অর্থনীতির অধিকাংশ সূচক নিম্নমুখী, ভালো সূচক দুটি

অর্থনীতির অধিকাংশ সূচক নিম্নমুখী, ভালো সূচক দুটি

অর্থনীতির বেশির ভাগ সূচক আরও খারাপ হয়েছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতি দীর্ঘদিন ধরে বজায় রয়েছে, বেড়েছে মানুষের কষ্ট। ডলার–সংকটে আমদানি কমেছে, যার প্রভাব পড়েছে রপ্তানিতেও। বৈদেশিক মুদ্রার মজুতের পতন থামানো যাচ্ছে না। শুধু ডলারের কারণেই নড়বড়ে হয়েছে অর্থনীতির অনেক সূচক। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ পদক্ষেপ বাড়িয়ে দিয়েছে ঋণের সুদ। এসব পদক্ষেপে বেড়েছে ব্যবসা-বিনিয়োগের খরচ।

ব্যাংক খাতের পরিস্থিতিও নাজুক রয়েছে। নামে-বেনামে ব্যাংক থেকে টাকা বের করা চলছেই, বাড়ছে খেলাপি ঋণ। কার্যত জোরপূর্বক ব্যাংক একীভূত করতে গিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। অন্তত তিনটি ব্যাংক আমানতকারীদের টাকা ফেরত দিতে হিমশিম খাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে তারল্যসংকটে রয়েছে ইসলামি ধারার কয়েকটিসহ বেশ কয়েকটি ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য ও খাতভিত্তিক সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

করোনাভাইরাস মহামারির সময়ে অর্থনীতিতে যে ধাক্কা এসেছিল, সূচকগুলো তখনো অনেক ভালো ছিল। অর্থনীতির সূচকগুলো খারাপ হতে শুরু করে ২০২২ সালের মাঝামাঝি থেকে। ওই বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে সংকট কেটে যাবে, এমন আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে। এরপর সংকট কেবল গভীর হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ব্যবসায়ীদের আশ্বাস দিয়েছে, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে সংকট কেটে যাবে।

গবেষণাপ্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর প্রথম আলোকে বলেন, এই বেহাল অর্থনীতি এক দিনে হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে চলা লুটপাট, অর্থ পাচার ও জবাবদিহির অভাবে অর্থনীতির মূল কাঠামোগুলো দুর্বল হয়ে পড়েছে। অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর সক্ষমতাও কমে গেছে। সম্পদ তো বাড়ছে না, উল্টো পাচার হয়ে যাচ্ছে। ব্যাংক খাতে যে লুটতরাজ চলেছে, তারও বিচার হয়নি। এর প্রভাব পড়ছে অর্থনীতিতে। মানুষের কষ্ট বাড়ছে, জীবন চালানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

ডলারে কাবু অর্থনীতি

দেশের অর্থনীতিতে আগে বৈশ্বিক ও স্থানীয় সংকটের প্রভাব পড়লেও অল্প সময়েই তা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এবারই ব্যতিক্রম দেখা যাচ্ছে। ২০২২ সালের শুরুতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে খাদ্য, জ্বালানি ও পরিবহন খরচ বেড়ে যায়। ফলে আমদানি খরচ প্রায় দ্বিগুণ হয়। দীর্ঘদিন ডলারের দাম বাড়তে না দেওয়ায় বৈদেশিক মুদ্রার জোগান কমে আসে। এতে সংকট আরও প্রকট হয়ে ওঠে।

এরপর ডলারের দাম নিয়ে নানা পরীক্ষা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, পাশাপাশি রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে। আমদানি নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয় নানা পদক্ষেপ। তবে দুই বছর ধরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নেওয়া উদ্যোগগুলো তেমন কাজে আসেনি। সবশেষ এ মাসে ডলারের দাম কিছুটা বাজারভিত্তিক ও ব্যাংকঋণের সুদহার বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। আবার ব্যবসায়ীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি জানিয়েছে, ঋণের সুদহার ১৪ শতাংশের বেশি হবে না। ডলারের দামও ১১৭ টাকার আশপাশে থাকবে।

২০২২ সালের ২১ মে প্রতি ডলারের মূল্য ছিল ৮৭ টাকা ৯০ পয়সা, যা এখন বেড়ে হয়েছে ১১৭ টাকা ৭৭ পয়সা। ডলারের বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দেশিত মধ্যবর্তী দাম এখন ১১৭ টাকা। পরিকল্পনা আছে, আগামী দিনে বিনিময় হার পুরোপুরি বাজারভিত্তিক করার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের শর্ত মানতে গিয়ে অনেক সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে হয়েছে। সাময়িক সময়ের জন্য এতে সমস্যা হলেও এবং সূচক খারাপ হলেও দীর্ঘ মেয়াদে এর ফলাফল পাওয়া যাবে। অনেক সিদ্ধান্ত দুই বছর আগে নেওয়া প্রয়োজন ছিল। সরকারের ইতিবাচক মতামত না পাওয়ায় সেটা সম্ভব হয়নি। এখন দেরিতে হলেও এসব সিদ্ধান্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে কার্যকর হবে

