- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৫ আগস্ট ২০২৩, ০০:০৬, আপডেট: ২৫ আগস্ট ২০২৩, ০০:২০
তীরে এসে তরী ডোবার ঘটনা পাকিস্তান সমর্থকেরা অনেক দেখেছেন। আজও তার পুনরাবৃত্তি হবে- অন্তত শেষের কয়েকটা ওভারে তাই মনে হচ্ছিল, তবে না; এক বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছালো পাকিস্তান।
বৃহস্পতিবার নিরপেক্ষ ভেন্যু শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটায় তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয়টিতে মুখোমুখি হয় প্রতিবেশী দুই দেশ পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। এ ম্যাচেই আফগানদের দেয়া ৩০১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে রুদ্ধশ্বাস এক জয় পেয়েছে বাবর আজমের দল।
এদিন ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে আসেন ফখর জামান ও ইমামুল হক। প্রত্যাশা অনুযায়ী ভালোই শুরু করেন তারা। কিন্তু ৩৪ বলে ৩০ রান করে ফখর আউট হলে ৫২ রানে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি।
এরপর ক্রিজে আসেন অধিনায়ক বাবর আজম। তাকে নিয়ে ইনিংস টেনে বহুদূর নিয়ে যান ইমাম। ৬৬ বলে ৫৩ রানে বাবর ফিরলে এই জুটি ভাঙে। তখন দলের রান ১৭০।
বাবরের বিদায়ের পর দ্রুত কয়েকটি উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় পাকিস্তান। সেখান থেকে বলা যায়- একাই দলকে টেনে নিয়ে যান সাদাব খান। কিন্তু শেষ ওভারের প্রথম বলে তাকে মানকার্ড আউটের ফাঁদে ফেলে খেলা জমিয়ে তোলেন ফজল হক ফারুকী।
সে সময় পাকিস্তানের হাতে এক উইকেট। দরকার ৫ বলে ৭ রান। ক্রিজে তখন নাসিম শাহ ও হারিস রউফ। খেলা যখন মাত্র দুই বল বাকি, তখন স্লিপের মাথার ওপর দিয়ে সীমানার বাইরে বল পাঠান নাসিম। এতেই তার দল পায় রুদ্ধশ্বাস এক জয়। তিনি ৫ বলে ১০ রান করে অপরাজিত থাকেন।
আফগানিস্তানের ফারুকী তিনটি, মোহাম্মদ নাবি দুইটি এবং মুজিবুর রহমান ও আব্দুর রহমান একটি করে উইকেট নিয়েছেন।
এর আগে দিনের শুরুতে টসে জিতে আগে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন আফগান অধিনায়ক হাসমাতুল্লাহ শাহিদি। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তানকে ৩০১ রানের টার্গেট দেয় তার দল।
এদিন ইনিংস গোড়াপত্তন করতে নামেন যথারীতি রাহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইবরাহিম জাদরান। তারা দুজনে ৩৯ ওভার ৫ বল খেলে ২২৭ রানের রেকর্ড জুটি গড়েন। যা আফগানদের দ্বিতীয় ও পাকিস্তানের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটি।
রাহমানুল্লাহ ১৫১ বলে ১৫১ রানের অনবদ্য একটি ইনিংস খেলেন। ইনিংসটি সাজিয়েছেন তিনি ১৪টি চার ও ৩টি ছক্কা দিয়ে। আর তার সতীর্থ ইবরাহিম জাদরান খেলেছেন ৮০ রানের দুর্দান্ত একটি ইনিংস। ৬টি চার ও ২টি ছক্কায় সাজানো এ ইনিংসটি খেলতে খরচ করেছেন ১০১টি বল। এরপর অবশ্য মোহাম্মদ নাবির ২৯ বলে ২৯ রান ছাড়া উল্লেখযোগ্য কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি।
পাকিস্তানের শাহিন শাহ আফ্রিদি ২টি এবং নাসিম শাহ ও উসামা মীর ১টি করে উইকেট নিয়েছেন। আগের ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করা হারিস রউফ অবশ্য এদিন ছন্দে ছিলেন না। দলের সবচেয়ে খরুচে বোলার ছিলেন তিনি। মাত্র ৭ ওভারে ৬.৯০ করে ৪৮ রান দিয়েছেন তিনি। পাননি কোনো উইকেট।
এদিন ব্যাটে-বলে দারুণ খেলে প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হয়েছেন সাদাব খান।