ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে জড়িতদের বিচারে বিশেষ ট্রাইবুনাল গঠনসহ চার দফা দাবিতে ‘রেজিস্ট্যান্স উইক’ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। কর্মসূচির অংশ হিসেবে আন্দোলন চলাকালে যেসব স্থানে ছাত্র-জনতা নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে, সে স্থানগুলোতে ‘রোডমার্চ’ কর্মসূচি নিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন এবং শহীদদের জন্য প্রার্থনা করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। পরে সেখান থেকে একটি মিছিল নিয়ে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলপাড়া ঘুরে ভিসি চত্বর ও ফুলার রোড হয়ে শহীদ মিনারে সমাবেশ করেন।
সেগুলো হলো
১. ফ্যাসিবাদী কাঠামোকে ব্যবহার করে ফ্যাসিস্ট হাসিনা এবং তার দল ও সরকার যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, সেগুলোর দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে।
২. সংখ্যালঘুদের উপর আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী মহাজোটের শরিক দলগুলোর পরিকল্পিত হত্যা, ডাকাতি ও লুণ্ঠনের মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানকে বিতর্কিত করার প্রচেষ্টায় অংশগ্রহণকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং সংখ্যালঘুদের ন্যায্য দাবি মেনে নিতে হবে।
৩. প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হামলা, মামলা, এবং হত্যাযজ্ঞকে বৈধতা দিয়েছে এবং ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বারংবার কায়েমের চেষ্টা করছে, তাদের দ্রুততম সময়ে অপসারণ ও নূতন সরকারে তাদের নিয়োগ বাতিল করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। ৪. প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা এতদিন বৈষম্যের শিকার হয়েছে, তাদের জন্য দ্রুততম সময়ে সুযোগের সমতা নিশ্চিত করতে হবে।
সমাবেশে ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন বলেন, আমাদের শহীদ ভাইদের রক্তের বিনিময়ে যে গণঅভ্যুত্থান হয়েছে সেই অভ্যুত্থানকে আমরা যেকোনো মূল্যে রক্ষা করব। দেশের বিভিন্ন জায়গায় ফ্যাসিবাদের দোসররা যতক্ষণ পর্যন্ত থাকবে, দেশের ছাত্র-জনতা ততক্ষণ পর্যন্ত রাজপথে অবস্থান করবে। তিনি ধর্মবর্ণ-নির্বিশেষে সব জনতাকে ফ্যাসিবাদের ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে আহ্বান জানান।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, যারা এই ফ্যাসিবাদের সঙ্গে জড়িত ছিল তাদের বিরুদ্ধে বুধবার থেকে মামলা করার জন্য দেশবাসীকে আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বলতে চাই, দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে যত আমলা ও কমিশনের প্রধান ও হাসিনার দোসর রয়েছে তাদের আজকের মধ্যেই পদত্যাগ করতে হবে। তাছাড়া যারা দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত ও ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত রয়েছেন তাদের যোগ্য স্থানে পদায়ন করতে হবে।
samakal