কঠোর নিরাপত্তা এবং জনমনে আতঙ্কের মধ্যে সাভারের আশুলিয়ায় আজ শুক্রবার শাহবাগের আন্দোলনকারীদের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেলা ২টার দিকে ‘গণজাগরণ মঞ্চের’ প্রায় কোয়ার্টার কিলোমিটার পশ্চিমে পরপর চারটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটলে আতঙ্ক বাড়ে। এর কিছু সময় পর মঞ্চের প্রায় ২০০ গজ পূর্ব দিকে দু’টি ককটেল বিস্ফোরণ হয়। দুপুরের পর স্থানীয় আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্যের উপস্থিতিতে গণজাগরণ মঞ্চের কার্যক্রম শুরু হয়।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফ্যান্টাসি কিংডমের সামনে সংবাদ সম্মেলনে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আশুলিয়া এলাকার নেতারা শাহবাগ আন্দোলনকারীদের সমাবেশ প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এ প্রেক্ষাপটে বিপুলসংখ্যক পুলিশ এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগের উপস্থিতির মধ্যে সভার কাজ শুরু হয়।
ব্লগার অ্যান্ড অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট নেটওয়ার্কের আহ্বায়ক ইমরান এইচ সরকার সব যুদ্ধাপরাধীর সর্বোচ্চ বিচার দাবি করেন।
আশপাশের বিপনীবিতানসহ সব প্রতিষ্ঠানও বন্ধ থাকে। প্রধান সড়কটি বন্ধ থাকায় জনসাধারণেও ভোগান্তি বাড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বেলা ১২টা ১০ মিনিটে ‘গণজাগরণ মঞ্চের’ প্রায় কোয়ার্টার কিলোমিটার পশ্চিমে আব্দুল্লাপুর বাইপাইল সড়কের জামগড়ার শিমুলতলা নামক স্থানে প্যান প্যাসেফিক সিলিং পয়েন্টের সামনে পরপর চারটি ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এতে একজন পথচারী মারাত্মক আহত হন। তিনি হাত ও পায়ে আঘাত পেয়েছেন। তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হয়। তাৎক্ষণিকভাবে তার পরিচয় জানা যায়নি। এ সময় এই সড়কের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এ কিছু সময় পর মঞ্চের পূর্ব দিকে ২০০ গজ এনভয় গার্মেন্টের সামনে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এতে কেউ হতাহত হয়নি।
সমাবেশ সফল করতে পুলিশি পাহারায় রাতে ফ্যান্টাসি কিংডমের সামনে মঞ্চ তৈরি করে শাহবাগের আন্দোলনকারীরা। মঞ্চের আশে পাশে বসানো হয় কোজ সার্কিট ক্যামেরা।
দুপুর পৌনে দুটার দিকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি তৌহিদ জং মুরাদ ‘গণজাগরণ মঞ্চে’ উঠেন। এরপর স্থানীয় যুবলীগের একটি মিছিল মঞ্চের কাছাকাছি অবস্থান নেয়।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আনোয়ার হোসেন।
এদিকে আজ স্থানীয় প্রতিটি মসজিদের সামনে জুমার নামাজের সময় বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। ফলে নামাজের পর মুসুল্লিরা নামাজের পর নীরবে নিজ নিজ বাসায় চলে যেতে বাধ্য হন।
এর আগে মঙ্গলবার চট্টগ্রামে শাহবাগ আন্দোলনের নির্ধারিত সমাবেশস্থলে হেফাজতে ইসলাম সমাবেশ ডাকায় সভা-সামবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। এতে কোনো পক্ষই সমাবেশ করতে পারেনি।
হেফাজতে ইসলামের অভিযোগ, শাহবাগ আন্দোলনের সাথে জড়িতরা ধর্মে অবিশ্বাসী। তবে হেফাজতে ইসলামের প্রতিরোধের মুখে শাহবাগ আন্দোলনকারীরা নিজেদের ধর্মে বিশ্বাসী বলে দাবি করে।
Source: NayaDiganta