দেশের বাজারে ঊর্ধ্বমুখী চালের দাম। এ পরিস্থিতিতে মজুত বাড়ানোর পাশাপাশি দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাল আমদানিতে শুল্ক পুরোপুরি তুলে নিয়েছে সরকার। প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে জারি করা এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, কাস্টমস আইন, ২০২৩ (২০২৩ সনের ৫৭ নং আইন) এর ধারা ২৫ এর উপধারা (১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে পরামর্শক্রমে জনস্বার্থে ওই আইনের প্রথম তপশিলভুক্ত পণ্যগুলোর মধ্যে সিদ্ধ চাল ও সিদ্ধ ছাড়া আতপ চাল আমদানির ক্ষেত্রে আরোপণীয় সমুদয় কাস্টমস শুল্ক ও রেগুলেটরি শুল্ক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে কার্যকর হবে জানিয়ে এনবিআরও আরও জানায়, এই প্রজ্ঞাপনের আওতায় রেয়াতি হারে চাল আমদানির আগে প্রত্যেক চালানের জন্য খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে মনোনীত অন্যূন যুগ্মসচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা থেকে লিখিত অনুমোদন নিতে হবে।
এর আগে গত ২০ অক্টোবর চালের ওপর বিদ্যমান আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ, বিদ্যমান রেগুলেটরি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ এবং বিদ্যমান ৫ শতাংশ আগাম কর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করেছিল এনবিআর।
তবে গত ২৯ অক্টোবর বন্যায় চাল উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় স্থানীয় বাজারে চালের সরবরাহ বৃদ্ধি ও মূল্য স্থিতিশীল রাখার স্বার্থে চাল আমদানিতে বর্তমানে প্রযোজ্য আমদানি শুল্ককর সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহারের সুপারিশ করে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। এক প্রতিবেদনে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বন্যার কবলে চালের উৎপাদন ব্যাপকভাবে ব্যাহত হওয়ার ফলে আসন্ন উৎপাদন মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী দেশে চাল সরবরাহে নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি বর্তমানে চাল আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করা হলে স্থানীয় উৎপাদক চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।
samakal