সংসদ নির্বাচনের বিরোধ উপজেলার ভোটে

সংসদ নির্বাচনের বিরোধ উপজেলার ভোটে

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের বিরোধ গড়িয়েছে উপজেলার ভোটে। যেসব সংসদীয় আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সঙ্গে দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন, সেসব উপজেলার প্রায় সব ক’টিতে তাদের পছন্দের প্রার্থীরা পাল্টাপাল্টি লড়েছেন। এ নিয়ে দলের তৃণমূল পর্যায়ে দেখা দিয়েছে বিরূপ প্রতিক্রিয়া। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক নেতারা সমকালকে জানান, সংসদ নির্বাচনের পর স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সঙ্গে দলীয় এমপিদের দূরত্ব বাড়ে। আবার বিজয়ী স্বতন্ত্র এমপিদের সঙ্গেও সম্পর্কের অবনতি ঘটে দল মনোনীত প্রার্থীদের। এ নিয়ে বিভিন্ন স্থানে খুনাখুনি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটে। এই অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা মিলেমিশে কাজ করার জন্য দল ও স্বতন্ত্র এমপিদের নির্দেশ দেন।

কিন্তু গত ৮ মে অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে বিভিন্ন উপজেলায় দেখা গেছে, সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিরুদ্ধে জয় পাওয়া আওয়ামী লীগের এমপি সমর্থিত প্রার্থীকে চ্যালেঞ্জ করে পাল্টা প্রার্থী দিয়েছেন পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী। আবার স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে হেরে যাওয়া আওয়ামী লীগের প্রার্থীও পাল্টা প্রার্থী দিয়েছেন। স্থানীয় পর্যায়ে আওয়ামী লীগের কয়েকজন শীর্ষ নেতা, সমকালের ব্যুরোপ্রধান, জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে এ চিত্র পাওয়া গেছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের উপজেলা নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার আগে থেকেই প্রভাবমুক্ত নির্বাচনের জন্য কোনো প্রার্থীকে সমর্থন না করতে দলীয় নির্দেশনার কথা মন্ত্রী এবং এমপিদের বলে আসছেন। সেই সঙ্গে স্বজনদের প্রার্থী না করানোর তাগিদ দিয়েছেন। কিন্তু এই নির্দেশনা কার্যকর হয়নি। এমনকি তিনজন এমপি তাদের সন্তানদের নির্বাচনে দাঁড় করিয়ে জয় এনেছেন।

আওয়ামী লীগের কয়েকটি জেলা ও উপজেলার সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকসহ সমকালের ব্যুরোপ্রধান, জেলা-উপজেলার প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, বেশির ভাগ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মন্ত্রী ও এমপিরা পছন্দের প্রার্থীকে সমর্থন দিয়েছেন। এর মধ্যে তিন মন্ত্রীর প্রার্থী জয় পাননি। মন্ত্রী ও এমপি সমর্থিত ৫৫ জন প্রার্থী নির্বাচনে জয় পেলেও ৩৮ জন হেরেছেন। মন্ত্রী-এমপির ছয় স্বজন জয় পেলেও পরাজিত হয়েছেন ছয়জন।

এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক সমকালকে বলেন, ‘এমপিরা উপজেলা নির্বাচনে পছন্দের প্রার্থীকে সমর্থন করতে পারবেন না কেন? অনেক উপজেলায় বিএনপির প্রার্থী আছেন। তাদের নেতারা এই নির্বাচন নিয়ে সরকারের সমালোচনা করছেন। সেখানে আওয়ামী লীগের এমপিরা নিরপেক্ষ থাকবেন কেন? এটা বাস্তবতা-বিবর্জিত। তবে কোনো প্রার্থীর পক্ষে এমপিদের নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সুযোগ নেই।’ টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলা নির্বাচনে ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপির সমর্থন করা হারুনার রশীদ হিরা জয় পাননি। নির্বাচিত হয়েছেন ওয়াদুদ তালুকদার সবুজ। তবে মধুপুরে ড. আব্দুর রাজ্জাক সমর্থিত অ্যাডভোকেট ইয়াকুব আলী বিজয়ী হয়েছেন।

আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম জানান, উপজেলা নির্বাচনে দলের এমপিরা কাউকে সমর্থন করতে পারবেন না– এমন তথ্য তাঁর জানা নেই। চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় তাঁর সমর্থিত মানিক দর্জি এবং মতলব দক্ষিণে সিরাজুল মোস্তফা তালুকদার নির্বাচিত হয়েছেন।

আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামেরও প্রশ্ন, দলের এমপিরা উপজেলা নির্বাচনে পছন্দের প্রার্থীকে কেন সমর্থন করতে পারবেন না? ঢাকার কেরানীগঞ্জে চেয়ারম্যান প্রার্থী আলতাফ হোসেন বিপ্লবের প্রতি সমর্থন ছিল অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের। জয় পেয়েছেন শাহীন আহমেদ। তাঁকে সমর্থন করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।

সংসদ নির্বাচনের বিরোধ উপজেলার ভোটে
জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি প্রকাশ্যে কাউকে সমর্থন দেননি। তবে তাঁর ঘনিষ্ঠ নেতাকর্মীর বেশির ভাগই মোস্তাকিম মণ্ডলের পক্ষে ছিলেন। এখানে জয়ী হয়েছেন দুলাল মিয়া সরদার। তাঁকে সমর্থন করেন গত সংসদ নির্বাচনে জয়পুরহাট-২ আসনে স্বপনের কাছে হেরে যাওয়া দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম মাহফুজ চৌধুরী।

যশোরের মনিরামপুরে ইয়াকুব আলী এমপি সমর্থিত প্রার্থী ফারুক হোসেন জয় পাননি। এখানে নির্বাচিত হয়েছেন আমজাদ হোসেন লাভলু। তাঁকে সমর্থন দিয়েছিলেন গত সংসদ নির্বাচনে যশোর-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইয়াকুব আলীর কাছে হেরে যাওয়া আওয়ামী লীগের প্রার্থী স্বপন ভট্টাচার্য।

কেশবপুরে খন্দকার আজিজুল ইসলাম এমপির মৌন সমর্থন নিয়েও হেরেছেন নাসিমা সাদেক। এখানে জয়ী হয়েছেন গত সংসদ নির্বাচনে যশোর-৬ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী খন্দকার আজিজুল ইসলামের কাছে পরাজিত আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাহীন চাকলাদার সমর্থিত মফিজুর রহমান।

পিরোজপুরের নাজিরপুরে অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম এমপির ভাই এসএম নুর ই আলম সিদ্দিকী নির্বাচিত হয়েছেন। এখানে অ্যাডভোকেট দ্বীপ্তিষ চন্দ্র হালদারকে সমর্থন করেছিলেন সংসদ নির্বাচনে পিরোজপুর-১ আসনে শ ম রেজাউল করিমের কাছে হেরে যাওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএমএ আবদুল আউয়াল।

গাজীপুরের কালীগঞ্জে আখতারউজ্জামান এমপি সমর্থিত প্রার্থী অ্যাডভোকেট আশরাফী মেহেদী হাসান জয় পাননি। এমনকি গত সংসদ নির্বাচনে গাজীপুর-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আখতারউজ্জামান এমপির কাছে হেরে যাওয়া আওয়ামী লীগের প্রার্থী মেহের আফরোজ চুমকির সমর্থিত হাবিবুর রহমানও পরাজিত হয়েছেন। জয় পেয়েছেন আমজাদ হোসেন স্বপন।

কিশোরগঞ্জ সদরে ডা. সৈয়দা জাকিয়া নুর লিপির ঘনিষ্ঠরা মামুন আল মাসুদ খানের পক্ষে থাকলেও জয়ী হয়েছেন আওলাদ হোসেন। বিজয়ী প্রার্থীকে সমর্থন করেছিলেন এমপির ভাই মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ শাফায়াতুল ইসলাম। লিপি গত সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন শাফায়াত।

ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় মাহমুদুল হক সায়েম এমপি সমর্থিত প্রার্থী ডা. আসাদুজ্জামান সাগর হেরে গেছেন। এখানে জয় পেয়েছেন গত সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহমুদুল হক সায়েমের কাছে হেরে যাওয়া আওয়ামী লীগের প্রার্থী জুয়েল আরেং সমর্থিত ডেভিড রানা তিসিম।

নাটোর সদরে কাউকে সমর্থন দেননি শফিকুল ইসলাম শিমুল এমপি। তবে গত সংসদ নির্বাচনে নাটোর-২ আসনে তাঁর প্রতিপক্ষ স্বতন্ত্র প্রার্থী আহাদ আলী সরকার সমর্থিত শরীফুল ইসলাম রমজান বিজয়ী হয়েছেন।

