ব্রহ্মপুত্রের পানি বেড়ে শেরপুর-জামালপুর মহাসড়কের উপর দিয়ে প্রবাহিত

ব্রহ্মপুত্রের পানি বেড়ে শেরপুর-জামালপুর মহাসড়কের উপর দিয়ে প্রবাহিত – ছবি : বাসস

ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি পেয়ে শেরপুর-জামালপুর মহাসড়কের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় শেরপুর থেকে উত্তর বঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, ব্রহ্মপুত্র নদের জামালপুর ঘাট পয়েন্টে বিপদ সীমা ৪ সেন্টিমিটারের নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নদসংলগ্ন সদর উপজেলার চর পক্ষীমারী, চর মোচারিয়া ও কামারেরচর ইউনিয়নের ১৭টি গ্রাম প্লাবিত হয়। সেই সঙ্গে ভোগাই নদীর ঢলের পানি নি¤œাঞ্চলে নেমে আসায় উপজেলার গাজীরখামার ইউনিয়নের ৩ টি গ্রাম প্লাবিত হয়। ওই সব গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

সদর উপজেলার হরিণধরা গ্রামের প্রান্তিক কৃষক শফিকুল ইসলাম বলেন, ৫ শতাংশ জমিতে তিনি আমন বীজতলা করেছেন। বন্যার পানিতে সব তলিয়ে গেছে। পানি সরে গেলে সরকার থেকে সহায়তা না দিলে আবাদ করা সম্ভব হবে না। ওই গ্রামের আরেক কৃষক শুক্কিল বলেন, এক একর জমিতে সবজি আবাদ করেছেন। হঠাৎ বন্যায় সব তলিয়ে গেছে।

চরপক্ষীমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আকবর আলী বলেন, বন্যার পানিতে তার ইউনিয়নের কুলুরচর ব্যাপারীপাড়া, নতুন ভাগলগড়, চুনিয়ারচর, টাকিমারী, ডাকপাড়া ও জঙ্গলদী গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বিপুলসংখ্যক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
চরপক্ষীমারী ইউপির ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জাফর আলী বলেন, বন্যাকবলিত কুলুরচর ব্যাপারীপাড়া গ্রামের প্রায় দেড়শ পরিবার জামালপুর শহর রক্ষা বাঁধ ও কুলুরচর ব্যাপারীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছে।

সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পিকন কুমার সাহা জানান, বন্যায় ১ শ’ হেক্টর জমির আমন বীজতলা ও ২০ হেক্টর জমির সবজির আবাদ পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।
পাউবো, জামালপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাইদ বলেন, শেরপুর সদর উপজেলার ব্রহ্মপুত্র সেতু পয়েন্টে নদের পানি বিপৎসীমার মাত্র ৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ পানি আরো বাড়বে।
সূত্র : বাসস