দেশে বিভিন্ন পণ্যের মতো অস্থিরতা তৈরি হয়েছে সবজির বাজারেও। প্রায় সব ধরনের সবজির কেজি এখন ১০০ টাকার আশপাশে। এমন বাস্তবতায় প্রথমবারের মতো ডিম আর সবজিও খোলাবাজারে
দেশে বিভিন্ন পণ্যের মতো অস্থিরতা তৈরি হয়েছে সবজির বাজারেও। প্রায় সব ধরনের সবজির কেজি এখন ১০০ টাকার আশপাশে। এমন বাস্তবতায় প্রথমবারের মতো ডিম আর সবজিও খোলাবাজারে বিক্রির (ওএমএস) সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। রাজধানীর ২০টি পয়েন্টে আজ থেকে অন্যান্য পণ্যের সঙ্গে এসবও কিনতে পারবে নিম্ন আয়ের মানুষ।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সরাসরি তত্ত্বাবধানে সবজি বিক্রির দায়িত্বে থাকবে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। মূলত ভেন্ডরের মাধ্যমে তারা সবজি বিক্রি করবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, আজ প্রথম দিন ডিম, আলু, পেঁয়াজ ও পেঁপে বিক্রি করা হবে। সচিবালয়ের পাশে খাদ্য অধিদপ্তরের সামনে এ কার্যক্রম উদ্বোধন হবে। এতে কৃষি ও বাণিজ্য উপদেষ্টা উপস্থিত থাকবেন।
এসব পয়েন্টে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হবে ১৩০ টাকায়। আলুর কেজি পড়বে ৩০ টাকা। এক কেজি পেঁয়াজ পাওয়া যাবে ৭০ টাকায়। আর পেঁপের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ টাকা কেজি। একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে একজন এক ডজন ডিম, পাঁচ কেজি আলু, এক কেজি পেঁয়াজ এবং সর্বোচ্চ পাঁচ কেজি করে সবজি কিনতে পারবেন। এসব পয়েন্টে সবজির তালিকায় ক্রমান্বয়ে লাউ, মিষ্টিকুমড়া ও পটোলসহ আরো কয়েকটি পণ্য যুক্ত হবে।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সবজি বিক্রির অন্য পয়েন্টগুলো হলো মানিক মিয়া এভিনিউ, মিরপুর-১০, বাসাবো, বসিলা, রায়েরবাজার, রাজারবাগ, মুগদা উত্তর, মুগদা দক্ষিণ, পলাশী মোড়, হাজারীবাগ, মোহাম্মদপুর, গাবতলী, মহাখালী বাস টার্মিনাল, বেগুনবাড়ী, উত্তরখান, দক্ষিণখান, কামরাঙ্গীরচর, রামপুরা ও জিগাতলা। এসব পয়েন্টে সকাল ১০টা থেকে বিকাল পর্যন্ত পণ্য বিক্রি করা হবে।
সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মাসুদ করিম বণিক বার্তাকে বলেন, ‘বাজার পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখার জন্য আমরা সবজি বিক্রির পদক্ষেপ নিয়েছি। রাজধানীতে ভালো সাড়া পেলে পরবর্তী সময়ে অন্যান্য বড় শহরেও আমরা কার্যক্রম সম্প্রসারণ করব। ক্রেতাদের চাহিদার আলোকে পণ্যের সরবরাহ বাড়ানো হবে।’
সরকারের এ উদ্যোগ সম্পর্কে বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, টিসিবির মাধ্যমে পণ্য বিক্রির কার্যক্রম চালালে ভালো হতো। কারণ তাদের এ বিষয়ে অভিজ্ঞতা রয়েছে।
কনজিউমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এসএম নাজের হোসেন বণিক বার্তাকে বলেন, ‘কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের পণ্য বিক্রির অভিজ্ঞতা নেই। তাই তাদের মার্কেটিং নেটওয়ার্ক কতটা আছে, সেটাও একটি বিষয়। দেখা যাক, তারা কতটা সফল হয়। তবে সংকটের সময় এগিয়ে আসায় তাদের সাধুবাদ জানাই।’
এদিকে নিত্যপণ্যের বাজার পরিদর্শন করতে গতকাল কারওয়ান বাজারে যান বাণিজ্য ও অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। সেখানে তিনি বলেন, ‘বাজারে বৃষ্টি ও বন্যার প্রভাব রয়েছে। সিন্ডিকেট ভাঙার জন্য আমরা নিয়মিত বৈঠক করছি। ব্যবসায়ীরা যেন অতিমুনাফা না করতে পারে, সেজন্য বাজারে নিয়মিত অভিযান চলবে।’
ajker Patrika