তিন মন্ত্রীর প্রার্থীর পরাজয় 
নির্বাচনে তিনজন মন্ত্রীর সমর্থন করা প্রার্থী হেরেছেন। ফরিদপুরের মধুখালীতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমানের ঘনিষ্ঠজনরা শহীদুল ইসলামকে সমর্থন করলেও জয় পেয়েছেন মুরাদুজ্জামান মুরাদ। গাজীপুরের কাপাসিয়ায় মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমির পরোক্ষ সমর্থন করা প্রার্থী মাহবুব উদ্দিন আহমেদ সেলিম জয় পাননি। এখানে নির্বাচিত হয়েছেন আমানত হোসেন খান। সিলেটের বিশ্বনাথে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরীর সমর্থন পেয়েও অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন পরাজিত হয়েছেন। বিজয়ী হয়েছেন বিএনপির (বহিষ্কৃত) সোহেল আহমদ চৌধুরী।

হোঁচট খেলেন মন্ত্রী-এমপির ছয় স্বজন
মন্ত্রী ও এমপিদের ছয় স্বজন নির্বাচনে হেরেছেন। টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপির সমর্থন করা হারুনার রশীদ হিরা জয় পাননি। এখানে নির্বাচিত হয়েছেন ওয়াদুদ তালুকদার সবুজ। মৌলভীবাজারের বড়লেখায় শাহাব উদ্দিন এমপির ভাগনে সোয়েব আহমদ পরাজিত হয়েছেন। বিজয়ী হয়েছেন আজীর উদ্দিন। কক্সবাজারের মহেশখালীতে আশেক উল্লাহ রফিক এমপির ভাইয়ের ছেলে হাবিব উল্লাহ হেরে গেছেন। জয় পেয়েছেন জয়নাল আবেদিন।

নরসিংদীর পলাশে ডা. আনোয়ারুল আশরাফ খান দিলীপ এমপির শ্যালক শরীফুল হক পরাজিত হয়েছেন। নির্বাচিত হয়েছেন সৈয়দ জাবেদ হোসেন। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে আনোয়ারুল আজীম আনার এমপির ভাগনে জাহাঙ্গীর হোসেন সোহেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও এমপির সমর্থন ছিল শিবলী নোমানের দিকে। তিনিই জয় পেয়েছেন। মাদারীপুর সদরে শাজাহান খান এমপির চাচাতো ভাই পাভেলুর রহমান শফিক খান পরাজিত হয়েছেন। এখানে জয় পেয়েছেন শাজাহান খানের ছেলে আসিবুর রহমান খান।

জয়ী সাত এমপির স্বজন 
নির্বাচনে জয় পেয়েছেন সাত এমপির স্বজন। কুষ্টিয়া সদরে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল-আলম হানিফ এমপির চাচাতো ভাই আতাউর রহমান আতা নির্বাচিত হয়েছেন। বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে জয় পেয়েছেন সাহাদারা মান্নান এমপির ছেলে সাখাওয়াত হোসেন সজল। সোনাতলায় এমপির ভাই মিনহাদুজ্জামান লিটন বিজয়ী হয়েছেন।

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় জয় পেয়েছেন আলী আজগর টগর এমপির ভাই মুনসুর বাবু। খাগড়াছড়ির রামগড়ে বিজয়ী হয়েছেন কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি ভাতিজি জামাই বিশ্ব প্রদীপ ত্রিপুরা। তবে নীলফামারীর ডিমলায় আফতাব উদ্দিন সরকার এমপি সমর্থিত প্রার্থী ফেরদৌস পারভেজ জয় পাননি। জয়ী হয়েছেন এমপির চাচাতো ভাই আনোয়ারুল হক সরকার মিন্টু। পিরোজপুরের নাজিরপুরে অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম এমপির ভাই এস এম নুর ই আলম সিদ্দিকী নির্বাচিত হয়েছেন।

