অপকর্ম করে সরকারের দায় চাপানোর খেলা দেশবাসী ধরে ফেলেছে: ফখরুল

logo

স্টাফ রিপোর্টার

(১৯ ঘন্টা আগে) ১ আগস্ট ২০২৩, মঙ্গলবার, ২:৫৩ অপরাহ্ন

mzamin

facebook sharing button

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপি অগ্নিসন্ত্রাসে নয়, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিশ্বাস করে। বরং বিএনপির শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে ভিন্নদিকে প্রবাহিত করতে আওয়ামী লীগই গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে, মানুষ পিটিয়ে মারে। এসব অপকর্ম করে বিএনপির উপর এর দায় চাপাতে চায়। কিন্তু দেশবাসী সরকারের এই খেলা ধরে ফেলেছে।

তিনি বলেন, অগ্নিসন্ত্রাস নয়, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনে নেমেছে বিএনপি। আন্দোলনের মধ্য দিয়েই এই সরকারকে বিদায় করে দাবি আদায় করা হবে।

মঙ্গলবার (০১ আগস্ট)  দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক মানববন্ধনে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের বক্তব্যের জবাবে এসব কথা বলেন ফখরুল। গত ২৯শে জুলাই ধোলাইখালে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে দলের স্থায়ী  কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ  উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে এই মানববন্ধন হয়।

আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ জন্মগতভাবে সন্ত্রাসী দল। সে কারণে দলটির প্রতিষ্ঠাতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী আওয়ামী লীগ থেকে বের হয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন। আওয়ামী লীগ সেই দল যারা সন্ত্রাস করেই ক্ষমতায় টিকে থাকে। এই দলটি নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ১৭৩ দিন হরতাল করেছে। ওই সময় অসংখ্য মানুষকে হত্যা করেছে।

লগি-বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে মানুষ মেরেছে।

তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে রাস্তায় ফেলে সাপের মতো পিটিয়েছে। রাষ্ট্রকে তারা সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।

তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগের কাছে কখনো ভদ্রতা আশা করা ঠিক নয়। তারা কোনকালেই ভদ্র ছিল না। নেতাকর্মীদের আরো দৃঢ় আরও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সমুদ্রে যেমন ঢেউয়ের পর ঢেউ আসে, আগামীতে তেমন আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই সরকারকে বিদায় করা হবে। এতে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী,  যুব মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল,  কেন্দ্রীয় নেতা ডা. দেওয়ান সালাউদ্দিন বাবু, অপর্ণা  রায় চৌধুরী, জাসাসের সদস্য সচিব জাকির হোসেন রোকনসহ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।