১৫ ই আগস্ট কেন?

 

আর চৌধুরী

  স্বৈরশাসক পিতার স্বৈরশাসক কন্যা শেখ হাসিনার পতন ও পলায়ন পর ছাত্র-জনতা  মুজিবের বিশাল  মূর্তি ভাঙছে (৫ ই অগাস্ট, ২০২৪)

 

কারণ খুঁজে পাওয়া খুব কঠিন নয়

এম এম আজিজুল হক ১৯৯১ সালের ১ নভেম্বর দৈনিক ইনকিলাবে “ইনডেমনিটি রহিত: কার স্বার্থে?” শিরোনামে একটি প্রবন্ধ লিখেছিলেন। এই লেখা ছিলো তখনকার বিরোধী দল আওয়ামী লীগের ইনডেমনিটি আইন বাতিলের জন্য তৈরি চাপের প্রেক্ষাপটে। অন্য পত্রিকাগুলোতেও এমন অনেক লেখা প্রকাশিত হয়।

নতুন রাষ্ট্রপতি (খন্দকার মুশতাক আহমেদ) ১৫ আগস্ট, ১৯৭৫ সালের সামরিক অভ্যুত্থানে জড়িতদের আইনি সুরক্ষা দেওয়ার জন্য ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেন। ১৯৭৯ সালে পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে এই অধ্যাদেশটি সংবিধানের অংশ হয়ে ইনডেমনিটি আইন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।

আজিজুল হক বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করেছিলেন কেন ১৫ আগস্ট ঘটেছিল, এবং যদি এই অভ্যুত্থান (একে বিপ্লবও বলা হয়) না ঘটতো, তাহলে বাংলাদেশে কী পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারতো। তিনি একটি ভয়াবহ চিত্র সবার সামনে নিয়ে আসেন। অধিকাংশ বিশ্লেষকদের মতে, ১৫ আগস্ট অনিবার্য ছিল । এটা ছিলো সময়ের দাবি, শেখ মুজিবুর রহমানের অত্যাচারের যাঁতাকলে চাপা পড়েছিল এমন অধিকাংশ লোকদের দাবি । যদি প্রকৃতপক্ষে কেউ ১৫ আগস্ট ঘটানোর জন্য দায়ী থাকে, তবে সেটা শেখ মুজিব নিজে । তিনি নিজেই এই পরিণতি ডেকে আনেন।

ভালবাসা থেকে ঘৃণা

১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি, পাকিস্তান থেকে স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে আসলে দেশের জনগণ শেখ মুজিবুর রহমানকে যে পরিমান উষ্ণ অভ্যর্থনা এবং ভালবাসা দিয়েছিল, পৃথিবীতে খুব কম নেতার ভাগ্যে এমনটা জোটে। তিনি তখনো তাদের নায়ক, তাদের “বঙ্গবন্ধু”।

তখন কম লোকই জানত যে, মুজিব কীভাবে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত পাকিস্তানের ঐক্য রক্ষার চেষ্টা করেছিলেন, কীভাবে তিনি ইসলামাবাদের ক্ষমতার চেয়ারে বসতে মরিয়া ছিলেন, এবং কীভাবে ২৫ মার্চ, ১৯৭১ সালের রাতে, তাজউদ্দিন আহমদের স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার বার বার অনুরোধকে প্রত্যাখ্যাত করেছিলেন (দয়া করে দেখুন তাজউদ্দিন আহমেদ: নেতা ও পিতা, শারমিন আহমেদ, ২০১৪, পৃ. ৫৯, ৬০, ১৪৮)। তিনি মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিতেও অস্বীকৃতি জানান। সবচেয়ে দুঃখজনক ব্যাপার হলো, তিনি পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর কাছে শুধুমাত্র নিজের এবং তার পরিবারের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে নীরবে আত্মসমর্পণ করে চলে যান। সাত কোটি বাঙালি, যারা তাকে বিশ্বাস করেছিল, তাদের বিষয়ে একবারও ভাবেন নি। তাদেরকে ছেড়ে দিলেন দানবীয় পাকিস্তানী বাহিনীর গলা-বন্দুকের মুখে। আত্মসমর্পণের পেছনে হয়তো আরও একটি কারণ ছিল, স্বাধীনতা সংগ্রাম এড়ানো, যা তিনি কখনোই চান নি। খুব শীঘ্রই বাঙালিরা প্রকৃত মুজিবকে চিনতে পারে এবং তাদের ভালবাসা ঘৃনায় পরিণত হয়।