আরও ২৪ এমপির প্রার্থীর পরাজয় 
উপজেলা নির্বাচনে ২৪ এমপির সমর্থন করা প্রার্থী হেরেছেন। পঞ্চগড় সদরে নাঈমুজ্জামান ভুঁইয়া মুক্তা এমপির সমর্থিত আমিরুল ইসলাম জয় পাননি। নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক এমপি মজহারুল হক প্রধানের ছেলে এ এস মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ প্রধান শুভ। তেঁতুলিয়ায়ও জয় পাননি এমপির সমর্থিত আবদুল লতিফ তারিন। বিজয়ী হয়েছেন নিজাম উদ্দিন খান। নীলফামারীর ডোমারে আফতাব উদ্দিন সরকার এমপির মৌন সমর্থন থাকলেও নির্বাচিত হননি আবদুল মালেক। জয় পেয়েছেন সরকার ফারহানা আকতার সুমি।

দিনাজপুরের হাকিমপুরে জয় পাননি শিবলী সাদিক এমপির সমর্থন দেওয়া হারুন উর রশিদ। রংপুরের পীরগাছায় টিপু মুনশি এমপির প্রচ্ছন্ন সমর্থন থাকলেও জয় পাননি তসলিম উদ্দিন। এখানে নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মিলন। কুড়িগ্রামের চিলমারীতে বিপ্লব হাসান পলাশ এমপি সমর্থিত রেজাউল করিম লিচু হেরে গেছেন। জয় পেয়েছেন উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুকুনুজ্জামান শাহিন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে জিয়াউর রহমান সমর্থিত প্রার্থী আবদুল খালেক নির্বাচনী বৈতরণী পেরোতে পারেননি। জয়ী হয়েছেন বিএনপির (বহিষ্কৃত) আনোয়ারুল ইসলাম। রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে ওমর ফারুক চৌধুরী এমপির সমর্থিত জাহাঙ্গীর আলম জয় পাননি। নির্বাচিত হয়েছেন বেলাল উদ্দিন সোহেল। পাবনার সুজানগরে আহমেদ ফিরোজ কবির এমপির সমর্থন নিয়েও জয় পাননি শাহীনুজ্জামান শাহীন। বিজয়ী হয়েছেন আবদুল ওহাব।

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে জয় পেয়েছেন প্রভাষক সাঈদ উজ জামান। এখানে এস এম আতাউল হক দোলন এমপির মৌন সমর্থন পেয়েও গোলাম মোস্তফা বাংলা হেরে গেছেন। বরিশালের বাকেরগঞ্জে মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ মল্লিক এমপি সমর্থন করলেও জয় পাননি মতিউর রহমান বাদশা। নির্বাচিত হয়েছেন রাজীব তালুকদার। মানিকগঞ্জের সিংগাইরে দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু এমপির নীরব সমর্থন ছিল আবদুল মাজেদ খানের দিকে। তবে জয় পেয়েছেন সায়েদুল হক।

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে এ কে এম এনামুল হক শামীম এমপির সমর্থন করা প্রার্থী হুমায়ুন কবির মোল্লা হেরে গেছেন। জয় পেয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার ওয়াসেল কবির গুলফাম। শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে এ ডি এম শহিদুল ইসলাম এমপির মৌন সমর্থন পাওয়া বিশ্বজিত রায় হেরে গেছেন। জয় পেয়েছেন বিএনপির (বহিষ্কৃত) আমিনুল ইসলাম বাদশা। নেত্রকোনার দুর্গাপুরে মোশতাক আহমেদ রুহী এমপি সমর্থিত সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদ জয় পাননি। নির্বাচিত হয়েছেন নাজমুল হাসান নীরা।

সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় হাবিবুর রহমান হাবিব এমপি কাউকে সমর্থন না করলেও তাঁর ঘনিষ্ঠজনরা ছিলেন শামীম আহমদের পক্ষে। কিন্তু নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন বদরুল ইসলাম। ঝিনাইদহ সদরে জে এম রশিদুল আলমের প্রতি নাসের শাহরিয়ার জাহিদী মহুল এমপির মৌন সমর্থন থাকলেও জয় পেয়েছেন মিজানুর রহমান মাসুম। মৌলভীবাজারের জুড়িতে শাহাব উদ্দিন এমপির সমর্থন পাওয়া রিংকু রনজন দাশ জয় পাননি। নির্বাচিত হয়েছেন কিশোর রায় চৌধুরী মনি।

