- ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী
- ১১ ডিসেম্বর ২০২২
বিএনপি কি ‘সাফা’ হয়ে গেল – প্রতীকী ছবি
আমি ঢাকায় আছি ৫৪ বছর। যাত্রাবাড়ী এলাকা দিয়ে অসংখ্যবার যাতায়াত করেছি। কমলাপুর বৌদ্ধমন্দির এলাকায় কয়েক বছর থেকেছি। ট্রেনে ভ্রমণ করেছি দূরদূরান্ত। কিন্তু আজকে সত্যি বলি, আমি কোনোদিন গোলাপবাগ মাঠের নাম শুনিনি, যাইওনি। এ ছাড়া ধূপখোলা মাঠসহ পুরান ঢাকায় যতগুলো মাঠ আছে তার সব আমার চেনা। নানা কারণেই চেনা। কখনো এর আশপাশে টিউশনি করেছি। কখনো নিতান্ত খোলা হাওয়ায় বসে থাকতে গেছি। কিন্তু গোলাপবাগ মাঠ কোথায় তা আজ পর্যন্ত আমার জানা নেই।
বিএনপি লাখ লাখ লোক নিয়ে বিভাগীয় শহরগুলোতে গণসমাবেশ করেছে। সেখানে ভেনু নিয়ে কোনো সমস্যা হয়নি। পুলিশ ও সরকারের পাণ্ডারা প্রায় সব জায়গায় বাধা দিয়েছে। এমনকি কোথাও কোথাও মাইকিংও করেছে যে, যারা বিএনপির জনসভায় যাবে তাদের আর এলাকায় ফিরতে দেয়া হবে না। আমার বাড়ি, আমার ঘর, কার সভায় আমি যাবো না যাবো সেটি আমার ইচ্ছা। কিন্তু গণসভায় গেলে আমাকে আর ফিরতে দেয়া হবে না। এ ধরনের হুমকি ক্রিমিনাল অফেন্স। সাধারণভাবে যারা এ ধরনের হুমকি দিয়েছে পুলিশের উচিত ছিল আটক করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া। জনসভায় আসার অপরাধে আওয়ামী লীগের পাণ্ডারা অনেকের দোকানপাটে তালা দিয়েছিল। তার কোনো কোনো তালা এখনো খোলা হয়নি। একজনের দোকানে এভাবে তালা দেয়ার বা দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। জনসভায় আগত ব্যক্তিদের ওপর হামলা চলেছে। পুলিশ অকারণে বহু সংখ্যক মানুষের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা করেছে। বলেছে, বিএনপির লোকেরা বোমা মেরেছে বা ককটেল ফাটিয়েছে। সাংবাদিকরা সেখানে গিয়ে এরকম কোনো আলামত দেখতে পাননি। এমন লোক খুঁজে পাওয়া যায়নি যে, বোমা বা ককটেলের শব্দ শুনেছে। পুলিশ বলেছে, বিএনপির লোকেরা বাস ভাঙচুর করেছে। ফলে নামে-বেনামে ডজন ডজন লোকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। দু-চারজন লোকের নাম দিয়ে বলেছে, অজ্ঞাত আরো ৫০-৬০ জন। এই অজ্ঞাত লোকদের নামে যে কাউকে আটক করার এখতিয়ার সৃষ্টি করেছে।
পুলিশ এখন আরো একটি ভাষা ব্যবহার করে। ধরা যাক প্রকাশ্যে এক ব্যক্তি খুন হলেন কিংবা কোথাও মারামারিতে অনেক লোক আহত হলেন। পুলিশ পায়ের উপর পা তুলে বলে, এ ব্যাপারে আমরা তো এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এটি পুলিশের কোন খাতায় লেখা আছে তা আমাদের স্বাভাবিক বুদ্ধিতে কুলায় না। ধর্ষণ মামলার ক্ষেত্রেও একই কথা বলে পুলিশ। আর অভিযোগ করতে গেলে এমন সব প্রশ্ন করে, যে প্রশ্নের জাবাব দেয়া ভিকটিমের পক্ষে সম্ভব নয়। অনেক ক্ষেত্রে পুলিশি হয়রানির ভয়ে ভিকটিমরা মামলা দিতে আসেন না। কিন্তু অপরাধ গুরুতর। অপরাধীরা ভিকটিম ও তার পরিবারকে এই বলে শাসায় যে, যদি মামলা দেয়া হয় তাহলে তার পরিণতি হবে করুণ। এই গতকালই একটি খবর ছাপা হয়েছে, অভিযুক্ত পিতাকে না পেয়ে পুত্রকে ধরে নিয়ে গেছে পুলিশ। পুলিশ কোন আইনে এই কুকর্ম করেছে তার কোনো ব্যাখ্যা নেই। এ কথা সত্য যে, সরকার পুলিশের অপরাধের জন্য মাঝে মধ্যে কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করে। সেসব ব্যবস্থা প্রধানত দু’টি। দোষী পুলিশকে অ্যাটাচ করা হয় অথবা অন্য কোথাও বদলি করা হয়। এটি শাস্তিও নয়, সমস্যার সমাধানও নয়। যে পুলিশ হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করে তার বিরুদ্ধেও তো কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের কথা। সে পথে না গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সবসময় বলেন, আত্মরক্ষার্থে পুলিশ গুলি করতে বাধ্য হয়েছিল। আক্রমণের মুখে পড়লে তারা কি বসে বসে আঙুল চুষবে। অপরাধপ্রবণ পুলিশকে আশকারা দেয়ার জন্য এই বক্তব্যই যথেষ্ট।
বিএনপি ঢাকায় গণসমাবেশ ডেকেছিল ১০ ডিসেম্বর। সাধারণত দলীয় কার্যালয়ের সামনে দুই চার শ’ লোক সবসময় ঘোরাফেরা করে। ৭ ডিসেম্বর সেরকমই বিএনপির কিছু নেতাকর্মী কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করছিল। সরকারের কাছে নাকি আজব গোয়েন্দা তথ্য ছিল যে, এই অবস্থান কর্মসূচি বেড়ে বেড়ে ১০ তারিখে ২০-২৫ লাখ লোক নয়াপল্টনে সমবেত হবে। আর এই লোকগুলো পরে সেখানে অবস্থান নেবে। সেখান থেকে তারা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ঘেরাও করবে। আর তার মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটে যাবে। ইতোমধ্যে সরকারের গোয়েন্দা সূত্রের কোনো খবরই সত্য হয়নি। রেস্টুরেন্টে যদি ১০-১৫ জন লোক একসাথে খেতে যায় তা হলেও সরকার সেখানে নাশকতার গন্ধ পায় এবং সরকারবিরোধী চক্রান্ত হচ্ছে বলে দাবি করে। তারপর তাদের গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। ফলে সরকার সমাজের ভেতর-কাঠামো ইতোমধ্যে অনেকটা ভেঙে দিয়েছে। ধরা যাক, আমি আমার বাসভবনে আমার কলেজ-বিশ^বিদ্যালয়ের জীবনের ২০-২৫ জন বন্ধু-বান্ধবকে ডেকে দাওয়াত খাওয়াতে পারি, বসে গল্প-গুজব করতে পারি। কিন্তু ভয় হয়, সেখানেও যদি পুলিশ নাশকতার গন্ধ পায়? পুলিশের একটি সহজ কৌশল হলো পকেটে ইয়াবা ঢুকিয়ে দিয়ে পকেট তল্লাশি করা। তারপর ইয়াবা পাওয়া গেছে বলে থানায় চালান দেয়া। এই রকম কাণ্ড অসংখ্য ঘটেছে। কলেজ-বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্ররা পুলিশ পকেটে হাত দিতে চাইলে দিতে দেয় না। পকেট চেপে ধরে থাকে। তারপর পকেটে যা কিছু আছে নিজেই মেলে ধরে। এরকম ঘটনার একজন প্রত্যক্ষ সাক্ষী আমি নিজেই। ৩২ নম্বরের মাথায় একজন গোয়েন্দা পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসের জন্য অপেক্ষারত এক ছাত্রের পকেটে হাত দেয়ার চেষ্টা করতেই ছেলেটি চেঁচিয়ে উঠল। পকেটে হাত দিচ্ছেন কেন। পুলিশ বলল, আপনার পকেটে ইয়াবা আছে। ছাত্রটি পকেট উল্টে দেখাল- কিছুই নেই। অন্য ছাত্ররা এগিয়ে এসে পুলিশকে চ্যালেঞ্জ করল, আপনিই ইয়াবা ঢুকানোর চেষ্টা করছিলেন। আশপাশ থেকে আমার মতো বয়স্ক লোকেরা এগিয়ে এলেন, প্রতিবাদ করতে থাকলেন। ওই পুলিশ বিপত্তি দেখে প্রতিবন্ধকে ঘেরা ৩২ নম্বর সড়কে ভেতরে ঢুকে গেল।