বঙ্গবন্ধু যখন বঙ্গশত্রু

প্রখ্যাত ভারতীয় সাংবাদিক ও লেখক খুশওয়ান্ত সিং “ইলাস্ট্রেটেড উইকলি অফ ইন্ডিয়া” পত্রিকায় শেখ মুজিব সম্পর্কে লিখেছিলেন, ” ১৯৭০ সালে তিনি (শেখ মুজিবুর রহমান) ছিলেন তাঁর দেশের মানুষের চোখের মণি, ভারত ও অন্যান্য জায়গার কোটি কোটি মানুষও তাকে ভালোবাসতো। কয়েক বছরের মধ্যে তার সে মর্যাদা ম্লান হয়ে যায় এবং তিনি আত্ম অহমিকার জালে আটকা পরে যান। তিনি সৎ সমালোচকদের দেশদ্রোহী হিসেবে এবং চাটুকারদের বিশ্বস্ত বন্ধু হিসেবে দেখতে শুরু করলেন। এটি ছিল এক ধরনের folio de grandeur এর বাস্তব উদাহরণ। তিনি কখনো ধারণা করতে পারেন নি যে যাঁরা তাঁকে তার সামনে ‘বঙ্গবন্ধু’ বা ‘বঙ্গপিতা’ বলে ডাকত, তাঁরাই পেছনে তাঁকে ‘বঙ্গশত্রু’ (বাংলার শত্রু) নাম বলে গালাগাল করত।”

তার বই ” A book, a coup, some thoughts “-তে প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত ও সরকারের সচিব সৈয়দ মোহাম্মদ হোসেন মুজিব সম্পর্কে লিখেছেন, “তার সবচেয়ে দামী এরিন পাইপ তামাকের ধোঁয়া তার চোখের সামনে পর্দা ফেলে দেয় , আচ্ছন্ন করে ফেলে তার অনুভূতিগুলোও, ফলে তিনি বাস্তবতার কিছুই দেখতে পেতেন না, এবং তার ‘মহান’ বান্দোলিয়ারাও তাকে দেশের মানুষের আসল অবস্থা এবং তাদের ক্রমবর্ধ্মান সমস্যা, অবহেলা, উপেক্ষা এবং অপ্রাপ্ত প্রতিশ্রুতির সম্পর্কে জানানোর মতো সৎ ছিলো না।”

বাংলার মীর জাফর

 

১৯৭৩ সালের ২ জানুয়ারি ঢাকার পল্টনে এক জনসভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহ-সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম শেখ মুজিবুর রহমানকে দেওয়া “বঙ্গবন্ধু” উপাধি প্রত্যাহার করেন এবং জনসম্মুখে রেজিস্টারের পাতা ছিঁড়ে ফেলে ডাকসুর আজীবন সদস্যপদ বাতিল করেন। যে ছাত্রনেতা এক বছর আগেই তাঁকে এই সদস্যপদ দিয়েছিলেন, তিনিই আজ মুজিবের বিরুদ্ধে। সেলিম আরও দাবি করেন যে, সমস্ত অফিস থেকে মুজিবের ছবি সরিয়ে ফেলা হোক। সেই সভায় আরো নানা স্লোগানের মধ্যে সবচেয়ে প্রবল ছিল, “বাংলার মীর জাফর: শেখ মুজিব, শেখ মুজিব”। তৎকালীন ছাত্র ইউনিয়নের অগ্নিকন্যা ও পরে জাতীয় আওয়ামী পার্টির (মুজাফফর) নেতা মতিয়া চৌধুরী এবং হাসিনার আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, ঘোষণা করেন, “মুজিবের পিঠের চামড়া দিয়ে জুতো এবং ডুগডুগি বানানো হবে।” তিনি ব পরবর্তীতে লেন, “আজ থেকে তুমি আর বঙ্গবন্ধু নও। তুমি বঙ্গশত্রু।”  শাহরিয়ার কবির, পরবর্তীতে আওয়ামী বুদ্ধিজীবী, ঘোষণা করেন, “মুজিব, তুমি আর বঙ্গবন্ধু নও, তুমি জাতির বিশ্বাসঘাতক।” (সূত্র: দৈনিক সংবাদ, ৩ জানুয়ারি ১৯৭৩)

