
আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে দেশজুড়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে বাঁধভাঙা আনন্দ-উল্লাস শুরু হয়েছে। বিশেষ করে নির্বাচন ঘিরে ২৩৭ আসনে প্রার্থী দেওয়ার পর নেতাকর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস বেড়ে গেছে।
আসনগুলোতে নির্বাচনি প্রচারণায় নেমে পড়েছেন দলীয় প্রার্থীরা। তবে বেশ কয়েকটি আসনে মনোনয়নবঞ্চিতদের কর্মী-সমর্থকদের বিক্ষোভের ঘটনাও দেখা গেছে।
দীর্ঘদিন ধরেই ভোটাধিকারবঞ্চিত সাধারণ মানুষের আলোচনার কেন্দ্রে এখন নির্বাচন ও ভোট। এর মধ্যে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণার পর চুলচেরা বিশ্লেষণ শুরু হয়ে গেছে। নির্বাচনে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা, বিদ্রোহের আশঙ্কাসহ নানাবিধ আলোচনা এখন স্থানীয় ভোটারদের মুখে। আবার দলীয় মনোনয়ন পেয়ে বিএনপির অনেক সম্ভাব্য প্রার্থী প্রথমেই ছুটে গেছেন মনোনয়নবঞ্চিত প্রার্থীদের বাড়ি। তাদের পাশে পেয়ে মন খারাপ থাকলেও বেশিরভাগ মনোনয়নবঞ্চিত নেতা দলীয় প্রার্থীর পক্ষে ঐক্যবদ্ধ থাকার ঘোষণা দিয়েছেন।
প্রার্থী ঘোষণার পর গত সোমবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, এটি প্রাথমিক ঘোষণা, যে কোনো সময় প্রার্থী তালিকা পরিবর্তন হতে পারে। একই সঙ্গে তিনি মনোনয়নবঞ্চিতদের উদ্দেশে বলেন, যারা মনোনয়ন পাননি, বিশ্বাস রাখুন, ইনশাআল্লাহ দল আপনাদের যথাযথ দায়িত্ব ও সম্মান দেবে।
প্রচারণার কৌশল ও খালেদা-তারেক চমক
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর আনুষ্ঠানিক প্রচারণায় নামবে বিএনপি। এবারের ভোটের প্রচারে দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান একই সঙ্গে অংশ নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। তাদের ব্যবহারের জন্য সরকার থেকে বুলেট প্রুফ গাড়ি আমদানির অনুমতিও পেয়েছে বিএনপি। নির্বাচনি প্রচারণায় খালেদা জিয়া যুক্ত হলে ভোটের হিসাব পাল্টে যাবে বলে মনে করে বিএনপি।
বিএনপির নির্বাচনি ইশতেহার প্রকাশ করা না হলেও ৩১ দফা নিয়েই গণসংযোগ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা । পাশাপাশি স্থানীয় সমস্যা তুলে ধরে তা সরকারে গেলে সমাধানের নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তারা।









