কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সারা দেশে নেতা-কর্মীদের গণগ্রেপ্তারসহ নানামুখী নিপীড়নের মধ্যে আপাতত দলীয় ব্যানারে কর্মসূচি করবে না বিএনপি। কারফিউ বলবৎ থাকাসহ গ্রেপ্তার অভিযানের এই সময়টাতে দলের কর্মী-সমর্থকেরা যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দলগুলোর কর্মসূচিতে সক্রিয় থাকবেন। পাশাপাশি বিএনপিপন্থী বা সরকারবিরোধী পেশাজীবী সংগঠনগুলোর কর্মসূচিতে বিএনপির নেতা-কর্মীরা অংশ নিতে পারেন।
বুধবার বিকেলে অনুষ্ঠিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভার্চ্যুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে বৈঠকে উপস্থিত একটি সূত্র জানিয়েছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে ইন্টারনেট সেবা বন্ধের পর এটি স্থায়ী কমিটির প্রথম বৈঠক।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, স্থায়ী কমিটির সভায় নেতারা কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সরকারের হত্যাযজ্ঞ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নৃশংসতা নিয়ে আলোচনা করেন। সভায় জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার সরকারি সিদ্ধান্তের বিষয়েও আলোচনা হয়।
জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হলে বিএনপির কী ধরনের প্রতিক্রিয়া দেওয়া উচিত এবং পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে দলটির সঙ্গে কী উপায়ে রাজনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখা যায়, সে বিষয়ে কমিটির সদস্যরা আলোচনা করেন।
জানা যায়, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়াল সভায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ ও সালাহউদ্দিন আহমেদ অংশ নেন।
prothom alo