মুলধারা বাংলাদেশ একটি ব্যাপক তালিকা তৈরি করেছে যেখানে ১৯৭২-৭৫ সালের সময়ে সংঘটিত রাজনৈতিক ও সামাজিক দমন-পীড়নের ঘটনাগুলি রয়েছে, যাতে প্রমাণিত হয় ১৫ই আগস্টের ঘটনা বহুল আকাঙ্ক্ষিত পরিণতি । নতুন প্রজন্মের জন্য প্রয়োজন সেই সময়কার মিডিয়া আর্কাইভে ঢুকে শেখ মুজিবুর রহমানের তথাকথিত “স্বর্ণযুগ” ১৯৭২-৭৫ এর বাংলাদেশ সম্পর্কে জানা। যারা সেই সময়ে জীবিত ছিলেন, তাদের প্রয়োজন সেই সময়কে পুন্ অনুধাবন করা।

তলানিবিহীন ঝুড়ি

নিউ ইয়র্ক টাইমস, ওয়াশিংটন পোস্ট, লন্ডনের দ্য গার্ডিয়ান, এবং ফার ইস্টার্ন ইকোনমিক রিভিউসহ অনেক আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো শেখ মুজিবের প্রশাসনের দুর্নীতির কথা তুলে ধরেছে, যার শাসনামলে ১৯৭৪ সালের মনুষ্যসৃষ্ট দুর্ভিক্ষে সর্বমোট প্রায় ১৫ লাখ মানুষ প্রাণ হারায়। শহরের ডাস্টবিনে খাবারের জন্য মানুষ এবং পশুর সংগ্রাম ছিল একটি সাধারণ দৃশ্য। দরিদ্র নারীরা শরীর ঢাকবার মতো কাপড় না থাকায় বাইরে বের হতে পারত না। মৃতদেহ কবর দিতে হয় কলাপাতায় মুড়িয়ে। এগুলো কোনো কল্পকাহিনী নয়। এগুলো বাস্তব জীবনের করুণ কাহিনী। ঐ সময়ের পত্রিকার পাতাগুলোতে খুঁজলেই এর সত্যতা দেখতে পাওয়া যাবে।

 

মুজিবেরসোনালী যুগেরাস্তাঘাটের পরিচিত চেহারা

 

কিন্তু ত্রাণ সামগ্রীর কোনো অভাব ছিল না। সেই ত্রাণ সামগ্রী জমা হতে থাকে শাসক গোষ্ঠীর গুদামগুলোতে, যা কাজে লাগানো হতো রাজনৈতিক স্বার্থে অথবা কালোবাজারে বিক্রি । দুর্নীতি ও অদক্ষতায় মোড়া মুজিবের বাংলাদেশ তখন আন্তর্জাতিক “তলানিবিহীন ঝুড়ি” হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিল, যা জাতির জন্য এক অসম্মানজনক তঘমা।

যখন রাস্তাঘাটে এবং গ্রামাঞ্চলে অনাহারে কঙ্কালসার মানুষ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছিল, তখন বিপরীত চিত্র দেখা গেল মুজিবের বাসভবন গণভবনে। জুলাই ১৯৭৫-এ, শেখ মুজিবের দুই পুত্র শেখ কামাল ও শেখ জামালের রাজকীয় আড়ম্বরে বিয়ে দেওয়া হলো তাঁর সরকারি বাসভবনে।

 

একই সময়ের বিপরীত চিহ্ন: মুজিব পুত্রদ্বয়ের রাজকীয় বিয়ে

সেই একই বছরে মার্চ মাসে ছিল মুজিবের জন্মদিন। সব অফিস, প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনগুলোতে আগেভাগে সরকারি বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়েছিল “উপলক্ষ্যটি উদ্‌যাপন” করার জন্য এবং “দেবতার” সামনে হাজির হয়ে তাদের শ্রদ্ধা নিবেদনের নির্দেশ দিয়ে। আমি টিভি এই পর্দায় অনুষ্ঠানের দৃশ্য দেখি, তাঁর ধানমন্ডি ৩২ এর বাড়ির সামনে দিয়ে শোভাযাত্রা যাচ্ছিলো আর বাড়ির বারান্দায় দাঁড়িয়ে দেবতা স্যালুট গ্রহণ করছিলেন। সেই ভারী বৃষ্টির দিনে ভিজে শাড়ি ও সালোয়ার-কামিজ পরিহিত নারীদের অবস্থা ছিল অস্বস্তিকর, আপত্তিকর । কেউ অনুপস্থিত থাকার সাহস দেখাতে পারেনি, কারণ তার পরিণাম অত্যন্ত খারাপ হতে পারতো।

