অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন জাতির অনিবার্য প্রয়োজন : সিইসি

সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল –

জাতির স্বার্থে অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনিবার্যভাবে প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। সে লক্ষ্যে তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির সাথে সংলাপে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘সংলাপের কয়েকটি পর্ব শেষ হয়েছে। নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণের কথা আমরা পুনর্ব্যক্ত করে যাচ্ছি। সব রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে অংশ নিতে আমরা বারবার অনুরোধ করে যাচ্ছি। অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনিবার্যভাবে জাতির স্বার্থে প্রয়োজন। সে লক্ষ্যে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’

সিইসি আরো বলেন, ‘নির্বাচনে প্রতিযোগিতা-প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রয়োজন। পক্ষ-প্রতিপক্ষের সক্রিয় অংশগ্রহণে নির্বাচনে একটি ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা হয়ে থাকে। এতে করে সম্ভাব্য অনিয়ম, কারচুপি, দুর্নীতি, অর্থশক্তির বৈভব ও পেশিশক্তির প্রভাব বহুলাংশে নিয়ন্ত্রিত হতে পারে। এটা আমরা আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করি।’

আজকের সংলাপে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম এ মুকিতের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নিয়েছে। এ সময় সিইসির সাথে অন্য চার নির্বাচন কমিশনারসহ কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সংলাপে অংশ নেন।

গত ১৭ জুলাই শুরু হওয়া এ ধারবাহিক সংলাপ চলবে ৩১ জুলাই পর্যন্ত। বুধবার বিএনপির সাথে সংলাপের দিন তিনটি দলের সাথে বসার কথা ছিল ইসির। নির্ধারিত দিনে বাংলাদেশ গণতন্ত্রী পার্টি ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি সংলাপে বসলেও আসেনি বিএনপি। তবে বিএনপির জন্য অপেক্ষা করার কথা জানিয়েছেন সিইসি।

সংলাপের শেষ দিন অর্থাৎ ৩১ জুলাই ইসির সাথে বসবে জাতীয় পার্টি (জাপা) ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। ওইদিন এ দুটি দলের সাথে সংলাপ হওয়ার কথা।