চন্দ্রনাথ মন্দির: ‘মসজিদ নির্মাণের তথ্য পুরোটাই গুজব’, কঠোর হুঁশিয়ারি ধর্ম উপদেষ্টার

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অবস্থিত সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রাচীন তীর্থস্থান চন্দ্রনাথ মন্দিরের জায়গায় মসজিদ নির্মাণের কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এ সংক্রান্ত তথ্যকে ‘কাল্পনিক’ আখ্যা দিয়ে এ বিষয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন।

আ ফ ম খালিদ হোসেন

বুধবার বাংলাদেশ রেলওয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি সরকারের এই সুস্পষ্ট অবস্থান তুলে ধরেন। ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘সীতাকুণ্ডের চন্দ্রনাথ মন্দির সনাতন ধর্মাবলম্বীদের একটি পুরনো তীর্থস্থান। সেখানে মসজিদ নির্মাণ অথবা কালেমা খচিত পতাকা স্থাপনের কোনো চিন্তাভাবনা সরকারের নেই।’

মন্দিরের নিরাপত্তা ও উন্নয়নের বিষয়ে তিনি জানান, তীর্থস্থানটির সুরক্ষায় সেখানে ইতোমধ্যে একটি পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া, মন্দিরটির পুরোনো অবকাঠামো সংস্কার করে নতুনভাবে উন্নয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

রাজধানীর রেল ভবনে অনুষ্ঠিত ওই আয়োজনে ধর্ম উপদেষ্টার বক্তব্যের প্রেক্ষাপট ছিল সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য নজির স্থাপন। সেখানে খিলক্ষেতের জোয়ার সাহারা মৌজায় দুটি মসজিদ ও একটি মন্দিরের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ের জমি বরাদ্দপত্রের দলিল আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়।

আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, একই স্থানে মসজিদ ও মন্দিরের জন্য জমি বরাদ্দ দেওয়া প্রমাণ করে বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এই ঘটনা অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য একটি ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এদেশে সবাই নিজ নিজ ধর্ম পালন করবে, কেউ কারো জন্য বাধা হয়ে দাঁড়াবে না।

রেলওয়ের জমি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ধর্ম উপদেষ্টা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. শেখ মইনউদ্দিন, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here