মূল্যস্ফীতির চাপে মানুষ

ডলারের দাম বাড়ার সরাসরি প্রভাব পড়ে মূল্যস্ফীতিতে। বেড়ে যায় সব ধরনের পণ্যের দাম। বিবিএসের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০২২ সালের এপ্রিলে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৬ দশমিক ২৯ শতাংশ, যা গত এপ্রিলে বেড়ে হয়েছে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ।

বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) চলতি মাসে বাংলাদেশের খাদ্যমূল্য পরিস্থিতি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, খানা জরিপ অনুযায়ী, ২০২২ সালে দেশের দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা মানুষের খাবার কেনার খরচ ছিল প্রতি মাসে মাথাপিছু ১ হাজার ৮৫১ টাকা। গত ফেব্রুয়ারি মাসে মাথাপিছু খাবার কেনার খরচ বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৯২৩ টাকা; অর্থাৎ দুই বছরে এই বৃদ্ধি ৫৮ শতাংশ বেশি।

অন্যদিকে বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) ও যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটের যৌথ গবেষণায় উঠে এসেছে, মাসের পর মাস উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে শহরাঞ্চলে দারিদ্র্যের হার বেড়েছে। বেড়েছে আয়বৈষম্যও। উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে অধিকাংশ পরিবার তাদের খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে বাধ্য হয়েছে। অনেক পরিবার খাদ্যনিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকিতে রয়েছে। গ্রামের তুলনায় শহরের দরিদ্র মানুষ খাদ্যনিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বেশি।

এতে উঠে আসে, ২০১৮ সালে শহরাঞ্চলে দারিদ্র্যের হার ছিল ১৬ দশমিক ৩ শতাংশ। ২০২৩ সালে সেটি বেড়ে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ হয়েছে। একই সময়ে গ্রামীণ দারিদ্র্যের হার ২৪ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমে ২১ দশমিক ৬ শতাংশ হয়েছে।

ডলার–সংকট কাটাতে আমদানি নিয়ন্ত্রণে পথে হাঁটে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে আমদানি ব্যয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে গেলেও শিল্পের মূলধনি যন্ত্রপাতি, কাঁচামাল, মধ্যবর্তী পণ্য আমদানিও কমে যায়। ২০২২ সালের মার্চে আমদানি খরচ ছিল ৭৭২ কোটি ডলার, যা গত মার্চে কমে হয়েছে ৬০৮ কোটি ডলার।

এর প্রভাব পড়েছে রপ্তানিতেও। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২২ সালের এপ্রিলে রপ্তানি হয়েছিল ৪৭৩ কোটি ডলারের পণ্য, গত এপ্রিলে যা কমে হয়েছে ৩৯৫ কোটি ডলার। ফলে প্রকৃতপক্ষে রপ্তানি আয় বেশ কমে গেছে।

রিজার্ভের পতন থামছে না

নানা উদ্যোগ সত্ত্বেও ডলারের সংকট না কাটায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে রিজার্ভ দুই বছরে প্রায় অর্ধেক হয়ে গেছে। ২০২২ সালের ২১ মে মোট রিজার্ভ ছিল ৪ হাজার ২২৯ কোটি ডলার বা ৪২ বিলিয়ন ডলার। এ বছরের ২১ মে যা কমে হয়েছে ২ হাজার ৪০১ কোটি ডলার বা প্রায় ২৪ বিলিয়ন ডলার। তবে প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ প্রায় ১ হাজার ৩০০ কোটি বা ১৩ বিলিয়ন ডলার।

২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়ে চলতি হিসাবে ১ হাজার ৪৩৪ কোটি ডলার ঘাটতি হলেও চলতি অর্থবছরের একই সময়ে ৫৭৯ কোটি ডলার উদ্বৃত্ত হয়েছে। তবে দীর্ঘদিন পর আর্থিক হিসাবে বড় ধরনের ঘাটতি হয়েছে। গত জুলাই-মার্চ সময়ে এই ঘাটতি ছিল ৯২৫ কোটি ডলার, আগের অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ২৯২ কোটি ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, যে পরিমাণ পণ্য রপ্তানির জন্য জাহাজে উঠছে, তার বিপরীতে আয় আসা কমেছে। আবার ডলারের দাম বাড়তে থাকায় অনেকেই বিদেশি ঋণ আগেই পরিশোধ করে দিচ্ছেন, পাশাপাশি তাঁরা নতুন করে ঋণ নেওয়াও কমিয়ে দিয়েছেন। ফলে আর্থিক হিসাবে বড় ধরনের ঘাটতি থেকে যাচ্ছে।

অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘ডলার–সংকট হয়েছে মূলত অর্থ পাচারের কারণে। এ জন্য দায়ী বেহাল ব্যাংক, বিদ্যুৎ ও স্বাস্থ্য খাত। এই সংকট দীর্ঘমেয়াদি হবে। সুশাসন ফিরিয়ে না আনলে এই সংকট বাস্তবে কাটবে না। নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোকে মাথা তুলে দাঁড়ানোর সুযোগ দিতে হবে। আমরা ভেবেছিলাম নতুন সরকার কিছু উদ্যোগ নেবে। তিন মাস গেলেও দৃশ্যমান কিছু দেখা গেল না। উল্টো আর্থিক খাত দিনে দিনে আরও খারাপ হচ্ছে।’

নাজুক পরিস্থিতিতে ব্যাংক খাত

ব্যাংকগুলোতে ডলারের পাশাপাশি টাকারও সংকট চলছে। নানা অনিয়মের কারণে আস্থার সংকটে রয়েছে ব্যাংক খাত। আবার বাংলাদেশ ব্যাংক জোরপূর্বক ব্যাংক একীভূত করার চেষ্টা করায় পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে। ফলে আমানতের টাকা ফেরত দিতে সম্প্রতি সমস্যায় পড়ে বেসিক, পদ্মা ও আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক। শরিয়াহভিত্তিক কয়েকটি ব্যাংক এখনো তারল্যসংকটে ভুগেছে। তবে চলতি হিসাবে ঘাটতি থাকা সত্ত্বেও এসব ব্যাংকের লেনদেন সচল ও ঋণ বিতরণ অব্যাহত আছে।

এদিকে সুদের হার বাজারভিত্তিক করার কারণে ঋণের সুদ অনেক ক্ষেত্রে ১৪ শতাংশে উঠেছে। ফলে বেড়েছে ব্যবসা করার খরচ। ব্যবসা-বাণিজ্য আর বিনিয়োগ ক্ষতিগ্রস্ত হলে কর্মসংস্থান কমে যায়।

ব্যাংক তদারকিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দুর্বলতার কারণে প্রভাবশালীদের মালিকানাধীন ব্যাংক ও তাদের ঋণ অনেকটা তদারকির বাইরে রয়েছে। খেলাপি ঋণ বাড়তে বাড়তে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকায়।

দেশের শেয়ারবাজারও ধুঁকছে। টানা দরপতনে বাজার ছাড়ছেন বিনিয়োগকারীরা। ২০২২ সালের ২১ মে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক ছিল ৬ হাজার ২১১ পয়েন্ট, গত সপ্তাহের শেষে যা কমে হয়েছে ৫ হাজার ৩১২ পয়েন্ট।

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. মাহবুবুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘এভাবে সুদহার বাড়তে থাকলে বিনিয়োগ হবে না, কর্মসংস্থানও বাধাগ্রস্ত হবে। ডলারের দাম যতটা বেড়েছে, এটা যেন আর না বাড়ে—এটাই আমাদের প্রত্যাশা। তবে ডলারের দাম বাড়ায় রপ্তানি বহুমুখীকরণ হবে। গ্যাস-বিদ্যুতের খরচ বাড়ায় ব্যবসায়ীরা চাপে রয়েছেন, তবে আমরা চাই নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ। ব্যাংক খাতে সুশাসন ফিরবে, এটাই আমরা চাই।’

ভালো দুই সূচক

দুটি ক্ষেত্রে অবশ্য ভালো করছে অর্থনীতি। ডলারের দাম বাড়ার প্রভাব পড়েছে প্রবাসী আয়ে। গত এপ্রিলে প্রবাসী আয় এসেছে ২০৪ কোটি ডলার। ডলারের দাম বাড়ার কারণে যেমন বৈধ পথে প্রবাসী আয় বেশি আসছে, তেমনি প্রবাসী আয়নির্ভর পরিবারগুলো ভালো বিনিময়মূল্য পাচ্ছে।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের সময় আন্তর্জাতিক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেলে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ প্রতি মাসে ২০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছিল। সেই ধারাবাহিকতা অবশ্য এখনো ফেরেনি। ব্যাংকাররা বলছেন, অর্থ পাচার বন্ধ না হলে বৈধ পথে পুরো প্রবাসী আয় আসবে না। কারণ, পাচারের অর্থ সমন্বয় হয় প্রবাসী আয় দিয়েই।

এদিকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রাথমিক হিসাব অনুসারে, ভ্যাট ও আয়কর আদায় বেড়ে যাওয়ায় চলতি অর্থবছরের জুলাই-মার্চে রাজস্ব সংগ্রহ হয়েছে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৮৬৬ কোটি টাকা; যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৫ শতাংশ বেশি। তবে আইএমএফ ঋণের শর্তে রাজস্ব আদায়ের যে লক্ষ্য বেঁধে দিয়েছে, এই আয় তার চেয়ে কম।

prothom alo