‘সরকারের মদদে মুনাফাখোর চক্র বাজারে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে’

  • নয়া দিগন্ত অনলাইন
  •  ২১ মার্চ ২০২৩, ১৯:২৭
ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত বিক্ষোভ। – ছবি : সংগৃহীত

সরকারের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে একটি অতি মুনাফাখোর চক্র পবিত্র রামাদান মাস আসার আগেই নিত্যপণ্যের বাজারে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) রাজধানীতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত মাহে রামাদানের পবিত্রতা রক্ষা, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য কমিয়ে আনা, হজ্জ প্যাকেজের মূল্য কমানো, আমিরে জামায়াতসহ সকল নেতাদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি ও নির্বাচনকালীন কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে এক বিক্ষোভ পূর্ব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

বিক্ষোভ মিছিলটি বাড্ডা শাহজাদপুর বাসট্যান্ড থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে গুলশান লিঙ্ক রোডে এসে শেষ হয়। বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারি সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, নাজিম উদ্দীন মোল্লা ও ডা. ফখরুদ্দীন মানিক, ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য জিয়াউল হাসান, জামাল উদ্দীন, মু: আতাউর রহমান সরকার, নাসির উদ্দীন ও ছাত্রনেতা শহীদুল্লাহ প্রমুখ।

ড. এম আর করিম বলেন, পবিত্র রামাদান মাসে জনগণের সিয়াম পালন সহজতর করার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দ্রব্যমূল্য কমানো হয়। এবারের রামাদানে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৯০০ পণ্যের দাম ৭৫ ভাগ পর্যন্ত কমানো হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশেও একইভাবে নিত্যপণ্যের দাম হ্রাস করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে এই মোবারক মাসে জনগণের পকেট কাটার জন্য পরিকল্পিতভাবে মূল্যস্ফীতি ঘটানো হয়েছে। তিনি সাধারণ মানুষের সিয়াম পালন সহজতর করতে এবং রামাদানের পবিত্রতা রক্ষায় দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের সাধ্যের মধ্যে আনা, দিনের বেলা হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধসহ অশ্লীলতা, বেহায়াপনা ও অনৈসলামী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।

তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি নাগরিকের ধর্মপালন নির্বিঘ্ন ও সহজতর করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। কিন্তু নৈশ্য ভোটের সরকার জনগণের হজ পালনে পরোক্ষভাবে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার জন্যই প্যাকেজ মূল্য প্রায় সাত লাখ টাকা নির্ধারণ করেছে। হাজিদের বিমান ভাড়া এক লাখ ৯৬ হাজার, ওমরার জন্য এক লাখ এবং ভ্রমণের জন্য মাত্র ৬০ হাজার টাকা নির্ধারণ করার মাধ্যমে প্রমাণ করেছে তারা পরিকল্পিতভাবে দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের হজ পালনে ওপর বিধি-নিষেধ আরোপ করতে চায়। অথচ কাছের প্রতিবেশী অমুসলিম রাষ্ট্রেও হজের প্যাকেজ মূল্য মাত্র তিন লাখ টাকা। একইভাবে ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার হজ প্যাকেজ আড়াই লাখের মধ্যেই রয়েছে। তিনি হজ নিয়ে বাণিজ্য না করে বা বিমানের লোকসানের দায়ভার হাজিদের ওপর না চাপিয়ে সরকারকে অবিলম্বে হজের প্যাকেজ সহনীয় পর্যায়ে আনার আহ্বান জানান। অন্যথায় সরকারকে গণরোষের মুখোমুখি হতে হবে।

মহানগরী সেক্রেটারি বলেন, বিনা ভোটের সরকার আগামী নির্বাচনে কারচুপির মাধ্যমে নির্বাচনী বৈতরণি পার হওয়ার জন্য বিরোধী দলের ওপর নতুন করে জুলুম-নির্যাতন শুরু করেছে। সে ধারাবাহিকতায় পরিচ্ছন্ন রাজনীতিক, সজ্জন ব্যক্তিত্ব ও বর্ষীয়ান আমিরে জামায়াত জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ শীর্ষনেতাদেরকে সম্পূর্ণ অন্যায় ও অযৌক্তিকভাবে গ্রেফতার করে কারাগারে অন্তরীণ রাখা হয়েছে।

তিনি সরকারকে সময় থাকতে শুভবুদ্ধির পরিচয় দিয়ে আমিরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ সকল নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তি ও কেয়ারটেকার সরকারের গণদাবি মেনে নেয়ার আহ্বান জানান। অন্যথায় জনগণ তাদের দাবি রাজপথেই আদায় করেই ছাড়বে ইনশাআল্লাহ।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি