জোয়ার-ভাটায় ওঠানামা চেতনা এবং প্রেমাস্পদের দেয়া মধুর বেদনা
বেদনা মধুর হয়ে যায় তুমি যদি দাও…। জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা ঘোষণার পর সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবীসমাজের মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখে রোমান্টিক গানের এই কলিটি মনে পড়ে যায়। এই দেশে সম্পাদক পরিষদ নামে সম্পাদকদের একটি ফোরাম রয়েছে। বাকস্বাধীনতা, চিন্তার স্বাধীনতা ও জরায়ুসহ সব অঙ্গপ্রত্যঙ্গের স্বাধীনতায় অত্যন্ত সচেতন ও স্পর্শকাতর একটি সুশীল শ্রেণী রয়েছে। চেতনার পান থেকে সামান্য চুন খসলেই খবর হয়ে যায়। আবাসিক হলগুলোর মেয়েদের সুরক্ষার জন্য সান্ধ্য আইনকে এরা ব্যক্তিস্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ মনে করে। এই কিসিমের মধ্যযুগীয় কানুন দেখলেই এরা গলা কেটে ফেলা মুরগির মতো ‘তরফা’তে থাকে; কিন্তু মিডিয়ার কণ্ঠ চেপে ধরা জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা নিয়ে তাদের তেমন কোনো বিকার দেখা যাচ্ছে না। দুয়েকজন মিহি স্বরে যা বলছেন তা-ও যাত্রার সেই নায়িকার প্রতিবাদের মতো লাগছে , ‘শয়তান, তুই আমার দেহ পাবি তো মন পাবি না।’ দেহটি শয়তানের হাতে সমর্পণ করে সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবীসমাজের একটি অংশ এখন মনটি পূতপবিত্র রাখার প্রচেষ্টায় নেমেছেন। অর্থাৎ জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা নিয়ে শয়তান দেহটি ভোগ করে যাবে, আর এই প্রেয়সীরা মাঝে মধ্যে এমন মিহি ও মধুর স্বরে শুধু ধমক দিয়ে যাবেন।
নিজের কিছু ব্যক্তিগত কাজে খানিকটা ব্যস্ত থাকায় মাঝখানে অনেক দিন লিখতে পারিনি। তা ছাড়া মনটাও কেন যেন বিক্ষিপ্ত হয়ে পড়েছিল। মনে হচ্ছিল এসব ছাইপাশ লিখে আর কী হবে? এক ধরনের ক্লান্তি ও অবসাদ ভর করেছে । আর কত দিন এভাবে লিখতে পারব, তা নিয়েও শঙ্কায় পড়ে গিয়েছি । আমরা চেয়ে চেয়ে দেখছি, আর খেলারাম একের পর এক তার মতো খেলে যাচ্ছে।
ব্রিটিশ আমল ছিল পুরো পরাধীন যুগ, দাসত্বের যুগ। সেই যুগেও এক কবি বলতে সাহস করেছিলেন, ‘এ দেশ ছাড়বি কি না বল, নইলে কিলের চোটে তোদের হাড় করিব জল।’ কবি সে দিন বিদেশী শাসকদের যেভাবে শাসাতে পেরেছিলেন, এখন এরা আমাদের যত ত্যক্তবিরক্ত করুক, আমরা মনের সেই কথাটি বলতে পারব না।
ব্রিটিশেরা এই দেশ ছেড়ে যাওয়ার পর এই ভূখণ্ডের মানুষ প্রথম স্বাধীনতার স্বাদ আস্বাদন করে। তাত্ত্বিকভাবে এই ভূখণ্ড স্বাধীন হয়ে যায়; কিন্তু বাস্তবে আমাদের আবারো পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ করে ফেলা হয়। শাসক শ্রেণীর বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলেই তা রাষ্ট্র ও ধর্মের বিরুদ্ধে অবস্থান বলে গণ্য হয়ে পড়ত। কাজেই আবার স্লোগান ওঠে, এ আজাদি ঝুটা হ্যায়। এ স্বাধীনতা মিথ্যা। ঝুটা আজাদি বাদ দিয়ে আমরা প্রকৃত স্বাধীনতার জন্য দীর্ঘ সংগ্রাম করলাম। অনেক মূল্য দিয়ে আবারো স্বাধীনতা অর্জন করলাম। আশা ছিল, এবার মন খুলে কথা বলতে পারব; কিন্তু না, প্রথমেই সেই আশায় গুড়ে বালি। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে পাকিস্তানি শাসক ও শোষকদের সহজেই শনাক্ত করতে পেরেছি; কিন্তু বাকশালী শোষকদের সেভাবে আইডেন্টিফাই ও পরাস্ত করা সম্ভব হলো না। ইতিহাসের অনেক চড়াই উৎরাই পার হয়ে আবারো সেই একই শকুন হানা দিয়েছে।