কুমিল্লার মেঘনায় অধ্যক্ষ আবদুল মজিদ এমপির মৌন সমর্থন থাকলেও সাইফুল্লাহ রতন হেরেছেন। জয় পেয়েছেন তাজুল ইসলাম তাজ। লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে মোহাম্মদ আবদুল্লাহ এমপির সমর্থন পেলেও নির্বাচিত হতে পারেননি সরাফত হোসেন সোহেল। বিজয়ী হয়েছেন শরাফ উদ্দীন আজাদ। কমলনগরেও এমপির সমর্থিত প্রার্থী মেজবাহ উদ্দিন বাপ্পী জয় হেরে গেছেন। এখানে জয় পেয়েছেন মওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ।

মাদারীপুরের রাজৈরে শাজাহান খান এমপি সমর্থিত রেজাউল করিম শাহীন চৌধুরী জয় পাননি। নির্বাচিত হয়েছেন মহসিন মিয়া। ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে মাহমুদুল হক সায়েম এমপি সমর্থিত প্রার্থী নাজিম উদ্দিন জয় পাননি। নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপির (বহিষ্কৃত) আব্দুল হামিদ। ধোবাউড়ায়ও এমপি সমর্থিত প্রার্থী ডা. আসাদুজ্জামান সাগর হেরেছেন। জয় পেয়েছেন ডেভিড রানা তিসিম।

মন্ত্রী-এমপির ৫৫ প্রার্থীর জয়
মন্ত্রী ও এমপিদের সমর্থন পাওয়া ৫৫ জন প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন। ঢাকার দোহারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমানের মৌন সমর্থন নিয়ে জয় পেয়েছেন আলমগীর হোসেন। নবাবগঞ্জে বিজয়ী নাসির উদ্দিন আহমেদ ঝিলুর প্রতিও মৌন সমর্থন ছিল সালমান ফজলুর রহমান এমপির।

রাজবাড়ীর কালুখালীতে রেলপথমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম সমর্থিত প্রার্থী আলীউজ্জামান চৌধুরী টিটো জয় পেয়েছেন। পাংশায়ও নির্বাচিত হয়েছেন মন্ত্রী সমর্থিত প্রার্থী সাইফুল ইসলাম বুরো। মেহেরপুর সদরে জনপ্রশাসনমন্ত্রী অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন দোদুলের মৌন সমর্থন ছিল আনারুল ইসলামের দিকে। তিনি জয়ী হয়েছেন। মুজিবনগরে জয়ী আমান হোসেন নিলুর প্রতিও মৌন সমর্থন ছিল জনপ্রশাসনমন্ত্রীর।

ঢাকার কেরানীগঞ্জে শাহীন আহমেদকে সমর্থন করেছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। তিনি জয়ী হয়েছেন। তার প্রতিপক্ষ আলতাফ হোসেন বিপ্লবের প্রতি সমর্থন ছিল আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের। জয়পুরহাটের কালাইয়ে জয় পেয়েছেন মিনফুজুর রহমান মিলন। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি তাঁকে মৌন সমর্থন দিয়েছিলেন। আক্কেলপুরে এই এমপির মৌন সমর্থন নিয়ে জয় পেয়েছেন মোকসেদ আলী মণ্ডল।

বাগেরহাটের রামপালে হাবিবুন নাহার তালুকদার খালেক এমপির মৌন সমর্থন ছিল শেখ মোয়াজ্জেম হোসেনের দিকে। তিনি  নির্বাচিত হয়েছেন। কচুয়ায় জয় পেয়েছেন মেহেদী হাসান বাবু। এখানে নাজমা সরোয়ারকে এমপি শেখ সারহান নাসের তন্ময় সমর্থন করেছিলেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে নির্বাচিত হয়েছেন ড. জয়া সেনগুপ্তা এমপির ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত প্রদীপ রায়। শাল্লায় এই এমপির মৌন সমর্থন পেয়ে জয় পেয়েছেন অবনী মোহন দাস।

সিলেট সদরে ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপির ঘনিষ্ঠজনরা অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিকে সমর্থন করেছিলেন। তিনি জয় পেয়েছেন। সিলেটের গোলাপগঞ্জে নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপির ঘনিষ্ঠজনের বড় অংশ সমর্থন করেছিলেন মনজুর কাদির শাফি চৌধুরী এলিমকে। তিনিও নির্বাচিত হয়েছেন। রাজশাহীর তানোরে বিজয়ী লুৎফর হায়দার রশিদ ময়নাকে সমর্থন দিয়েছিলেন ওমর ফারুক চৌধুরী এমপির অনুসারীরা।

