মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি: মৃত্যু বেড়ে ৩৩, বার্ন ইনস্টিটিউটে এখনও লড়ছেন ৪০ জন

24 Live Newspaper

রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুলে বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে এখনও ৪০ জন ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি রয়েছেন। তাদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। শুক্রবার (২৫ জুলাই) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দিন এই তথ্য জানান। তিনি জানান, আজ আরও দুই শিশুর মৃত্যুতে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৩ জনে দাঁড়িয়েছে।

ছবি – সংগৃহীত

অধ্যাপক নাসির উদ্দিন চিকিৎসাধীন রোগীদের অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে বলেন, ‘ভর্তি থাকা ৪০ জনের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা গুরুতর এবং ২৫ জন মাঝারি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। মাঝারি অবস্থায় থাকা রোগীদের মধ্যে ১৩ জনকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে।’

চিকিৎসায় অগ্রগতির খবর দিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আশা করছি আগামীকাল ৪-৫ জন রোগীকে ছাড়পত্র দেওয়া সম্ভব হবে। আইসিইউতে ভেন্টিলেটর সহায়তায় থাকা ছয়জনের মধ্যে দুজনের শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে, যা একটি ইতিবাচক লক্ষণ।’

দিনের শুরুতে দুই শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে ডা. নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আজ আমরা দুজন শিশু রোগীকে হারিয়েছি। তাদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’ তিনি জানান, মৃতদের মধ্যে আয়মান নামের শিশুটিকে শরীয়তপুরের সিভিল সার্জনের সহায়তায় সেখানে দাফন করা হবে। অন্য শিশু মাকিনের দাফনের জন্য গাজীপুরের সিভিল সার্জনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২১ জুলাই বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি এফ-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরেই রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দিয়াবাড়ি ক্যাম্পাসে বিধ্বস্ত হয়। এতে সেখানে ভয়াবহ আগুন লেগে যায়। আইএসপিআর (আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর) অনুযায়ী, বিমানটি দুপুর ১টা ৬ মিনিটে বিএএফ ঘাঁটি বীর উত্তম এ কে খন্দকার থেকে উড্ডয়ন করে এবং যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিধ্বস্ত হয়।

বিমানটির চালক প্যারাসুটের সাহায্যে অবতরণ করতে পারলেও পরে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

যুদ্ধবিমানটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনে এমন এক সময়ে বিধ্বস্ত হয়, যখন ক্লাস শেষ হতে আর মাত্র কয়েক মুহূর্ত বাকি ছিল। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানের জন্য বিমানবাহিনী ঘটনার দিনই একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here