পাকিস্তান আমলে যতটুকু বাকস্বাধীনতা ছিল, এখন তার চেয়েও অনেক কমে গেছে। সামনে আরো কমবে।
বিরোধী বা ভিন্ন মতাবলম্বী নেতাদের প্রতি এখনকার শেখ সাহেব ও সাহেবানরা যে জঘন্য আচরণ করছেন, তা শোনলে তখনকার খান সাহেবরাও মর্মপীড়ায় মারা যেতেন। ভিন্ন মতের নেতাদের পায়ে ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়েছে। সম্প্রচার নীতিমালা করে সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠে একই শিকল বাঁধতে চাচ্ছে।
১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট থেকে ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চ পর্যন্ত পাকিস্তানি শাসকেরা যতজন মানুষকে সাকুল্যে হত্যা করেছে আজকের সরকার প্রতিদিন তার চেয়ে অধিকসংখ্যক মানুষকে হত্যা করছে। এই খান সাহেবেরা এ দেশের মানুষকে যতটুকু কথা বলার স্বাধীনতা দিয়েছিল, এই বাকশালীরা ততটুকু স্বাধীনতাও মানুষকে দিতে চাচ্ছে না।
নদীতে জোয়ার-ভাটার মতো আমাদের আবেগ-আহলাদ-উচ্ছ্বাস-জ্ঞান-গরিমা-চেতনা প্রভৃতি এক বিশেষ জোয়ার আর ভাটায় আন্দোলিত হয়। বাকস্বাধীনতা, চিন্তার স্বাধীনতা প্রভৃতিতেও এই জোয়ার-ভাটার প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। নিজের বোধ বিশ্বাসের শিকড় উপড়ে ফেলানো প্রগতির চাঁদটি যখন টান মারে, তখন আমাদের সব কিছুর জোয়ার শুরু হয়ে যায়।
চারদলীয় জোট সরকারের শেষ সময়ে দৈনিক পত্রিকাগুলোয় মন্তব্য প্রতিবেদনের জোয়ার বইয়ে যেত। ‘গেল গেল সব গেল’ এ ধরনের ধ্বনি সর্বত্র ধ্বনিত ও প্রতিধ্বনিত হতো; কিন্তু আজ যখন জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালার মাধ্যমে এ সব কিছু চলে গেল, তখন ওইসব মন্তব্য প্রতিবেদনওয়ালাদের টিকিটিরও দেখা মিলছে না। আরো আশ্চর্য লাগছে যে সাংবাদিকসমাজের একটি অংশ ও টিভি চ্যানেলের হর্তাকর্তারা এই ধরনের একটি নীতিমালার জন্য অধীর আগ্রহে অপো করছিলেন!
হায়রে সেলুকাস! কী বিচিত্র এই দেশ। বার বার ধর্ষিতা ধর্ষকের বাড়ির সামনে অনশন করে তাকে ধর্ষণ করার জন্য! এই দেশে অন্য অনেক কিছুর অভাব থাকলেও দালাল নামের প্রজাতির কখনো অভাব হয়নি। সমাজকল্যাণমন্ত্রী যখন সাংবাদিকদের কষে গালি দিচ্ছিলেন, সাংবাদিকদের চিপে চিপে সব রস বের করার কথা রসিয়ে রসিয়ে বলছিলেন, খবিস ডাকছিলেন, তখনো দর্শক সারি থেকে মুহুর্মুহু ও তুমুল হাততালি পড়ছিল। এতে উৎসাহিত হয়ে মন্ত্রী মহোদয় তার স্পিড কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। পরের দিন মন্ত্রী তার মন্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন; কিন্তু সেই মন্তব্য শুনে যারা উৎফুল্ল হয়ে হাততালি দিয়েছেন, সেসব হাততালির তাহলে কী হবে?
সমাজকল্যাণমন্ত্রীর কথাটি খারাপ লাগলেও সম্প্রচার নীতিমালার বাস্তব চিত্রটিই তিনি অত্যন্ত চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালার এর চেয়ে সুন্দর তরজমা কিংবা উপস্থাপনা এ যাবৎ আর কেউ করতে পারেননি। এই নীতিমালার মাধ্যমে বেয়াড়া সাংবাদিক, কলামিস্ট ও টকশোতে যারা কথা বলেন, তাদের চিপে চিপে গতরের সব রস বের করে ফেলা হবে।
সমাজকল্যাণমন্ত্রীর এমন সুন্দর মন্তব্য নিয়ে অহেতুক ঝামেলা পাকানো হচ্ছে । উনি অত্যন্ত ন্যায্য কথাটিই বলে ফেলেছেন। প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক জগতের এই প্রজাতির সদস্যরা
দুশ্চিন্তায় ও টেনশনে এখন স্বাভাবিক দাম্পত্যজীবনও (মন্ত্রী মহোদয় গ্রাফিক চিত্র দিয়ে কথাটি আরো সরাসরি বলেছেন) যাপন করতে পারবেন না। তবে সরকারের গুণমুগ্ধদের কথা ভিন্ন।
আমাদের দেশের ডাক্তাররা রোগীকে ক্যান্সার বা এ ধরনের মারাত্মক সংবাদগুলো জানাতে ইতস্তত করেন; কিন্তু বিদেশের ডাক্তাররা তা সহজ ও স্বাভাবিকভাবে জানিয়ে দেন। মন্ত্রী মহোদয় বিদেশী ডাক্তারদের মতো সহজ ভঙ্গিতে সবার আগে ‘সম্প্রচার নীতিমালা’ নামের ক্যান্সারটির কথা সাংবাদিকদের জানিয়ে দিয়েছেন, ‘আপনাদের জন্য এমন আইন করা হচ্ছে যাতে আপনাদের স্বাধীনতা বলে কিছু থাকবে না।’
সবাই এখন সমাজকল্যাণমন্ত্রীর বিরুদ্ধে লেগে গেছেন। অথচ একইভাবে প্রধানমন্ত্রী কিছু দিন আগে তার সমালোচকদের একহাত নিয়েছেন। ‘ভালোর পসরা’ নামের এক লেখায় তিনি লিখেছিলেন, লেখালেখি, মধ্যরাতের টেলিভিশনে টকশো, গোলটেবিল, লম্বাটেবিল, চৌকোটেবিল, সেমিনার কোথায়? নেই তারা? তাদের সবার মাথায় তিনি ফেরিওয়ালার খাঁচা তুলে দিয়েছিলেন, ‘ভালো লাগবে গো, আরো ভালো।’
মন্ত্রী মহোদয় কী প্রক্রিয়ায় সাংবাদিকদের গতরের রস বের করতে চেয়েছিলেন তা স্পষ্ট না করলেও প্রধানমন্ত্রী কিন্তু তা করেছিলেন। তিনি সমালোচকদের এসির বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন করে তাদের গতরের রস বের করতে চেয়েছিলেন।
এক বিয়ের আসরে মন্ত্রীর ‘ডাইলে-চাইলে উতলালে গো সই,- আহা শ্যাম পিরিতি আমার অন্তরে’ গান নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। মন্ত্রীর সাথে বেশ কয়েকজন চামচাও অত্যন্ত উৎফুল্ল হয়ে এই গানে ঠোঁট মিলিয়েছিলেন। একটু-আধটু নয়, পুরো গানটিই গেয়েছিলেন।
আমাদের প্রধানমন্ত্রী লন্ডনে গিয়ে ড. ইউনূস ও হিলারি ক্লিনটনকে রাধাকৃষ্ণ বানিয়ে একই মেজাজের আদি রসাত্মক গান লন্ডনের আওয়ামী নেতাদের সাথে নিয়ে গেয়েছিলেন, ‘কৃষ্ণ আইলা রাধার কুঞ্জে, ফুলে বাইলা ভোমরা, ময়ূর বেশেতে সাজুইন রাধিকা।’
দু’টি গানই একই ধরনের ‘চালে ডাইলে উতলানো’ মার্কা। কাজেই বেচারা মন্ত্রী মহোদয়কে অহেতুক মন্দ বলে লাভ কী? চাইলে-ডাইলে চরমভাবে উতলানো এই মন্ত্রী মহোদয়কে এসব কাজের জন্য শাসানোর নৈতিক অধিকার প্রধানমন্ত্রীর কতটুকু রয়েছে তা-ও ভেবে দেখা দরকার। এই সরকারের ‘চাইলে-ডাইলে উতলানোর’ বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর জন্য দৈনিক আমার দেশ, দিগন্ত টিভি, ইসলামিক টিভি, চ্যানেল ওয়ান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এখন যারা একটু আধটু সরকারের সমালোচনা করেন তারা নিষিদ্ধ হওয়ার বা গুম-গ্রেফতারের ঝুঁকি নিয়েই তা করে থাকেন। এতেও সরকার সন্তুষ্ট নয়। সীমিত স্বাধীনতা নিয়েও মিডিয়া সরকারকে বিব্রত অবস্থায় ফেলে দিয়েছে। কাজেই সমাজকল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসীন আলীর কথামতো মিডিয়াকে কষে সব রস বের করতে হবে এবং সেই কাজটিই করবে জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা। এই ধরনের কোনো সম্প্রচার নীতিমালা ছিল না বলেই র্যাবের তিন অফিসারকে আজ জেলে যেতে হয়েছে। এই নীতিমালা ছিল না বলেই নজরুলের শ্বশুর র্যাবের ভাড়াখাটার গল্প জনসম্মুখে প্রকাশ করতে পেরেছেন। এই সম্প্রচার নীতিমালা ছিল না বলেই আরো অনেক কাহিনী প্রকাশ্যে এসেছে। লক্ষ্মীপুরের তাহেরের ছেলে বিপ্লব আর কয়েকটা দিন সবুর করতে পারলেই তার জেলখানায় বিয়েটি নিয়ে এমন তোলপাড় হতো না।
অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা নিয়ে আর কিছু করার শক্তি আমাদের নেই। এখন চাইল (সরকার) আর ডাইল (দালাল মিডিয়াগুলো) উতলিয়ে কোথায় যায়, তা দেখার জন্য অপো করতে হবে।
ওই মন্ত্রী মহোদয়ের সিরিজ উপাখ্যানটি অনেক লম্বা। তিনি আরো বলেছেন, ‘আপনারা মঞ্চে আমার চোখ বন্ধ অবস্থায় ছবি তুলে পত্রিকায় প্রকাশ করেন আমি ঘুমাই। আমি মঞ্চে এলে ঘুমাই না। চোখ বন্ধ করে চিন্তা করি দেশ ও মানুষের জন্য কী করতে হবে।’
মাননীয় মন্ত্রীর মুদিত দুই আঁখি নিয়ে দেশবাসী ভুল বুঝত না, যদি দেশে একটি সম্প্রচার নীতিমালা ঠিকভাবে কার্যকর থাকত। মন্ত্রীদের শরিয়তি অর্থাৎ প্রকাশ্য কাজ কারবার নয়, শুধু মারেফতি কাজের খবর পত্রিকায় প্রকাশ হতো। অর্থাৎ আপনি চর্মচোখে যা দেখছেন তা নয়, আপনাকে বিশ্বাস করতে হবে তারা ঘটনাটির কী ব্যাখ্যা দেন তার ওপর। এমন মারেফতি খবর নিত্য প্রকাশ করে চলেছেন সুদূর লন্ডন থেকে প্রবাসী এক কলামিস্ট। জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা কার্যকর হলে এসব মারেফতি লেখার বিরোধিতা তখন দেশ ও জাতির বিরোধিতা বলে গণ্য হবে।
লন্ডন প্রবাসী কলামিস্ট শেখ কামালের স্মরণে গত ৫ আগস্ট একটি মারেফতি ধরনের কলাম লিখেছেন। এই কলামিস্টকে যারা চিনেন তাদের বিশ্বাস শেখ কামাল সম্পর্কে তার তখনকার ধারণা ও বর্তমান ধারণায় আকাশ-পাতাল পার্থক্য আছে। তিনি লিখেছেন, ‘একবার বঙ্গবন্ধু জেল থেকে ছাড়া পেয়ে এসেছেন। কামাল তখন খুব ছোট। বাড়িতে একজন অপরিচিত লোককে দেখে বিস্মিত হলেন। তিনি আরো বিস্মিত হলেন, যখন তিনি দেখলেন বড় বোন হাসিনা তাকে আব্বা ডাকেন। তিনি চুপি চুপি হাসিনাকে বললেন, হাসু আপা, হাসু আপা, তোমার আব্বাকে আমি একটু আব্বা ডাকি! বঙ্গবন্ধুর নিজের কাছ থেকে গল্পটি আমার শোনা।’
কিন্তু মুশকিল হলো, যে কথাটি বঙ্গবন্ধু নিজে তাকে বলে গেছেন, হুবহু একই গল্প অনেক আগেই প্রায় সব পাঠক বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী থেকে পড়ে ফেলেছেন। বইটির উল্টো দিকের মলাটে এই কাহিনীটি হুবহু লেখা রয়েছে। যারা বইটির ভেতরে পড়েননি, শুধু হাতে নিয়ে বইটি উল্টিয়েছেন মাত্র তাদের দৃষ্টিতেও এই লেখাটি পড়েছে। ভেতরের কোনো গল্প হলেও না হয় কথা ছিল। কাজেই বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তার এই ধরনের মারেফতি গালগল্পের সমালোচনা কি বঙ্গবন্ধুর বিরোধিতা বলে গণ্য হবে?