অভাব ও দুর্ভোগের কাহিনী
- সালাহউদ্দিন বাবর ১৮ আগস্ট ২০১৯, ১৯:২৮
সম্প্রতি বেশ কিছু ঘটনার পরিপেক্ষিতে দেশের জনগণের মধ্যে প্রশাসনের দায়িত্ব পালনে সক্ষমতার ব্যাপারে আস্থা ও বিশ্বাসের ঘাটতি লক্ষ করা যাচ্ছে। এর কারণে সমাজে হতাশা, উৎকণ্ঠা এবং শৃঙ্খলা বিনষ্টের আশঙ্কা রয়েছে। এর অনিবার্য পরিণাম হিসেবে এমন প্রশ্ন জাগছে যে, দায়িত্ব পাওয়ার ক্ষেত্রে যে আগ্রহ ছিল, কিন্তু সে দায়িত্ব পাওয়ার পর তা পালনের হক আদায়ের জন্য প্রশাসনের বড় একটি অংশ দক্ষতা যোগ্যতা এবং তৎপরতা দেখাতে পিছিয়ে রয়েছে। এই ব্যর্থতার পুরো দায়িত্ব এখন কেউই নিজ কাঁধে নিতে চাচ্ছে না। সেজন্য পরস্পর দোষারোপ করে চলেছে। কিন্তু এমন দোষারোপ করে পার পাওয়া যাবে না। কেননা, প্রশাসন পরস্পর বিচ্ছিন্ন নয় বরং সম্পর্কযুক্ত। সবাই একসূত্রে গ্র্রথিত। সম্প্রতি ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ এক নেতা দুই সিটি করপোরেশনের উদ্দেশে বলেন, আমি অনুরোধ করব, ডেঙ্গু প্রতিরোধের নামে দায়সারা গোছের ওষুধ ছিটানোর প্রয়োজন নেই। যেই ওষুধে সত্যিকার অর্থে মশক নিধন হয় মানুষ চায় সেই ওষুধটা। আমরা লোক দেখানো কর্মসূচি দিয়ে জনগণকে ভাঁওতা দিতে চাই না, প্রতারণা করতে চাই না। দুই সিটি করপোরেশন যে ডেঙ্গু প্রতিরোধে ব্যর্থ হয়েছে, তা নেতার এই বক্তব্যই যথার্থ। কিন্তু আরেকটি বোধ সবার মধ্যে জেগেছে। সেটা হলো সিটি করপোরেশনের অক্ষমতা চিহ্নিত করেই কেবল দায়িত্ব এগিয়ে যাওয়া যাবে না। কেননা, সিটি করপোরেশনগুলো স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীন। তাই দুই সিটির ব্যর্থতার অংশ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে অবশ্যই নিতে হবে। আরেকটা বিষয়, বর্তমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বলতে হয়, কোনো বিষয়ে কিঞ্চিৎ সাফল্য দেখা দিলে তার ভাগিদার হওয়ার জন্য বহু প্রার্থী এসে ভিড় করে। অথচ ব্যর্থতার দায় নিতে কেউই এগিয়ে আসে না। তাই এই ভয় হওয়া স্বাভাবিক, বড় কোনো দুর্যোগ দেখা দিলে ভুক্তভোগী মানুষের কাছে হয়তো কাউকেই আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। যেমন বন্যায় এবার দেশের বহু অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে, লাখ লাখ বানভাসির জন্য ত্রাণসামগ্রী নিয়ে কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসতে দেখা যায়নি। এতে দুর্গত এলাকায় মানুষ অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটিয়েছে। আর বন্যা-পরবর্তী পুনর্বাসন কার্যক্রমে অংশ নিতে কোনো সংস্থাই এগিয়ে আসেনি। বন্যায় যেমন ব্যাপক ফসলহানি ঘটেছে, তেমনি মানুষের বসতবাড়ি ধ্বংস হয়েছে এবং বহু গৃহপালিত পশু মারা গেছে। এর অর্থমূল্য বিরাট অঙ্কের। এই বিপুল ক্ষতি কিভাবে মানুষ পূরণ করবে, সে চিন্তায় এখন দুর্গত এলাকার জনগণ দিশাহারা।
অথচ প্রতিটি দেশে এমন দুর্যোগের সময় রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলো এতটা তৎপর হয়, এরা জরুরিকালীন সহায়তা নিয়ে অগ্রসর হয়ে থাকে। আমাদেরও এমন সংস্থা নেই তা বলা যাবে না। কিন্তু এখন যখন তাদের উপস্থিতির প্রয়োজন ছিল, তখন তাদের তৎপরতা দৃশ্যমান নয়। বস্তুত যখন সমাজে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়, সে সময় বুঝতে হবে সব কিছুর নিয়ন্ত্রণ শিথিল হয়ে পড়েছে। অর্থাৎ রাষ্ট্রযন্ত্রের মধ্যে যে জবাবদিহি বিরাজ করে এবং স্বীয় দায়িত্ব পালনে সবাইকে সচেতন করে, সেই অনুশীলনের রেওয়াজ বেমালুম ভুলে যাওয়া হয়েছে।
যেসব দুর্যোগের কথা ওপরে বলা হয়েছে, তাতে প্রশাসনের কী ভূমিকা ছিল এবং সে ক্ষেত্রে তাদের পারঙ্গমতা কতটুকু লক্ষ করা গেছে, সে সম্পর্কেও কিঞ্চিৎ আলোকপাত করা হয়েছে। এসবের পরও আরো একটি বড় শূন্যতার কথা উল্লেখ না করলেই নয়, যা কিনা রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের একটি ভয়ানক দুর্বলতা সবার দৃষ্টিতে ধরা পড়েছে। রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের বিভিন্ন শাখা-প্রশাখা নিজস্ব বোধ-বিবেচনা, কর্তব্যকর্ম নির্ধারণ ও সম্পন্ন করার ব্যাপারে নির্লিপ্ততা, নিষ্ক্রিয়তা অর্থাৎ- তাদের নিজ কর্ম সম্পাদনে স্ব-উদ্যোগের অভাব। এটা বস্তুত প্রশাসনের বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্বশীলদের সতর্কতা, কর্তব্যপরায়ণতা এবং যোগ্যতার অভাব হিসেবেই ধরে নিতে হবে। অনেক দিন থেকে এটা লক্ষ করা গেছে যে, প্রশাসনের সাধারণ এবং জরুরি বিষয়ে দায়িত্ব পালনে শিথিলতা দূর করতে দেশের প্রধান নির্বাহীর পক্ষ থেকে তাগিদ ও নির্দেশ দিতে দেখা গেছে। এটা তো কোনো স্বাভাবিক ব্যাপার নয়। যদি দেশের প্রধান নির্বাহীকে এভাবে ভূমিকা রাখতে হয় তবে প্রশাসন তো তাহলে অনিবার্যভাবে ভেঙে পড়তে পারে। নির্বাহীদের এমন ব্যর্থতা তো এটাই প্রতীয়মান করে যে, তাদের দায়িত্ব দেয়ার ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত বা পছন্দটা সঠিক ছিল না। এমন নির্বাহীদের যেখানে নির্দেশ ও তাগাদা দিয়ে কাজ করাতে হয়, সেখানে দেশের উন্নয়নের যে কথা বলা হচ্ছে তা কী করে সম্ভব হবে? কোনো দেশের উন্নতি করতে হলে রাষ্ট্রযন্ত্রের শুধু নয় সাধারণ মানুষকেও অধিকতর সচল হওয়া প্রয়োজন।
কিন্তু এখন যেমন রাষ্ট্রযন্ত্র ধাক্কা খেয়ে খেয়ে চলছে সে পরিপ্রেক্ষিতে উন্নয়নের আশা করাটা কতটা বাস্তব। অথচ এভাবে যদি এমন ধাক্কা খেয়ে পথ চলতে হয় তবে শিল্প উন্নয়ন, কর্মসংস্থান ও দারিদ্র্যসীমার নিচ থেকে মানুষকে তুলে আনার কোনো প্রয়াসই আর কার্যকর হবে না। এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ সম্ভব না হলে দেশে শান্তিশৃঙ্খলা যে পরিস্থিতির বিরাজ করছে তার আরো অবনতি ঘটবে। দেশের মানুষের পক্ষে স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকাটা কষ্টকর ব্যাপার হবে।
যে শোচনীয় অবস্থার কথা উল্লেখ করা হয়েছে তা থেকে উত্তরণের কিছু উপায়ের কথা প্রাসঙ্গিকভাবে এলেও আরেকটি প্রধান বিষয় নিয়ে এখন কথা বলতে চাই। একটি সমাজকে শুদ্ধতার পথে নিয়ে যেতে হলে প্রশাসনের প্রতিটি স্তরে যে জবাবদিহিতার অনুশীলন করা দরকার, তার ধারেকাছে এখন আমরা নেই। কোনো প্রশাসন যদি এমন ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে, তবে সেখানে সর্বত্র কর্তৃত্ববাদ প্রতিষ্ঠা পাবে। বাংলাদেশে এখন সংসদীয় শাসনব্যবস্থা কাগজে কলমে প্রতিষ্ঠিত রয়েছে। কিন্তু সে শাসনব্যবস্থার যে মূল বৈশিষ্ট্য তা কিন্তু এখন বর্তমান নেই। সংসদীয় ব্যবস্থায় রাষ্ট্র পরিচালিত হয় তিনটি বিভাগ দিয়ে- নির্বাহী বিভাগ, বিচার বিভাগ ও আইন বিভাগ। এই আইন বিভাগের প্রধান দায়িত্ব প্রজাতন্ত্রের জন্য বিধিবিধান প্রণয়ন এবং নির্বাহী বিভাগের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে ভুলত্রুটি ধরা ও তাদের জবাবদিহি করা। এখন আইন বিভাগ রয়েছে বটে কিন্তু তাদের সেই জবাবদিহি নেয়ার ভূমিকা পালিত হচ্ছে না। কেননা যে নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদের সদস্যরা নির্বাচিত হয়েছেন, সেখানে জনগণের কোনো ভূমিকা ছিল না। মানুষের পক্ষে যোগ্য এবং নিজেদের পছন্দের প্রার্থীদের বিজয়ী করার কোনো সুযোগ ছিল না। সরকারি দলের মার্কা নিয়ে যারা প্রার্থী হতে সক্ষম হয়েছেন তারাই এক অভিনব নির্বাচনে বিজয়ী হন। তাই এসব ব্যক্তির পক্ষ কিভাবে এখন দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করা সম্ভব! নির্বাহী বিভাগ ও আইন বিভাগের প্রায় সব সদস্যই যেহেতু শাসক দলের লোক, তাই তাদের পরস্পরের পিঠ চুলকে দেয়া ব্যতীত সমালোচনা করা, ভুলের জবাবদিহি নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। এর ফলে প্রশাসনে এখন নির্বাহীদের ভুলত্রুটি নিয়ে, তাদের অক্ষমতা নিয়ে কোনো কথা নেই। আর এমন সব কারণেই রাষ্ট্রযন্ত্র থমকে দাঁড়িয়েছে। আর এসব কারণেই দেশে বিভিন্ন সমস্যা এখন গুরুতর রূপ নিয়েছে। যার মাত্র দু’একটি বিষয়ে কথা উপরে বলা হয়েছে। প্রশাসনে এসব বিষয় নিয়ে যৎ সামান্য কিছু লেখা হচ্ছে বটে, তবে সংবাদমাধ্যমগুলো এখন নানা অদৃশ্য চাপের মুখে থাকায় তাদের পক্ষে সবিস্তারে কিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না। এমন পরস্থিতি বস্তুত সমাজের জন্য কোনো স্বাভাবিক পরিণতি ডেকে আনবে না।
এতসব যাতনার মধ্যেও মানুষ কিছুটা সন্তুষ্ট সংবাদমাধ্যম ও দেশের বিজ্ঞান গবেষকদের ভূমিকা নিয়ে। ডেঙ্গুর বিস্তার ঘটার বহু পূর্ব থেকে জাতীয় গণমাধ্যমগুলো ডেঙ্গুর সেই সূচনা থেকে এই রোগের বিষয় নিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে যথাবিহিত দায়িত্ব পালনের জন্য সতর্ক করেছে। এই রোগের বিস্তার যাতে না ঘটে সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত ও পরামর্শ নিয়ে প্রতিবেদন ও মন্তব্য কলাম প্রকাশ করেছে। দুর্যোগ মোকাবেলার ক্ষেত্রে এসব পরামর্শ কানে তুললে এবং সেভাবে যদি দায়িত্বে নিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো পদক্ষেপ নিত তবে আজকের এই বিপর্যয়, প্রাণহানি ও হাজার হাজার মানুষের রোগাক্রান্ত হওয়ার ব্যাপার ঘটত না। তাছাড়া এমন অবস্থায় পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি করা এবং বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে রোগ প্রতিরোধে সম্পৃক্ত করার যে উদ্যোগ তাতে বড় ধরনের গাফিলতির বিষয় নজরে এসেছে। আর যতটুকু করা হয়েছে সেটাও সময় উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পর। তাই সে উদ্যোগ খুব একটা কাজে আসেনি। বাংলাদেশে এখন বহু আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বিভিন্ন রোগের ওষুধ তৈরি হচ্ছে এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে তা রফতানি হচ্ছে। এমন সব প্রতিষ্ঠানকে ডেঙ্গু মশা নিধনে কীটনাশক তৈরির জন্য অনুরোধ করা যেত। ফলে বিদেশের মানহীন কীটনাশক আমদানি করে অর্থের অপচয় করা লাগত না। যে ব্যাধি প্রতি বছরই দেখা দেয় তা প্রতিরোধে স্থায়ী ব্যবস্থা থাকা উচিত। উপরে উল্লেখ করা হয়েছে যে, এবার ডেঙ্গু রোগ নির্ণয় এবং তার প্রতিরোধে দেশের বিজ্ঞানী ও চিকিৎসকরা প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখেছেন।
বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিতে যেভাবে নিবেদিত হয়ে চিকিৎসকও সেবিকারা কাজ করেছেন তা প্রশংসনীয়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা খবরের কাগজে এই রোগের চিকিৎসা ও পরিচর্যার বিষয় নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন। এতে মানুষ সচেতন ও সতর্ক হয়েছে। তাছাড়া বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীরা পত্র-পত্রিকায় ডেঙ্গু মশা নিধনের বিভিন্ন পদ্ধতি উদ্ভাবন এবং গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করেন। জাতীয় দুর্যোগ মোকাবেলায় তাদের এভাবে এগিয়ে আসার বিষয়ে সবার সপ্রশংস দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। জাতির এই কৃতী গবেষকদের এসব অবদানের পরিপ্রেক্ষিতে একটি কথা বলতে হয়, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন গবেষণার জন্য বিপুল অর্থ বরাদ্দ করাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত থাকে। আর গবেষণার উত্তম ফলাফলের জন্য গবেষকদের বিভিন্ন স্বীকৃতি ও সম্মান দেয়া হয়। এসব গবেষণার ফলাফল যাতে মানব কল্যাণে ব্যবহৃত হতে পারে তার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা সব দেশেই রয়েছে। আমাদের শিল্প-সাহিত্য, ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সম্মান ও স্বীকৃতি রয়েছে এটা উত্তম। কেননা যে দেশে গুণীর সম্মান হয় না সেখানে গুণী জন্মগ্রহণ করে না। ভবিষ্যতে বিজ্ঞান গবেষণায়ও এমন সম্মানের ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন। শিল্পকর্ম যেমন মানুষের জীবনকে পরিশীলিত করে, তেমনি বিজ্ঞান গবেষণার ফলাফল জাতীয় জীবনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিরাট অবদান রাখতে সমর্থ হয়। আমাদের দেশে উন্নয়নের নানা ফিরিস্তির কথা শোনানো হয় বটে। কিন্তু জ্ঞানবিজ্ঞানের প্রসার না ঘটলে উন্নয়নকে সাফল্যের শিখরে পৌঁছে দিতে পারবে না। আর বিজ্ঞানের প্রসার না ঘটলে কোনো উন্নয়নই সফল হবে না।
সামগ্রিকভাবে বিবেচনার জন্য আরেকটা কথা উল্লেখ করতে চাই যে, দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সুশাসনের। কিন্তু সুশাসন এখন বলতে গেলে মরীচিকা। আইন কানুনের যথাযথ প্রয়োগ হলেই সুশাসন আসতে পারে। রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের আইন কানুনে তাদের যে দায়িত্ব কর্তব্য নির্ধারণ করা আছে সে বোধ বিবেচনা থেকে যদি সবাই কর্তব্য সম্পাদন করেন তবে দেশে সুশাসন আসতে পারে। দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে তার সুফল কেউ একা ভোগ করবে না। তাই এমন সমৃদ্ধির জন্য সবার এগিয়ে আসার ক্ষেত্রে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি গর্হিত ব্যাপার। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এমন বিড়ম্বনা এলে তা শুধু ক্ষতিকরই নয়, তা রাষ্ট্র সমাজ পরিবার ও ব্যক্তিগত জীবন সবার জন্য সর্বনাশা।
[email protected]