
যাত্রা শুরুর দিনেই বিক্ষোভ ও হাতাহাতির খবর দিয়ে সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ। এ ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন এলাকায়।
নতুন ছাত্র সংগঠনের আত্মপ্রকাশের জন্য সংবাদ সম্মেলনে করার কথা ছিল বুধবার বিকাল তিনটায়।
দুপুরের পর থেকেই মধুর ক্যান্টিনের সামনে সাংবাদিকরা অপেক্ষা করছিলেন। তবে নির্ধারিত সময় পার হয়ে গেলেও সেখানে উপস্থিত হচ্ছিলেন না বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতারা।
এক পর্যায়ে ক্যান্টিনের সামনে বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেন।
বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন তারা। দাবি জানান, নতুন সংগঠনে তাদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতের।
তাদের মুখে শোনা যায়, “আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই”, “ঢাবির সিন্ডিকেট, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও” সহ বিভিন্ন স্লোগান।
কিছুক্ষণ পর তারা সরে গেলে নতুন ছাত্র সংগঠনের নেতারা এসে সংবাদ সম্মেলন শুরু করার চেষ্টা করেন। তারাও সংগঠনের নাম ও মূলনীতি জানান দেন স্লোগানের মাধ্যমে।
তারা বলেন, “গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ” ও “শিক্ষা ঐক্য, মুক্তি মুক্তি”।
এসময় আবার মধুর ক্যান্টিনের সামনে ফিরে আসেন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
মুখোমুখি অবস্থানে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয় দুই পক্ষে।
এমন পরিস্থিতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ ছাত্রনেতারা ক্যান্টিনের ভেতরে ঢুকে পুনরায় সংবাদ সম্মেলন শুরু করতে গেলে সেখানে গিয়েও নিজেদের দাবি তুলে ধরে স্লোগান দিতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা।
অবশেষে উত্তেজনার মধ্যেই সোয়া পাঁচটার দিকে জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া ছাত্রদের অন্যতম আবু বাকের মজুমদার নতুন দলের নাম ঘোষণা করেন।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কমিটির নেতাদের নাম জানান তিনি।
তড়িঘড়ি করে নাম ঘোষণা করা হয় কমিটির।
তখন বিক্ষুব্ধ তরুণরা সংবাদ সম্মেলনের টেবিলের সামনে চলে আসেন। জুলাই-অগাস্টের আন্দোলনের তাদের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিত্ব থেকে বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ জানাতে থাকেন।
প্রায় সব পদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাওয়ার ঘটনার নিন্দা জানান।
মুখোমুখি হয়ে স্লোগান দিতে থাকে দুই পক্ষ। উত্তেজিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে আবার ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। এক পর্যায়ে তা হাতাহাতিতে গড়ায়।
পদ বঞ্চিত হয়েছেন দাবি করে বিক্ষোভ চালিয়ে যান বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।