ে ভোটের মাঠে নামেন শমসের মবিন। হঠাৎ ভোটের সপ্তাহখানেক আগে পাল্টে যায় চিত্র। তাঁর পক্ষে মাঠে নামেন গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মঞ্জুর শাফি চৌধুরী এলিম, কাউন্সিলর রুহিন আহমদ খানসহ অনেকে। তারা মাঠে নামার পর শমসের মবিনের পালে কিছুটা হাওয়া লাগতে শুরু করে। তারা প্রকাশ্যে তাঁর পক্ষে ভোট চাইতে শুরু করেন। তবে শমসের মবিন জাতীয়ভাবে যেভাবে পরিচিত; স্থানীয়ভাবে তিনি একেবারে অপরিচিত। তাঁকে পরিচয় করাতেই সময় লেগেছে অনেক বেশি। এ জন্য নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলতে পারেননি তিনি। অন্যদিকে বিএনপি নেতাকর্মী ও সমর্থকরা তাঁর বিষয়ে শুরু থেকেই ছিলেন ঘোর বিরোধী। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীও তাঁকে শতভাগ আস্থায় নিতে পারেননি। ফলে ভোটের মাঠে যা হওয়ার, তা-ই হয়েছে বলে মনে করছে নেতাকর্মী।
শমসের মবিন চৌধুরীর কাছে নির্বাচনে তাঁর পরাজয় নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দলের নেতারা এখনও ঢাকার বাইরে। সবাই এলে বৈঠক করে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।

শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর
ফরিদপুর-১ (বোয়ালমারী-মধুখালী-আলফাডাঙ্গা) আসনে বিএনএম প্রার্থী শাহ মোহাম্মদ আবু জাফরকেই সবচেয়ে বড় হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছিল। এই আসনে তিনি চারবারের এমপি। তাঁর নিজস্ব ভোটব্যাংক রয়েছে বলে চাউর রয়েছে। নির্বাচনের আগে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্যপদ থেকে বিএনএম দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিয়ে তিনি আরও বেশি আলোচনায় আসেন। সরকারের সঙ্গে আঁতাত করে তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে তখন জোর গুঞ্জন ওঠে। ফলে তাঁর নিজস্ব ভোটব্যাংকেও প্রভাব পড়ে। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান পেয়েছেন ১ লাখ ২৩ হাজার ৩৩১ ভোট। ঈগল মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফুর রহমান দোলন পেয়েছেন ৮৪ হাজার ৯৮৯ ভোট। সেখানে শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর নোঙর মার্কায় ২২ হাজার ৪৬৫ ভোট পেয়ে হয়েছেন তৃতীয়। নিজের জামানতও রক্ষা করতে পারেননি শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর।
স্থানীয়রা জানান, সবার ধারণা ছিল, এবারের নির্বাচনে তিনি ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াবেন। ভোটের হিসাবনিকাশ তিনি পাল্টে দিতে পারেন। তাঁর পক্ষে মাঠে কাজও করেছে সরকারি মহল। তবে সফলতা অর্জনে চরম ব্যর্থ হন তিনি।

নেতাকর্মী জানায়, মূল দলের বাইরে গিয়ে ভোটে প্রভাব বিস্তার করা যায় না। শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর আওয়ামী লীগ-বিএনপি-জাতীয় পার্টির মতো শক্তিশালী সংগঠনে থেকে নির্বাচন করে ভোটের মাঠে দাপট দেখিয়েছেন। কিন্তু ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে তাঁর সঙ্গে ছিল না কোনো সংগঠন। বিএনপিতে তাঁর সমর্থিত অংশের কিছু নেতাকর্মী তাঁর সঙ্গে নির্বাচন করলেও বৃহৎ একটি অংশ তাঁকে সমর্থন করেনি। তাঁর বিরোধী অংশ কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহসভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার নাসিরুল ইসলামের সমর্থিত অংশ শাহ জাফরকে পরাজিত করতে বেশি তৎপর ছিল।

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার অধ্যাপক আব্দুর রশিদ বলেন, দলের সমর্থন এবং দলীয় কর্মী বাহিনী ছাড়া নির্বাচনে বিজয়ী হওয়া কঠিন। শাহ জাফরের সাবেক দল বিএনপিও তাঁকে ডোবানোর চেষ্টায় ছিল।

তৈমূর আলম খন্দকার
নিজের আসন নারায়ণগঞ্জ-৫ ছেড়ে রহস্যজনকভাবে নারায়ণগঞ্জ-১ থেকে নির্বাচন করে পুরো রাজনীতিতেই চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত এই নেতা একদিকে যেমন তৃণমূল বিএনপিতে যোগদান করে আলোচিত হয়েছেন, তেমনি নির্বাচনের আগে দলটির চেয়ারপারসন শমসের মবিন চৌধুরীকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেও চমক সৃষ্টি করেছিলেন। তখন থেকেই সবাই মনে করেছিল, সরকারের আশীর্বাদ নিয়ে নির্বাচনের মাঠে নামছেন তৈমূর। তবে যে আশ্বাসে তিনি নির্বাচনে গেছেন, সেটা অব্যাহত না থাকায় এবং নারায়ণগঞ্জের ওসমান পরিবারের সঙ্গে সখ্য, লোভ, ‘রাজনৈতিক বেইমান’ হিসেবে চিহ্নিত হয়ে যাওয়ায় সংসদ নির্বাচনে তৈমূর আলম খন্দকারের ভরাডুবি ঘটেছে। নিজ দলের প্রার্থীরা নির্বাচনের কয়েক দিন আগে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে শমসের মবিন ও তৈমূর আলম খন্দকারকে বেইমান হিসেবে উল্লেখ করেন। আর্থিক বিষয়াদি নিয়েও তারা অভিযোগ করেন দলের শীর্ষ দুই নেতার বিরুদ্ধে। বিএনপি নেতাকর্মী আর সমর্থকরাও তাঁর দল বদলকে ভালোভাবে নেয়নি। অন্যদিকে তাঁর বিপরীতে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা গোলাম দস্তগীর গাজীর জনপ্রিয়তার সামনে ভোটের মাঠে দাঁড়াতেই পারেননি তৈমূর। মাত্র ৩ হাজার ১৯০ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন। অন্যদিকে গোলাম দস্তগীর পেয়েছেন ১ লাখ ৫৬ হাজার ৪৮৩ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৭৫ ভোট।
তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, ‘সরকারের কাছ থেকে সুবিধা নিলে তো পাস করতাম; নইলে টাকা পাইতাম। ভূমিদস্যুর বিরোধিতা করতে রূপগঞ্জে এসে নির্বাচন করেছি; ওসমান পরিবারকে ছাড় দিতে নয়।’

অ্যাডভোকেট অন্তরা হুদা
তৃণমূল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা নাজমুল হুদার মেয়ে অ্যাডভোকেট অন্তরা হুদা নির্বাচনের আগেই নির্বাচন থেকে ছিটকে পড়েন। তাঁর বাবা যে আসন থেকে বারবার জয়লাভ করেছেন, যেখানে তাদের নিজস্ব ভোটব্যাংক রয়েছে; সেই ঢাকা-১ আসন থেকে তাঁকে সরিয়ে মুন্সীগঞ্জ-১ থেকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়, যেখানে তাঁর পরিচিতি নেই, ভোটব্যাংক নেই। তাঁর নিজ দলের কোনো অস্তিত্বও নেই। এ রকম একটি আসনে তৃণমূল বিএনপির নির্বাহী চেয়ারপারসন অন্তরা হুদা নির্বাচন করে চতুর্থ হওয়ায় জামানত বাজেয়াপ্ত হয় তাঁর। সোনালি আঁশ প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৬ হাজার ৩৩৭ ভোট। আর আওয়ামী লীগের মহিউদ্দিন আহম্মেদ ৯৫ হাজার ৮৬০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন।

ড. মোহাম্মদ শাহজাহান
ভোটারদের নানা প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি শুনিয়েও নিজের এলাকা চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনে শুধু হারলেনই না; জামানত খোয়ালেন বিএনএম দলের মহাসচিব ড. মোহাম্মদ শাহজাহান। নোঙর মার্কায় ভোট পেয়েছেন মাত্র ১ হাজার ৭৪টি। নিজ ভোটকেন্দ্র দক্ষিণ চরমান্দারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে কাস্টিং ২ হাজার ২৩ ভোটের মধ্যে মাত্র ৩১টি ভোট পান। অথচ নির্বাচনের আগে তিনি দাবি করেছিলেন, নির্বাচনী প্রচারণায় তাঁর দুই হাজারের বেশি কর্মী আছে। ভোটে তার প্রতিফলন ঘটেনি।

রূপসা ইউনিয়নের বাসিন্দা আবুল কালাম বলেন, ড. শাহজাহান কখনোই রাজনীতির মাঠের পরিচিত মুখ নন। যারা চেনেন, তারা তাঁকে একজন মানবাধিকার সংগঠক হিসেবে চেনেন। নিজেকে বিএনপির অনুসারী হিসেবে পরিচয় দেওয়া শাহজাহান বিএনপি নেতাকর্মীকেই আস্থায় আনতে পারেননি। ফলে বিএনপি অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে পরিচিত এ আসনে তিনি পঞ্চম হয়েছেন। ড. মোহাম্মদ শাহজাহান অভিযোগ করে বলেন, এখানে কালো টাকা ও পেশিশক্তি কাজ করেছে। আমি এখানে সুপরিচিত মুখ।

ড. আবদুর রহমান
১৯৯৬ সালের বিতর্কিত নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরে আর রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন না। এবার নির্বাচনের আগে বিএনপি নেতা ও সাবেক এমপি তকমা লাগিয়ে হয়ে যান কিংস পার্টি বিএনএম দলের শীর্ষ নেতা। ‘বিশেষ সুবিধা’ নিয়ে বরগুনা-২ (পাথরঘাটা-বামনা-বেতাগী) আসনে নির্বাচন করেও জামানত রক্ষা করতে পারেননি তিনি। যেখানে নৌকা

প্রতীক ১ লাখ ৪৬ হাজার ৮১ ভোট পেয়েছে, সেখানে তিনি পেয়েছেন মাত্র ১ হাজার ৯৫১ ভোট।
জেলার বিশ্লেষকরা জানান, প্রচারণার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কোনো ধরনের পথসভা করেননি; সাধারণ ভোটারের কাছেও তেমন যাননি এবং অধিকাংশ ভোটার তাঁকে চেনে না। এক প্রকার

দায়সারাভাবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তাঁর এমন ভরাডুবি হয়েছে বলে মনে করছেন তারা। তৃণমূল বিএনপি আর বিএনএম দলের মতো আরেক কিংস পার্টি বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি থেকেও নির্বাচনে ৭৯ প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। তাদেরও কেউ জামানত রক্ষা করতে পারেননি।

সমকাল