The Prime Minister’s speech is uncultured

fakhrul--3

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে ‘শিষ্টাচার বিবর্জিত’ আখ্যা দিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য জাতিকে নতুন কিছু দিতে পারেনি। বরং হতাশায় নিমগ্ন করেছে।
আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল এ কথা বলেন।
এর আগে আজ বিকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন, রক্ত নিয়ে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া ক্ষমতায় যেতে চান।
প্রধানমন্ত্রীর ওই বক্তব্যের পরপরই নয়াপল্টনে সংবাদ সম্মেলনে এর প্রতিক্রিয়া জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপির মুখপাত্র বলেন, ‘তাঁর (প্রধানমন্ত্রী) মুখে এ কথা মানায় না। কারণ আমরা ভুলে যাইনি তিনি বিরোধী দলে যখন ছিলেন, চট্টগ্রামে গিয়ে বলেছিলেন একটি লাশের বদলে আমাকে ১০টি লাশ এনে দিতে হবে। আমরা ভুলে যায়নি, বিরোধী দলে যখন ছিলেন তখন তারা (আওয়ামী লীগ) গান পাউডার দিয়ে ১১ জনকে হত্যা করেছিল। আমরা ভুলে যাইনি রক্ষিবাহিনীর হাতে ৭২ থেকে ৭৫ পর্যন্ত দেশে ৪০ হাজার তরুণের প্রাণ গিয়েছিল’।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য সব সময়ই এ ধরণের শিষ্টাচার বিবর্জিত থাকে। প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকে আমরা আজ যে ভাষায় কথা শুনেছি এ ভাষা জাতি আশা করে না।’
খালেদা জিয়া মুচলেকা দিয়েছেন বলে প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগের জবাবে ফখরুল বলেন, ‘খালেদা জিয়া কোনো মুচলেকা দেননি।’ তিনি পাল্টা অভিযোগ করেন, বরং এ সরকার গত চার বছরে অনেক গোপন চুক্তি করেছে। যা মানুষ জানে না। তিনি বলেন, আমরা জানতে চাই ট্রানজিট, বন্দর ব্যবহারের অনুমতি কীভাবে দেওয়া হয়েছে? কেন সরকার সীমান্তে হত্যার প্রতিবাদ করে না? বিডিআর হত্যার পেছনে রহস্য কী ছিল? মানুষ এই সব প্রশ্নের উত্তর চায় বলে তিনি দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল জানান, ১৮ দলের চলমান হরতাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত চলবে। আজ সকাল থেকে মানুষ সারাদেশে স্বতস্ফূর্তভাবে হরতালে সাড়া দিয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন। আজকের হরতালে সারাদেশে তাঁদের ছয় শ য়ের বেশি নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং চার শ য়ের বেশি নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন ফখরুল।
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, একক কতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় প্র্রধানমন্ত্রী হিংস্র হয়ে ওঠেছেন।

Source: Prothom-Alo

1 COMMENT

  1. The incumbent prime minister of Bangladesh needs to under go rehabilitation in all forms of her being a human-being to hold the highest office of the country. It is utterly disgusting and unbecoming of being the head of the cabinet to talk and pass uncalled for remarks; let alone the other colleagues of her cabinet to any of the opposition members of the political parties. Instead of cementing the foundation of parliamentary democracy, the ongoing trend of the present govt. is pushing the country towards utter chaos, confusion, conflicts and erecting barriers for the forthcoming general election to the so-called parliament.

Comments are closed.