সাতক্ষীরার কালীগঞ্জে নির্বাচিত হয়েছেন শেখ মেহেদী হাসান সুমন। তাঁর সঙ্গে ডা. আ ফ ম রুহুল হক এমপির ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। কক্সবাজার সদরে সাইমুম সরওয়ার কমল এমপির মৌন সমর্থন পেয়ে নুরুল আফসার বিজয়ী হয়েছেন। বান্দরবান সদরে বীর বাহাদুর উ শৈ সিং এমপির প্রচ্ছন্ন সমর্থন ছিল আবদুল কুদ্দুছের প্রতি। তিনি জয় পেয়েছেন। আলীকদমেও এমপির সমর্থন পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন জামাল উদ্দিন।

এ ছাড়া নির্বাচিত হয়েছেন পঞ্চগড়ের আটোয়ারীতে নাঈমুজ্জামান ভূঁইয়া মুক্তা এমপি সমর্থিত আনিছুর রহমান, ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাংগীতে মাজহারুল ইসলাম সুজন এমপি সমর্থিত সফিকুল ইসলাম ও হরিপুরে আবদুল কাইয়ুম পুষ্প, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে শিবলী সাদিক এমপির প্রচ্ছন্ন সমর্থন পাওয়া কাজী শুভ রহমান চৌধুরী ও বিরামপুরে পারভেজ কবির, লালমনিরহাটের পাটগ্রামে মোতাহার হোসেন এমপি সমর্থিত রুহুল আমিন বাবুল ও হাতীবান্ধায় লিয়াকত হোসেন বাচ্চু, রংপুরের কাউনিয়ায় টিপু মুনশি এমপির প্রচ্ছন্ন সমর্থন পাওয়া আনোয়ারুল ইসলাম মায়া, গাইবান্ধার ফুলছড়িতে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন এমপি সমর্থিত আবু সাঈদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে জিয়াউর রহমান এমপি সমর্থিত আবদুল কাদের ও গোমস্তাপুরে হুমায়ুন রেজা, নওগাঁর ধামইরহাটে শহীদুজ্জামান সরকার এমপির মৌন সমর্থন পাওয়া আজহার আলী ও পত্নীতলায় আবদুল গাফফার চৌধুরী, সিরাজগঞ্জ সদরে জান্নাত আরা তালুকদার হেনরী এমপি সমর্থিত রিয়াজ উদ্দিন, কাজীপুরে প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয় এমপি সমর্থিত খলিলুর রহমান সিরাজী, বেলকুচিতে আব্দুল মমিন মণ্ডল এমপি সমর্থিত আমিনুল ইসলাম সরকার, কুষ্টিয়ার খোকসায় আবদুর রউফ চৌধুরী এমপির মৌন সমর্থিত আল মাসুম মুর্শেদ শান্ত, চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে আলী আজগর টগর এমপির সমর্থিত হাফিজুর রহমান, নড়াইলের কালিয়ায় বি এম কবিরুল হক মুক্তি এমপির মৌন সমর্থন করা খান শামীমুর রহমান ওছি, পিরোজপুর সদরে অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম এমপি সমর্থিত এস এম বায়েজিদ হোসেন, মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু এমপির নীরব সমর্থন পাওয়া দেওয়ান সাইদুর রহমান, ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন এমপি সমর্থিত আনোয়ার আলী মোল্লা, শরীয়তপুরের নড়িয়ায় এ কে এম এনামুল হক শামীম এমপি সমর্থিত এ কে এম ইসমাইল হক, নরসিংদী সদরে লে. কর্নেল (অব.) নজরুল ইসলাম হিরু বীরপ্রতীক এমপি সমর্থিত আনোয়ার হোসেন, টাঙ্গাইলের মধুপুরে ড. আব্দুর রাজ্জাক সমর্থিত অ্যাডভোকেট ইয়াকুব আলী, কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় অ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিন এমপি সমর্থিত এমদাদুল হক ঝোটন, ময়মনসিংহের ফুলপুরে শরীফ আহমেদ এমপি সমর্থিত হাবিবুর রহমান জয়, নেত্রকোনার কলমাকান্দায় মোশতাক আহমেদ রুহী এমপি সমর্থিত আবদুল কুদ্দুস বাবুল, কুমিল্লার লাকসামে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলামের সমর্থিত অ্যাডভোকেট ইউনুস ভূঁইয়া, চাঁদপুরের মতলব উত্তরে আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম এমপি সমর্থিত মানিক দর্জি ও মতলব দক্ষিণে এমপির সমর্থিত সিরাজুল মোস্তফা তালুকদার, চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে মাহাবুব উর রহমান রুহেল এমপি সমর্থিত এনায়েত হোসেন নয়ন, সীতাকুণ্ডে এস এম আল মামুন এমপি সমর্থিত আরিফুল আলম চৌধুরী রাজু, সন্দ্বীপে মাহফুজুর রহমান মিতা এমপির কৌশলগত সমর্থন পাওয়া এস এম আনোয়ার হোসেন।

