জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের নেতা জি এম কাদের বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ কখনো নিখুঁতভাবে দায়িত্ব পালনে সক্ষম হবে না, এমন আশঙ্কা অবাস্তব নয়। এই সংসদ জাতিকে কতটুকু প্রতিনিধিত্ব করতে সক্ষম হবে, তা নিয়ে সংশয় আছে।
আজ মঙ্গলবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে এই মন্তব্য করেন জি এম কাদের। চতুর্থবারের মতো শিরীন শারমিন চৌধুরী স্পিকার নির্বাচিত হওয়ায় তাঁকে অভিনন্দন জানিয়ে বক্তব্য দেন জি এম কাদের।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফলের প্রসঙ্গ টেনে বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, জাতীয় সংসদ দলমত সবার মিলনস্থল। সেখানে সরকারি দল এক পক্ষ, সরকারের বিপরীত দল আরেক পক্ষ। নির্বাচন-পরবর্তী আসনসংখ্যায় ৭৫ শতাংশই সরকারি দলের। ২১ ভাগ স্বতন্ত্র। তারাও প্রায় সরকারদলীয়। ৩-৪ শতাংশ শুধু বিরোধীদলীয় সদস্য।
প্রসঙ্গত, এবারের সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি পেয়েছে ১১টি আসন। এই নির্বাচনে দলটি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে ২৬টি আসনে সমঝোতা করেছিল। যে আসনগুলোতে তারা জয় পেয়েছে, সেগুলো সমঝোতার আসন।
জি এম কাদের বলেন, ‘যদি সরকারি দলকে লাল বলি, তাহলে এ সংসদ সম্পূর্ণ লালময়। সবুজটা শুধু ছিটেফোঁটা। এ সংসদে সম্পূর্ণ জাতিকে খুঁজে পাওয়া কঠিন হবে। বর্তমান সংসদ জাতিকে কতটুকু প্রতিনিধিত্ব করতে সক্ষম হবে, তা আশঙ্কার বিষয়। ভালোভাবে বললে বলতে হবে বিতর্কের বিষয়। দুই অংশের কর্মকাণ্ডের ব্যবধান কমাতে পারলে অর্থাৎ সরকার ও বিরোধীদের সংসদ কর্মকাণ্ডের ব্যবধান যতটা কমবে, সংসদ ততটুকু কার্যকর হিসেবে গণ্য হবে।’ সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
জি এম কাদের বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য ছিল দুই পক্ষই সমান হবে। একটা হলো সরকারি দল, আরেকটা বিপক্ষ। তাদের সংখ্যাও কাছাকাছি থাকবে। তাহলে সমানে সমানে লড়াই হবে, নিজেদের মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে তর্কবিতর্ক, ঝগড়াঝাঁটি হবে। সংসদে জনগণের পক্ষে সিদ্ধান্ত হবে। এটাই ছিল সংসদ তৈরি করার উদ্দেশ্য।
বিরোধী মতকে সংসদে তুলে ধরার সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে জি এম কাদের বলেন, সংসদের ভারসাম্যের ত্রুটি কমানোর চেষ্টা তাঁরা অব্যাহত রাখবেন।
সূত্র : প্রথম আলো