Tributes rain down on language martyrs

Source: Bd news24

1 COMMENT

  1. বাংলাভাষা
    মুহাম্মদ আবুল হায়াত জালালাবাদী।।

    হে মোর রুগ্ন, চিত্ত মগ্ন পূণ্য বাংলাভাষা
    প্রয়োগিয়ে সর্ব শক্তি সেবিতে তোমারে মনে আশা।
    আরোগ্যিয়ে ওঠ যদি হে লাবণ্যী তবু শুশ্রূষায়,
    প্রতিক্ষার যুগ কাটে, আজ মোর এই অভিপ্রায়।
    হে সুন্দর, হি মধুর অনর্গ্ল খাসা
    স্বীয় রূপ অভিব্যাপ্তি উঠো গো সহসা।
    সংস্কৃত,বংকিমাদি, হেম,ঈশ্বরের,
    কুশাসাসনে জর্জরিতা, কলংক বিশ্বের?
    বীরভোগ্যা হে মোহিনী যাক্ টুটি দুর্দশা ও যত অভিশাপ,
    ছাড় আজ স্বস্তির নিঃশ্বাস।।
    কুটিল বংকিম চন্দ্র কুরচনা রচি
    তোমার সতীত্বে গ্লানি অপবাদ খচি
    ধন্য তব পূণ্য অঙ্গে, হে বাংলাভাষা
    পরে দিয়ে লৌহবেড়ি হরে নিয়ে আশা
    পুতুল পূজায় আর নরবলি পটে
    জীঘাংসায় দেয় বলি ‘আনন্দের মঠে’!
    হে মোর দুঃখিতা ভাষা দুর্দশার প্রান্থে
    তুমি কাঁদিয়াছ নিশিদিন, তব প্রতি গ্রন্থে
    ছড়িয়া পড়িয়া বিষে যাতিছে অশেষ,
    সন্তান সুলভ যত্নে যাও ভুলি ক্লেশ।
    সুখে হাস, অসুখের রাত আজ হোক্ অবসান
    জাতক্রোধ নীচতার অশ্লীল গ্লানীতে আর নও মুহ্যমান।
    চোখ খুল হে কামিনী শোষণের বহু শর্বরী,
    টুটে গিয়ে ঊষাদ্যোতি পড়ে বিশ্বছড়ি।
    গাহিছে মঙ্গলগীতি, তব অর্চনা,
    সাদরে তোমারে নাতো করি সর্ম্বধনা।
    বাঙালীর ভাষা তুমি নয় যে হিন্দুর,
    সুবিশাল বক্ষ তব নহে তো বন্ধুর।
    মন্দির শংখের ধ্বনি গিয়াছে থামিয়া
    যত্নের পরম রত্ন কৃষ্ণাক্তুর যবনিকা গিয়াছে টানিয়া।
    আত্মঘাতী স্বার্থ্ গৃধ্নু যত হীনপ্রান
    সাধনার ছলে করেছিল অপমান
    আজ তারা মৃত্তিকায় মিশায় কংকাল
    শশ্মানে বিরাজে ষেথা কুকুর শৃগাল!
    শোণিত চোষণকারী ক্লিব অরিদল
    মৃত্তিকায় কীট সনে করে কোলাহল।
    মুক্ত তুমি মূর্ত নাতো ভকতি গৌরবে,
    তোমার সৌরভে
    ভরিয়া উঠুক স্ফূর্তে সাহিত্য কানন,
    গড়িয়া উঠুক এক নতুন জীবন।
    কোটি কোটি বাঙ্গালীর নিয়ে আশীর্বাদ
    ভুলে যাও যুগান্তের যত ফরিয়াদ।
    সেবার পূণ্যব্রতে স্বীয় সূতে সেবিয়া তোমারে
    রাখিবে উদ্রিক্ত করি শাশ্বত আভারে।
    দ্যোতি তব অন্ধকরে আনাচে কানাচে
    পড়িবে ছড়িয়ানাতো বিপুল হরষে;
    উঠিবে হাসিয়া সৃষ্টি লভি সত্যনিষ্ঠা
    যোগ্য সিংহাসনে তোমা করি যে অধিষ্ঠা।
    ইসলাম এহসান দানি সাম্যের মর্য্যাদা
    অঙ্গ হতে নেবে মুছি কালিমা ও কাদা।
    আরব্য, পারস্য আর কৃষ্ণ সিন্ধু সেঁচি
    শুক্তি,মনি-মুক্তা পাদে দেবে আান যাচি।
    পরিস্ফূট হয়ে হয়ে বিত্তে, ঐশ্বর্য্যশালীনী
    জুড়িয়া সমগ্র বিশ্ব বাজাবে রাগিনী!
    নিরংকুশ তওহিদের বানী ঝংকারিয়া
    অতীতের গ্লানি যত নিবে গো মুছিয়া।
    মুক্তি লভি অভিঘাতে ব্যাপা লভি নাতো
    গর্ব্ কর স্বীয় সত্ত্বে,তুমি সর্ব জাতঃ

Comments are closed.