তিন এমপির তিন ছেলের জয়
দলের নির্দেশ উপেক্ষা করে নির্বাচনে অংশ নেওয়া তিন এমপির তিন ছেলে জয় পেয়েছেন। মাদারীপুর সদরে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান এমপির ছেলে আসিবুর রহমান খান। এখানে শাজাহান খানের চাচাতো ভাই পাভেলুর রহমান শফিক খান পরাজিত হয়েছেন।

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী এমপির ছেলে আতাহার ইশরাক সাবাব চৌধুরী জয়ী হয়েছেন। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরীকে হারিয়েছেন। আর নোয়াখালীর হাতিয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ আলী এমপির ছেলে আশিক আলী।

বিজয় দুই নারীর
১৩৮ জন নির্বাচিত চেয়ারম্যানের মধ্যে দু’জন নারীও জয় পেয়েছেন। তারা হচ্ছেন রুমা আক্তার ও সরকার ফারহানা আকতার সুমি। ব্রাক্ষণবাড়িয়ার নাসিরনগরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসম্পাদক রুমা আক্তার এবং নীলফামারীর ডোমারে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা সরকার ফারহানা আকতার সুমি নির্বাচিত হয়েছেন।

দুই কুলই হারালেন জাপা এমপি  
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে জাতীয় পার্টির এমপি এ কে এম সেলিম ওসমান বন্দর উপজেলা নির্বাচনে সমর্থন দিয়েছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুর রশিদকে। কিন্তু জয় পাননি আওয়ামী লীগের নেতা। এখানে জয় পেয়েছেন জেলা জাতীয় পার্টির সহসভাপতি মাকসুদ হোসেন।

বাবা ও ছেলের জয়-পরাজয়
পাবনার বেড়ায় জয় পাননি ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকুর ভাই আবদুল বাতেন। শামসুল হক টুকু অবশ্য তাঁর ভাতিজা আবুল কালাম সবুজকে সমর্থন দিয়েছিলেন। কিন্তু নির্বাচনে জয় পেয়েছেন রেজাউল হক বাবু। তাঁকে সমর্থন দিয়েছিলেন ডেপুটি স্পিকারের ছেলে বেড়া পৌরসভার মেয়র আসিফ রঞ্জন শামস। সাঁথিয়ায়ও লড়াই হয়েছে বাবা ও ছেলের মধ্যে। বেড়ায় ছেলের প্রার্থী জয় হলেও সাঁথিয়ায় বিজয়ী হয়েছেন বাবার সমর্থিত প্রার্থী। এখানে জয় পেয়েছেন অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকুর সমর্থিত প্রার্থী সোহেল রানা খোকন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আসিফ রঞ্জন শামসের সমর্থিত প্রার্থী আশরাফুজ্জামান টুটুল।

সংসদ নির্বাচনে হেরে উপজেলায় জয়
গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম-৪ আসনের পরাজিত প্রার্থী শহীদুল ইসলাম শালু রৌমারী উপজেলা নির্বাচনে জয় পেয়েছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক এই সহসভাপতির প্রতিপক্ষ ছিলেন মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী। তিনি গত সংসদ নির্বাচনেও শহীদুল ইসলাম শালুর সঙ্গে লড়েছেন। দু’জনের কেউই অবশ্য ওই নির্বাচনে জয় পাননি। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বিপ্লব হাসান পলাশের কাছে হেরেছেন।

সাকিবের বাবার সমর্থন
জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান এমপির বাবা মাশরুর রেজা কুটিল। তাঁর সমর্থন নিয়ে মাগুরা সদরে রানা আমির ওসমান এবং শ্রীপুরে শরীয়ত উল্যাহ হোসেন মিয়া রাজন নির্বাচিত হয়েছেন। সাকিব আল হাসান অবশ্য এই দুই বিজয়ীর কাউকেই সমর্থন দেননি।

samakal