বিদেশি ঋণ পরিশোধে চাপ বেশ বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) সময়ে আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৪৯ শতাংশ ঋণ পরিশোধ বেড়েছে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) গত ছয় মাসের বিদেশি ঋণ পরিস্থিতি চিত্র নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করেছে। সেখানে দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) সময়ে সুদ ও আসল মিলিয়ে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীদের ১৫৬ কোটি ৭০ লাখ ডলার ঋণ পরিশোধ করেছে। গত বছর একই সময়ে ঋণ পরিশোধের পরিমাণ ছিল ১০৫ কোটি ৩০ লাখ ডলার। এক বছরের ব্যবধানে ঋণ পরিশোধ বেড়েছে ৫১ কোটি ৪০ লাখ ডলার।
ইআরডি সূত্রে জানা গেছে, গত ছয় মাসে ঋণের আসল হিসেবে ৯২ কোটি ৬১ লাখ ডলার এবং সুদ হিসেবে ৬৪ কোটি ১৬ লাখ ডলার পরিশোধ করা হয়েছে।
এদিকে ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় টাকার হিসাবেও ঋণ পরিশোধ বেশ অনেক বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে ১৭ হাজার ২৪০ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। গতবার এই সময়ে ঋণ পরিশোধের পরিমাণ ছিল ১০ হাজার ১৪০ কোটি টাকা।
ইআরডি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বেশ কিছু বড় প্রকল্পের ঋণ পরিশোধ শুরু হওয়ায় ঋণ পরিশোধের পরিমাণ বেড়েছে। যেমন মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। তবে ঋণ পরিশোধ পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক অবস্থায় আছে।
ইআরডি সূত্রে আরও জানা গেছে, গত অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসের তুলনায় চলতি অর্থবছরে একই সময়ে বিদেশি সহায়তার অর্থছাড় কিছুটা বেড়েছে। এই সময়ে উন্নয়ন সহযোগীরা সব মিলিয়ে ৪০৬ কোটি ডলার ছাড় করেছে। গত বছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ৩৭৮ কোটি ডলার। তবে এ সময়ে অর্থসহায়তার প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে অনেক। গত ছয় মাসে উন্নয়ন সহযোগীরা প্রায় ৭০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ অর্থঋণ ও অনুদান দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আগের বছর যার পরিমাণ ছিল মাত্র ১৭৬ কোটি ডলার।
প্রথম আলো