কথায় সবারই ক্ষতি হয় – শুধু ধর্মের কোন ক্ষতি হয় না
জনৈক মহিলা কবি ও প্রাবন্ধিক প্রশ্ন রেখেছেন, কথায় ধর্মের কী ক্ষতি হয় ?
লতিফ সিদ্দিকীর পক্ষে ওকালতি করতে গিয়ে তিনি এই প্রশ্নটি রেখেছেন।
অথচ একটু উল্টা পাল্টা কথা বললেই তিনি হাতের নাগালে যে কোন পুরুষকে দেড় মনি ওজনের চড় বসিয়ে দিবেন। তাতেও রাগ না কমলে পায়ের চটি খুলে পিঠে বসিয়ে দিবেন। অথচ বেচারা কথক হয়তো কথা বলা ছাড়া অন্য কিছুই করেন নি। কথায় ধর্মের ক্ষতি হয় না, শুধু উনার হয়। উনাদের ক্ষতি হয়।
অসম্মানজনক কথা বললে উনাদের জীবিত কিংবা মৃত নেতাদের ক্ষতি হয়। কিন্তু ধর্মের কোন ক্ষতি হয় না। ফেইসবুকে লাইক দিলেও জেল জরিমানা হয়ে যেতে পারে।
তিনি তার লেখাটিতে লতিফ সিদ্দিকীর বাক স্বাধীনতার জন্যে অনেক মায়াকান্না করেছেন। তসলিমা নাসরীন যখন মৌলবাদী পুরুষ এবং তাদের ধর্মের বিরুদ্ধে তার বাক স্বাধীনতা প্রয়োগ করতেন তখন যৌগবাদী পুরুষ ও নারীগণ বাহবা দিতেন। গাছের আগডালে বসে যৌগবাদী পুরুষকূল (তসলিমার তীরে আহত) গাছের মূলে বসা পুরুষদের আর্তনাদ উপভোগ করতেন। কিন্তু ব্রহ্মপুত্রের তীরের এই খ্যাপা বালিকা যখন গাছের ডালটি ধরে একটু নাড়া দিলেন তখন আগডালে বসা যৌগবাদী পুরুষকূল খুবই মুশকিলে পড়ে যান। তসলিমার বাক স্বাধীনতার তীরে দেশের বাঘা বাঘা কবি সাহিত্যিক কুপোকাত হয়ে পড়েন। কে, কখন, কীভাবে, কোন ছলে, কোন কৌশলে তার দিকে অগ্রসর হয়েছেন ( Successful or unsuccessful sexual advancement ) তার সচিত্র বর্ণনা প্রকাশ করে দেন।
এতদিন যে ঠাকুরেরা বাকস্বাধীনতার গুণকীর্তনে ব্যস্ত থাকতেন তারাও মর্মে মর্মে উপলব্দি করলেন বাক স্বাধীনতা কত প্রকার ও কি কি। সব্যসাচী নামে পরিচিত জনৈক লেখক তসলিমার হাতে খোয়ানো ইজ্জত ফিরে পেতে বিশ কোটি টাকার মানহানি মামলা পর্যন্ত করেছিলেন।
কাজেই কথায় ক্ষতি হয় সবার। শুধু ধর্মের কোন ক্ষতি হয় না।
এটাই এই সব যুক্তিবাদী মানুষের যুক্তি!