If there is no judicial inquiry into Toki’s death, there will be rebellion against the government in Narayanganj

P3_toqir-khunider-bichar

‘গুম-খুনের রাজনীতি : ত্বকী হত্যা ও আমাদের নারায়ণগঞ্জ’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় শামীম ওসমান ও তার পরিবারকে নারায়ণগঞ্জ থেকে নির্বাচন, রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে বয়কট করার ঘোষণা দিয়েছেন বক্তারা। সেই সঙ্গে ত্বকীর খুনিদের গ্রেফতার ও সুষ্ঠু বিচার না হলে নারায়ণগঞ্জ থেকে সরকারবিরোধী আন্দোলন শুরু করার আহ্বান জানান গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকি। খুনিদের গ্রেফতারের জন্য প্রশাসনকে ৭২ ঘণ্টা সময় দেন সাইফুল হক। গতকাল সকাল ১১টায় শহরের পুরাতন বার মিলনায়তনে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার আয়োজনে মতবিনিময় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা নারায়ণগঞ্জ জেলার সমন্বয়ক আবু হাসান টিপু। এ সময় বক্তব্য রাখেন গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, সংগঠক সাইফুল হক, নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি কবি হালিম আজাদ, খেলাঘর নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি রথিন চক্রবর্তী, নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, জেলা সিপিবি সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, জেলা বাসদ সমন্বয়ক নিখিল, জেলা ন্যাপ সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আওলাদ হোসেন, জেলা ওয়াকার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক হিমাংশু সাহা, জেলা কৃষকলীগের সভাপতি রোকনউদ্দিন আহম্মেদ, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সভাপতি অমল আকাশ, সাংবাদিক নাফিজ আশরাফ, সাংবাদিক মোস্তাফা কামাল প্রমুখ। মতবিনিমিয় সভায় জেলা খেলাঘরের সভাপতি রথিন চক্রবর্তী বলেন, আমরা জামায়াতকে চিনি। জামায়াত-শিবিরও আমাদের চেনে। তাই এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যদি জামায়াত-শিবির জড়িত থাকত তবে তারা রফিউর রাব্বিকে খুন করত। তার ছেলে ত্বকীকে নয়।
গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু বলেন, নারায়ণগঞ্জে মানুষ তাদের শত্রুকে নিশ্চিত করতে পেরেছে। নারায়ণগঞ্জে মানুষ আর শামীম ওসমান ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর কাছে জিম্মি থাকতে চায় না। গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা সাইফুল হক ত্বকীর খুনিদের গ্রেফতারের জন্য প্রশাসনকে ৭২ ঘণ্টার সময় বেধে দিয়ে বলেন, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে যদি প্রশাসন ত্বকীর খুনিদের গ্রেফতার না করে আর হত্যার যদি সুষ্ঠু বিচার না হয় তবে নারায়ণগঞ্জের মানুষের কাছে সরকারবিরোধী আন্দোলন করা ছাড়া আর কোনো পথ খোলা থাকবে না। গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকি বলেন, ত্বকী হত্যার বিচার নারায়ণগঞ্জবাসী পাবে না, কারণ শামীম ওসমানের পেছনে শাসকগোষ্ঠীর সর্বোচ্চ পর্যায়ের আশীর্বাদ রয়েছে। জেলা কৃষকলীগের সভাপতি রোকনউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, শামীম ওসমান ও তার পরিবার রাজনৈতিক পরিবার। রাজনীতিকে পুঁজি করে তারা অপকর্ম করে থাকে। প্রতিটি খুনের পর তারা নিজেদের লোক খুন করে ব্যালেন্স করে। সাংবাদিক মোস্তফা করিম বলেন, এর আগে নারায়ণগঞ্জে বেশ কয়েকটি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। তার পেছনে ওই বিশেষ মহল দায়ী। সেসব হত্যাকাণ্ডকে ধামাচাপা দিতে পরে তারা নিজেদের লোককেই হত্যা করেছে এমন ঘটনাও নারায়ণগঞ্জে ঘটেছে। তাই ত্বকী হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দিতে আরও হত্যা হতে পারে। ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদাক অ্যাডভোকেট আওলাদ হোসেন বলেন, শামীম ওসমান ও তার পরিবার সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, বালু মহাল দখল, লুটপাট খুনসহ এমন কোনো কাজ নেই যা তারা করে না। ত্বকী হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দিতে আরও একটি হত্যাকাণ্ড হবে কি না এ নিয়ে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন। নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সভাপতি অমল আকাশ বলেন, শামীম ওসমান ও তার পরিবার এমন শক্তিশালী হয়ে ওঠার পেছনে নারায়ণগঞ্জে ব্যবসায়ীরা দায়ী। এ মহলটির প্রধান শক্তি অর্থ ও অস্ত্র। তারা যখন দেশে ছিল না তখনও নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ীরা ভয়ে বিদেশ গিয়ে তাদের চাঁদা দিয়ে এসেছে। সেই টাকা দিয়ে তারা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে মন্ত্রীদের কিনেছে। যার ফলে কোনো হত্যাকাণ্ডেরই বিচার হয়নি। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, কবি অভিজিত্ রায়, শ্রমিক নেতা হুমায়ুন কবির, আহমেদ বাবলু, সঙ্গীত শিল্পী শাহীন মাহমুদ, কবি ফাহমিদা আজাদ, কবি রইছ মুকুল, স্বপন দাস গুপ্ত, গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টির ডা. শামসুল আলম, কবি শ্যামল দাস, কবি আরিফ বুলবুল, বিমল কান্তি দাস, সাংস্কৃতিক সংগঠক অংকন সাহা রানা, শ্রুতি সাংস্কৃতিক একাডেমির পরিচালক ধীমান সাহা প্রমুখ।

Source: Amar Desh

1 COMMENT

  1. What message does this news convey? AL claims to be ‘champion’ of democracy. But there are ample news reports that they nurture their type of democracy by giving clean chit to such godfathers as Jainal Hazari, Abu Taher, Shamim Osman etc. One recent-most example is the Presidential clemency granted to such a convict who was sentenced to death for killing and mincing a BNP leader in Laxmipur and sentenced for life for murdering another. Reports also said out of 26 granted Presidential clemency during the past 42 years, 21 have been granted only during 4 years’ rule of the present govt. So it’s very doubtful if there will be any positive development in digging out the killers of Taqui and proper punishment will be awarded to them. But the initiative of the people of Narayanganj deserves great appreciation no doubt.

Comments are closed.