- ২৪ ডেস্ক
কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের গেরিলা প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলায় মেজর সাদিকের স্ত্রী সুমাইয়া জাফরিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হকের খাস কামরায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।

ডিবি সূত্রে জানা গেছে, জাফরিন স্বীকার করেছেন যে তিনি আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের একটি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এবং বক্তব্যও রেখেছিলেন। বৈঠকে শেখ হাসিনার নির্দেশে ঢাকায় নেতা-কর্মীদের সমবেত করা, শাহবাগ মোড় দখল করে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি এবং আতঙ্ক ছড়িয়ে তাকে ফেরানোর পরিকল্পনা করা হয়। অংশগ্রহণকারীরা শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তনের শপথও নেন।
গত ৬ আগস্ট রাতে ডিবি তাকে আটক করে এবং ৭ আগস্ট পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয়। এর আগে ভাটারা থানাধীন বসুন্ধরা এলাকায় গোপন বৈঠকে গেরিলা প্রশিক্ষণের অভিযোগে মেজর সাদিককে আটক করা হয়। সেনা আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৮ জুলাই বসুন্ধরার কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে ৩০০-৪০০ জন নেতা-কর্মী অংশ নেন। বৈঠকে সরকারবিরোধী স্লোগান দেওয়া হয় এবং শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করার পরিকল্পনা হয়।
এই মামলায় এখন পর্যন্ত ২২ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে এবং আরও কয়েকজন রিমান্ডে রয়েছেন। রিমান্ড শুনানিতে জাফরিন নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ষড়যন্ত্রমূলক মামলার অভিযোগ তোলেন।