
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেছেন, ‘নির্বাচনের আগে অবশ্যই গণহত্যাকারীদের বিচার করতে হবে। তাদের বিচার ব্যতীত দেশের নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।’
বুধবার (১৬ জুলাই) রাজধানীর শাহজাহানপুর পশ্চিম থানা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে জাতীয় সমাবেশের প্রচারাভিযানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশে জনমত সৃষ্টির লক্ষ্যে শাহজাহানপুর পশ্চিম থানা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে প্রচারাভিযান পরিচালনা করা হয়।
এক সংক্ষিপ্ত পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা-৮ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, ‘গোপালগঞ্জে জুলাই যোদ্ধাদের ওপর নেককারজনক হামলা হয়েছে।’ তিনি এর তীব্র প্রতিবাদ জানান।
তিনি বলেন, ‘জুলাই যোদ্ধারা দেশব্যাপী যে সমস্ত কর্মসূচি পালন করছে তা প্রশাসনকে জানিয়ে পালন করা হচ্ছে, এরপরও প্রশাসন তাদের জন্য নিরাপদ ব্যবস্থাগ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও তার সন্ত্রাসী বাহিনী এখনো আগের মতোই কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদের কৃতকর্মের জন্য কোনো অনুশোচনা করেনি। বরং তারা আগের মতোই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের লোকেরা এখনো তাদের অভ্যাস অনুযায়ী নিরীহ মানুষের ওপর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে যাচ্ছে। এই সন্ত্রাসী বাহিনীদেরকে যদি নিয়ন্ত্রণ করা না যায়, তবে তারা গর্তের মধ্যে লুকিয়ে থেকে মাঝেমধ্যেই তারা মাথা চারা দিয়ে উঠবে এবং নিরীহ মানুষের ওপর হামলা করে তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে যাবে। জুলাই যোদ্ধাদের ওপর তারা যেভাবে নির্যাতন করেছে, তাতে প্রমাণিত হয় যে আওয়ামী লীগ একটি রাজনৈতিক দলের নাম ছিল না বরং একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনীর নাম ছিল।’
অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ইতোমধ্যেই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। তবে এই সন্ত্রাসী দলকে শুধু নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেই হবে না বরং তাদের বিরুদ্ধে বিচার পরিচালনা করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাগ্রহণ করতে হবে।’
তিনি আওয়ামী লীগকে চিরদিনের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বারবার দাবি জানিয়ে আসছে, হত্যাকারীদের বিচার করতে হবে। তাদের বিচার করা ব্যতীত দেশে নির্বাচনের সুস্থ পরিবেশ ফিরে আসবে না। আজ গোপালগঞ্জে জুলাই যোদ্ধাদের ওপর হামলার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে যে সারাদেশে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা এখনো সরিয়া ছিটিয়ে রয়েছে। আজ শুধু গোপালগঞ্জের সন্ত্রাসীদের নিয়ন্ত্রণ করতে সরকার হিমশিম খাচ্ছে, নির্বাচনের সময় সারাদেশের সন্ত্রাসীদের সরকার কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে তা নিয়ে জনগণের মনে প্রশ্ন রয়েছে। এ জন্য আমি মনে করি, নির্বাচনের আগে অবশ্যই সন্ত্রাসীদের গণহত্যার দায়ে বিচার করতে হবে।’
ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিশে শূরা ও শাহজাহানপুর পশ্চিম থানা আমির সরোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পথসভায় অন্যান্যের মধ্যে শাহজাহানপুর পশ্চিম থানার সেক্রেটারি মো: আব্দুল্লাহিল কাফি মামুন, শাহজাহানপুর পশ্চিম থানার সাবেক আমির মো: গিয়াস উদ্দিন, ১২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদপ্রার্থী মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহসহ থানা কর্মপরিষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।