গত ৭ ডিসেম্বর পুলিশ বিএনপি অফিসে অতর্কিতে হামলা চালায়। তারা যাকে সামনে পায় তাকে মারধর করতে থাকে, শেষ পর্যন্ত টিয়ার শেল ও গুলি চালায়, বিএনপি অফিসের ভেতরে ঢুকে সব কিছু ভাঙচুর ও তছনছ করে ফেলে। পুলিশের বক্তব্য হলো, বিএনপি নাশকতার পরিকল্পনা করছে বলে তাদের কাছে গোয়েন্দা সূত্রের খরব আছে। পুলিশ বিএনপি অফিসের তালা ভেঙে ভেতরের সব তালাবদ্ধ রুম ভেঙেচুরে তছনছ করে দেয়। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকেও অফিসের ভেতরে ঢুকতে বাধা দেয়। তারপর কর্মকর্তা গোছের একজন পুলিশ সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপির অফিসে ভেতরে ‘অসংখ্য ককটেল’ রয়েছে। তাদের একজনের যুক্তি এসব ককটেল নিষ্ক্রিয়করণের জন্য বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দল আসুক। তারপর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। বিএনপি অফিসে সামনে উপস্থিত নেতাকর্মীদের তারা বেধড়ক পেটাতে থাকে। মুহুর্মুহু টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে তারপর গুলি চালায়। সে গুলিতে একজন নিহত হন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি অফিসের সামনে বসে পড়েন। তিনি দাবি করেন, আমার অফিসে আমাকে যেতে দিতে হবে। সে কথায় পুলিশ কর্ণপাত করেনি।
তারপর একসময় পুলিশ জানায়, বিএনপি অফিসের ভেতর থেকে ১৬০ বস্তা চাল, বেশ কয়েক বস্তা ডাল, মিষ্টিকুমড়া উদ্ধার করে। সাংবাদিকরা যখন জিজ্ঞাসা করে, অসংখ্য ককটেলের কথা যে বলেছিলেন সেগুলো কোথায়। পুলিশ তার কোনো সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেনি। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পরে স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ওই অফিসে ১৬০ বস্তা চাল রাখার কোনো জায়গাই নেই। এসব ভুতুড়ে চাল কোথায় গেল। একটি ককটেলও কেন পাওয়া গেল না। সে প্রশ্নের কোনো সমাধান হয়নি। বিএনপি অফিস এখনো তালাবদ্ধ। পুলিশ বলছে, অফিস স্ক্যান করা শেষ হয়নি। সেখানে শত শত পুলিশ মোতায়েন করে ফকিরাপুল থেকে নাইটিঙ্গেল মোড় পর্যন্ত রাস্তা বন্ধ করেছে পুলিশ। ১০ তারিখে এই নিবন্ধ লেখা পর্যন্ত সেই রাস্তা বন্ধ ছিল।
বিএনপি যখন নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চাইল তখন পুলিশ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একযোগে বললেন, যান চলাচল বিঘ্নিত করে কোনো সভাসমাবেশ করতে দেয়া হবে না। তার আগে ৬ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের সম্মেলন হলো তখন পুলিশ ঘোষণা দিয়ে এর চার পাশে যত রাস্তা আছে সব বন্ধ করে দিলো তাতে মানুষের চলাচল কি বিঘ্নিত হয়নি? এ দেশে এসব প্রশ্নের কোনো জবাব নেই। সরকার গোঁ ধরে বসে থাকল, কোনো অবস্থাতেই বিএনপিকে নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে দেয়া হবে না। কিন্তু এর আগেও বিএনপি নয়াপল্টনে বহু বড় বড় সমাবেশ করেছে। কিন্তু তখন এসব প্রশ্ন ওঠেনি। এবার সরকার বিএনপিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ব্যবহার করতে বলল। তার আগেই সরকারের তরফ থেকে একাধিক মন্ত্রী বললেন, বিএনপি যদি নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চায় তবে তাদের পরিণতি হেফাজতের মতো করুণ হবে। কিংবা বিএনপিকে ‘সাফা’ করে দেয়া হবে। এ ক্ষেত্রে বিএনপি কিছুটা নমনীয় দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় দিলো, তারা বললেন, সে ক্ষেত্রে তাদেরকে আরামবাগে সমাবেশ করতে দেয়া হোক। এর মধ্যে ৮ তারিখ দিবাগত রাতে ‘ঊর্ধ্বতন মহলের’ নির্দেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ৯ তারিখে সরকারের তরফ থেকে বলা হয়, সায়েদাবাদের কাছে গোলাপবাগ মাঠে বিএনপি সমাবেশ করতে পারবে। দুপুর আড়াইটার দিকে সরকারের তরফ থেকে এ কথা জানানোর এক ঘণ্টার মধ্যে চতুর্দিক থেকে বিএনপি নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ গোলাপবাগ মাঠে চলে আসে এবং সাড়ে ৩টা-৪টার মধ্যে মাঠ পরিপূর্ণ হয়ে যায়। তারপর দলে দলে জনতা মাঠের দিকে আসতেই থাকে।
ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগ ঘোষণা করেছিল, তাদের নেতাকর্মীরা রাস্তায় রাস্তায় পাহারা বসাবে। সরকারের দালাল বাসমালিক সমিতি ঘোষণা করেছিল, যাত্রী থাকুক বা না থাকুক তাদের সব ধরনের বাস রাস্তায় চলাচল করবে। কিন্তু দেখা গেল, দু-একটি ভাঙাচোরা বাস ছাড়া কোনো বাসই রাস্তায় নামেনি। আওয়ামী পাণ্ডা মহাসড়কগুলো বেঞ্চ ফেলে পাহারা দিয়েছে। যাতে সে পথে কেউ সমাবেশে আসতে না পারে। দূরপাল্লার বাস যে দু-একটি এসেছিল তার প্রত্যেক যাত্রীকে তল্লাশি করা হয়েছিল, শত রকম প্রশ্ন করা হয়েছে। কাউকে কাউকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আওয়ামী পাণ্ডাদের পাহারার কারণে সরকারের দালাল বাসমালিক সমিতি তাদের বাস রাস্তায় নামায়নি। কোনো লঞ্চও ঘাট থেকে যায়নি-আসেনি। এমনকি বুড়িগঙ্গায় নৌকা পারাপারও বন্ধ করে দেয় সরকার। ফলে সারা দেশ এক কারফিউয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হয়নি বিভিন্ন পথে ষণ্ডাপাণ্ডা ও পুলিশের চোখ রাঙানি এড়িয়ে লাখ লাখ লোক গোলাপবাগ মাঠের দিকে ছুটে এসেছিলেন। জনসভা মাঠ পেরিয়ে মুগদা-কমলাপুর-খিলগাঁও হয়ে সায়েদাবাদ পর্যন্ত বিস্তৃত হয়ে পড়েছিল। সবার দাবি ছিল একটাই- ‘নিশিরাতের ভোটে নির্বাচিত’ এই সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। সেই আওয়াজ শুধু ওই এলাকায় সীমাবদ্ধ ছিল না। জনে জনে তা ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেশে।
এতে সরকারের কী লাভ হয়েছে তা সরকারই বলতে পারবে। পুলিশের গুলিতে একজন স্বেচ্ছাসেবক দলকর্মীর প্রাণ গেছে। আহত হয়েছে শত শত মানুষ। গ্রেফতার করা হয়েছে শত শত লোককে। এখনো অবরুদ্ধ বিএনপি অফিস। আর আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে নেতাকর্মীদের খাওয়ার জন্য ডেগ বসিয়ে রান্না করা হচ্ছে। এই দ্বিচারিতা আওয়ামী লীগের জন্য কতটা সুবিধা নিয়ে আসবে বলা মুশকিল। বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী দেশগুলো এ দেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, অবাধে সমাবেশ করার স্বাধীনতা দাবি করে আসছে। মনে হচ্ছে, সরকার তাতে কোনো কর্ণপাতই করছে না। এতে রুষ্ট হয়েছে। আপাতত ব্রিটেন ও জাপান তার প্রমাণ কিছু তারা রেখেছে। মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করে কেবল গায়ের জোরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শক্তি দিয়ে দলীয় লোক নামিয়ে গ্রেফতার করে কিছুতেই ক্ষমতা চিরস্থায়ী করা যাবে না। পৃথিবীর কোনো স্বেচ্ছাচার তা পারেনি। বাংলাদেশেও তা পারবে বলে মনে হয় না।
লেখক : সাংবাদিক ও সাহিত্যিক
[email protected]