রক্ষী বাহিনী: খুনি গোষ্ঠী

মুজিবের ব্যক্তিগত বাহিনী রক্ষী বাহিনী প্রায় ত্রিশ হাজারেরও বেশি মানুষকে হত্যা করে। বিখ্যাত পত্রিকা “দ্য হলিডে”-এর এনায়েতুল্লাহ খান এই সংখ্যা ৩৮,০০০ বলে উল্লেখ করেছিলেন। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)-এর এ এস এম আবদুর রব দাবি করেছিলেন যে তার দলের ৪০,০০০ এরও বেশি কর্মীকে সেই সময়ে হত্যা বা নিখোঁজ করা হয়েছিল। মুজিব নিজেই সংসদের মঞ্চে দাঁড়িয়ে বামপন্থী নেতা সিরাজ সিকদারের হত্যার বিষয়টি গর্বের সাথে স্বীকার করেন।

একবার ভাবুন , ১৫ আগস্টের না ঘটলে আরও কত নিরীহ প্রাণ ঝরে যেত!

জরুরী অবস্থা

১৯৭৪ সালের শেষদিকে দেশে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। স্থগিত করা হয় সমস্ত মৌলিক অধিকার । চারটি সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদপত্র ছাড়া বাকিগুলোর প্রকাশনা বন্ধ করে দেওয়া হলো। রাজনৈতিক কার্যকলাপ নিষিদ্ধ করা হয়। যারাই সরকারি সিদ্ধান্তের বাইরে যেতে চেয়েছিল, তাদের হয় জেলে যেতে হয়, নয়তো আর কখনও দেখা যায়নি।

এতেও সন্তুষ্ট হতে না পেরে মুজিব ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি একটি বিতর্কহীন, এগারো মিনিটের সাংবিধানিক পদক্ষেপের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ উল্লাহকে সরিয়ে নিজেকে সর্বশক্তিমান রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করলেন। সাথে নিজেকে ঘোষণা করলেন ‘জাতির পিতা’, যে জাতিকে তিনি কখনো চান নি।

২৫ জানুয়ারি, ১৯৭৫ এ নিউইয়র্ক টাইমস এই ঘটনাকে “বাংলাদেশে নবজাত গণতন্ত্রের জন্য মৃত্যুঘণ্টা” বলে আখ্যায়িত করেছিল। তদুপরি, আওয়ামী ছাত্রলীগের মাধ্যমে মুজিবকে আজীবন রাষ্ট্রপতি করার পায়তারা হচ্ছিলো।

বাকশাল

মুজিবের তথাকথিত ম্যাগনাম ওপাস (Magnum Opus), বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল) প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে, জাতির কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেওয়া হলো । বাকশাল ছিল সামাজিকতান্ত্রিক আদর্শে প্রতিষ্ঠিত একদলীয় শাসনব্যবস্থা। অন্যান্য সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোকে নিষিদ্ধ করা হয়। সামরিক ও প্রশাসনের  সদস্যদের জোরপূর্বক এর অন্তর্ভুক্ত করে রাজনৈতিকীকরণ করা হয়। দেশকে ৬১ টি রাজনৈতিক জেলায় ভাগ করে প্রতিটি জেলার জন্য একজন বাকশাল গভর্নর ও একজন বাকশাল সেক্রেটারি নিয়োগ দেওয়া হয়, যাদেরকে সরাসরি শেখ মুজিব বাছাই করেন। এই ব্যবস্থা ১৯৭৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল।

বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ ও লেখক কে আলি নিউ নেশন-এ শেখ মুজিব সম্পর্কে লিখেছিলেন, “তিনি ছিলেন সম্পূর্ণরূপে এক স্বেচ্ছাচারী শাসক, যিনি জনগণের মৌলিক অধিকার কেড়ে নিয়ে একদলীয় শাসনের অধীনে সম্পূর্ণ একনায়কত্ব কায়েম করেছিলেন—এ ব্যাপারে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই যে এই ব্যবস্থা (একদলীয় শাসন) প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল শুধুমাত্র তার স্থায়ী শাসন প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে।”

তবুও মুজিবকন্যা শেখ হাসিনা এবং তার চাটুকারেরা মনে করেছিল মুজিব ছিলেন রূপকথার রাজা, দেবতাসম, যিনি একাই এ দেশ সৃষ্টি করে তাকে সোনার বাংলায় রুপান্তর করেন! ৫ ই অগাস্ট তার পুনঃসমাপ্তি ঘটে।

১৫ ই অগাস্ট ছিল সাড়ে সাত কোটি বাংলাদেশীর আকুল আবেদন ও ইচ্ছা আকাঙ্খার প্রতিফলন।

——————————————————————————————————–

* লেখক একজন প্রাক্তন সেনা কর্মকর্তা এবং খেতাব প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here