ওয়েষ্টমিনিষ্টার টাইপের গণতন্ত্র এবং কৃত্রিম সতীচ্ছেদ পর্দা

Minar Rashid

বিয়ের পিড়িতে বসেছেন তিনি মাত্র তিন বার। বয়ফ্রেন্ড বদল করেছেন বেশ কয়েক বার । এই ধরনের আরো অনেক স্ক্যান্ডাল এই দেবির নামে ছড়িয়ে আছে। ত্রিশ বছর বয়স্ক ইন্দোনেশিয়ার এই দেবির নামটিও দেবি, দেবি পারসিক।

২০১১ সালে আশে পাশের দুয়েকটি দেশের মানুষও তার নামটি জেনে যায়। সৌদি আরব থেকে ওমরাহ পালন করার পর মিসর থেকে সংক্ষিপ্ত একটা অপারেশন করে এসেছেন। এই অপারেশনের মাধ্যমে হাইমেন বা সতীচ্ছেদ পর্দা সংযুক্ত করে তিনি আবার পুরাপুরি সতী বা ভার্জিন হয়ে পড়েছেন। তার কথায়,
“I’ve undergone surgery. My status is divorced but my physical condition is now virginal,”

আমাদের মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী পশ্চিমা দেশগুলিতে গেলেই দেশে গণতন্ত্র – এমনকি ওয়েষ্টমিনিস্টার স্টাইলের গণতন্ত্র কায়েম করে ফেলেছেন বলে দাবি করেন। এসব কথা বলে তিনি একটুও টায়ার্ড হন না।

আমাদের প্রধানমন্ত্রীর গণতন্ত্রের দাবি আর ইন্দোনেশিয়ার এই দেবির সতীত্বের দাবির মধ্যে চমৎকার মিল রয়েছে। দুজনের মনেই একই কিছিমের আত্মতুষ্টি কাজ করছে বলে মনে হচ্ছে।

দা গার্ডিয়ানের সাথে এক সাক্ষাৎ কারে নিজস্ব ইংরেজি বাচনভঙ্গীতে তিনি বলেছেন, I do politics for the people, not for me….People are enjoying democracy now……
All the democratic institutions are working now and people are satisfied and people are enjoying it. So the you say I am dominating , I am not dominating, I am serving the people.

সেই সাক্ষাৎকারে গণতন্ত্র সম্পর্কে তার সর্বশেষ কথাগুলি ছিল, In our country we practice democracy like your Westminister type democracy, so as long as people want, I will be there…..
দেবি পারসিক যেমন মিসর থেকে ছোট্ট একটু অপারেশন করে আবারো সতী হয়ে পড়েছেন, তেমনিভাবে এরশাদকে সিএমএইচে ভর্তি করে আমাদের ওয়েষ্ট মিনিস্টার টাইপ গণতন্ত্রের সতীচ্ছেদ পর্দা সংযুক্ত করা হয়েছে ।
দেবি পারসিকের আছে ফ্যাব্রিকেটেড হাইমেন। আমাদের ওয়েষ্টমিনিস্টার টাইপের গণতন্ত্রে আছে একটি ফেব্রিকেটেড বিরোধী দল। দেবি পারসিকের সেই পর্দায় সম্ভবত কোন ছিদ্র ছিল না। কিন্তু আমাদের তথাকথিত এই ওয়েষ্ট মিনিস্টার নামক গণতন্ত্রের পর্দায় বেশ কয়েকটি দৃশ্যমান ছিদ্র রয়েছে। এরশাদ হয়েছেন মন্ত্রীর পদ মর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত।আরো কয়েকজন মন্ত্রীও আছে এই বিরোধী দলটি থেকে।

কাজেই দেবি পারসিকের পরবর্তি স্বামী বা বয়ফ্রেন্ড যেমন করে তার স্ত্রীর বা গার্লফ্রেন্ডের সতীত্ব উপভোগ করেছে, এদেশের মানুষ তেমন করেই ওয়েষ্ট মিনিস্টার টাইপের গণতন্ত্র উপভোগ করছে !!!

অন লাইন এবং অফ লাইনের সকল বন্ধু ও শুভাকাঙ্খীদের ঈদের বিনোদনের জন্যেই এই পোষ্টটি করেছি। সত্য কথা উচ্চারণের জন্য যারা আমাকে অপছন্দ করেন, লেখার কোন বক্তব্য নিয়ে কোনরূপ মন্তব্য না করে শুধু নাম বা শিরোনাম দেখেই গালাগালি করেন – আশা করি, তারাও এর বিনোদন পার্ট থেকে বঞ্চিত হবেন না।
সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা। সুন্দর থাকুন। নিরাপদে থাকুন।