
চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও ভারতের আক্রমণাত্মক মনোভাবকে কেন্দ্র করে পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল)–এর দশম আসরের বাকি ম্যাচগুলো স্থগিত করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পিসিবি কর্তৃক জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে- দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের কাছ থেকে প্রাপ্ত পরামর্শ অনুসারে পিএসএল স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এতে আরো বলা হয়, তিনি মনে করছেন, ভারতের বেপরোয়া আগ্রাসনের প্রেক্ষাপটে এখন দেশের অগ্রাধিকার হওয়া উচিত সেনাবাহিনীর সাহসিকতাকে সম্মান জানানো এবং জাতীয় সংহতি বজায় রাখা।
পিসিবি আরো জানায়, টুর্নামেন্টের সফল আয়োজন নিশ্চিত করতে বিভিন্ন অংশীজনদের অবদান ছিল প্রশংসনীয়। তবে দেশ যখন সঙ্কটের মুখোমুখি, তখন ক্রিকেটকে শ্রদ্ধার সাথে বিরতি দেয়া প্রয়োজন।
এর আগে সংঘাতের জেরে আসরের মাঝপথে পাকিস্তান থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল পিএসএলের বাকি ৮টি ম্যাচ। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত জানানোর মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পিসিবি তাদের অবস্থান পরিবর্তন করে। এই আকস্মিক পরিবর্তনের পেছনে কাজ করেছে বৃহস্পতিবারের (৮ মে) একটি গুরুতর ঘটনা। রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামের পাশে ড্রোন হামলা হওয়ায় পেশাওয়ার জালমি ও করাচি কিংসের ম্যাচটি নিরাপত্তার কারণে স্থগিত করা হয়েছিল।
এই ঘটনার পর পিসিবি প্রাথমিকভাবে চেয়েছিল করাচিতে একটি নির্দিষ্ট ভেন্যুতেই টুর্নামেন্ট শেষ করতে। তবে নিরাপত্তার ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে বিদেশি ক্রিকেটাররা পিসিবির এমন প্রস্তাবে রাজি হননি। এরপরই টুর্নামেন্টটি পাকিস্তান থেকে সরিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিয়ে শেষ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল।
কিন্তু সবশেষ কয়েক ঘণ্টায় পরিস্থিতির আরো অবনতি হওয়ায় এবং খেলোয়াড়দের নিরাপত্তার কথা ভেবে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে অনির্দিষ্টকালের জন্য টুর্নামেন্টটি স্থগিত করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ফলে, চলমান সংঘাত ও নিরাপত্তা শঙ্কার কারণে পিএসএলের এবারের আসরের ভাগ্য আপাতত অনিশ্চিত হয়ে পড়ল।
সূত্র : ডন