
রাশিয়ার তেল কিনলে আরও অনেক দেশের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি জানিয়েছেন, রুশ তেল কিনলে তার প্রশাসন আরও অনেক দেশকে “সেকেন্ডারি স্যাংশন” বা পরোক্ষ নিষেধাজ্ঞার মুখে ফেলবে।
রাশিয়ান তেল কেনার কারণে ভারতের ওপর নতুন শুল্ক আরোপের কয়েক ঘণ্টা পর মার্কিন রিপাবলিকান এই প্রেসিডেন্ট এই মন্তব্য করেন। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড।
বুধবার হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, “আপনারা আরও অনেক কিছু দেখবেন। প্রচুর সেকেন্ডারি স্যাংশন আসছে”। চীনের দিকেও ইঙ্গিত করে তিনি জানান, আলোচনার অগ্রগতির ওপর নির্ভর করে বেইজিংকেও এমন নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হতে পারে।
এর আগে ট্রাম্প এক নির্বাহী আদেশে ভারতীয় পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন। তিনি বলেন, রাশিয়ান তেল কিনে তা পুনরায় বিক্রি করে মুনাফা করছে ভারত। এই নতুন শুল্ক কার্যকর হবে ২১ দিনের মধ্যে।
একই আদেশে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্টকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে— যে সব দেশ সরাসরি বা পরোক্ষভাবে রাশিয়ান তেল আমদানি করছে, তাদের শনাক্ত করতে।
এই ঘোষণার একদিন আগেই ট্রাম্প জানান, রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার জন্য ওয়াশিংটনের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের মস্কো সফরের ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্র পরবর্তী নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
এর আগে বুধবার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার তেল কেনায় ভারতের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে নির্বাহী আদেশ জারি করেন। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় পণ্যের ওপর মোট শুল্ক দাঁড়ালো ৫০ শতাংশে।
ট্রাম্পের নতুন নির্বাহী আদেশে বলা হয়েছে, এই আদেশ জারির একুশ দিন পর থেকে এটি কার্যকর হবে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অবশ্য এর আগেই ভারতের শুল্ক বাড়ানো হতে পারে বলে সতর্ক করেছিলেন।
তখন তিনি বলেছিলেন- ‘ইউক্রেনে রাশিয়ান অস্ত্রে কত মানুষ মারা যাচ্ছে তা ভারত আমলে নিচ্ছে না’।
এরই মধ্যে গত ৩১ জুলাই ৯০টিরও বেশি দেশের ওপর নতুন শুল্কহার ঘোষণা করেছিলেন মার্কিন এই প্রেসিডেন্ট। তখন ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল।