চীনা রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের দাবি নেপালের এমপি’র

logo

অনলাইন ডেস্ক

(১৪ ঘন্টা আগে) ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, শনিবার, ৭:৫৮ অপরাহ্ন

mzamin

facebook sharing button

‘অকূটনৈতিক মন্তব্য’ করায় নেপালে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত চেং সংকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছে দেশটির ক্ষমতাসীন জোটের শরিক দল জনমত পার্টি। বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) এক বৈঠকে চীনা রাষ্ট্রদূতের কাছে ব্যাখ্যা তলব এবং তাকে পার্সোনা নন গ্রাটা (অবাঞ্চিত) ঘোষণা করার দাবি জানান বর্তমান পুষ্প কমল দাহলের নেতৃত্বাধীন সরকারের সাবেক মন্ত্রী ও জনমত পার্টির সহ-সভাপতি আবদুল খান।

নেপালের এমপি আব্দুল খান বলেন, নেপাল একটি সার্বভৌম ও স্বাধীন দেশ। আমাদের সংবিধানে একই কথা লেখা আছে। একজন বিদেশি কূটনীতিক বা রাষ্ট্রদূতের আমাদের পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণ করার কথা নয়। আমরা কীভাবে অন্য দেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক পরিচালনা করব, তা অন্য কোন দেশ সিদ্ধান্ত নেবে না।

তিনি বলেন, কিন্তু একজন রাষ্ট্রদূত একটি পাবলিক ফোরামে নেপাল ও ভারতের মধ্যকার বহু পুরনো সম্পর্কের কথা বলে বিষ উগড়ে দিয়েছেন। এটি অত্যন্ত নিন্দনীয়। নেপাল যদি সত্যিই স্বাধীন দেশ হয়, তাহলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচিত অবিলম্বে (চীনা) রাষ্ট্রদূতকে তলব করা এবং তাকে পার্সোনা নন গ্রাটা (অবাঞ্চিত) ঘোষণা করা।

একই সঙ্গে কূটনৈতিক দায়িত্বের বাইরে হওয়ায় চীনা রাষ্ট্রদূতকে নেপাল ও ভারত সম্পর্কে আর কোনো ধরনের বক্তব্য দেওয়া থেকে বিরত থাকতে আহ্বান জানিয়েছেন আব্দুল খান।

চলতি সপ্তাহের শুরুতে এক অনুষ্ঠানে চীনা রাষ্ট্রদূত বাণিজ্য ও অন্যান্য ক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে সতর্ক অবস্থানে থেকে নেপালকে কার্যক্রম পলিচালনার পরামর্শ দেন। ওই অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে চেং সং ভারতকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করে নেপালে চীনা প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা করেন।

চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, দুর্ভাগ্যবশত, ‘ভারতের মতো এক প্রতিবেশী রয়েছে আপনাদের। এর বিশাল বাজার, বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে, যা আপনি কাজে লাগাতে পারেন। কিন্তু একই সঙ্গে নেপাল ও অন্যান্য প্রতিবেশীর প্রতি তাদের নীতি এতটা বন্ধুত্বপূর্ণ নয়।

এটি নেপালের জন্য উপকারীও নয়। আমরা এটাকে নীতির সীমাবদ্ধতা বলতে পারি।’ ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যে নেপাল লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।
সূত্র: এএনআই