জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে, ষোলআনা রোমাঞ্চ ছড়িয়ে, শিউরে উঠার মতো সংবাদ নিয়ে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। ভূমিকা আর ভনিতা দূরে রেখে, সরিয়ে রেখে বলছি- মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ নেই বিশ্বকাপে।
গুঞ্জনটা আগেই ছিল। তবে গুঞ্জন হিসেবেই তা রয়ে যাবে, সবাই ভেবেছিল। কে জানত এমনটা হবে, হঠাৎই বিসিবি এমন সাহস দেখাবে! মাঝে আবার গুঞ্জনেও গুঞ্জন শোনা যায়, সাকিব নাকি দলে রিয়াদকে চায়। যে খবরটা পরে মিথ্যা হয়, সাকিবকে ঘিরে যে খবর, তা সাকিব বাদে যেন সবাই জানে!
যাহোক, বিশ্বকাপে বাংলাদেশ যাবে সব থেকে তরুণ দল হয়ে, খবরটা আগেই রটেছিল। তবে এবার দলের সব থেকে অভিজ্ঞ আর বয়সে বড় ক্রিকেটারও ছিটকে গেল। ফলে বয়স আরো কমে গেল, তাতে ভরসার নৌকা তারুণ্যে ভিড়ল। সেই নৌকায় সাফল্য আসে না ব্যর্থ ভাসে, সময়ই তা বলে দেবে।
বিশ্বকাপের ঠিক আগ মুহূর্তে এমন রদবদলের প্রভাব কী হবে, কে জানে। তবে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করে নিঃসন্দেহে। দায় এড়াতে যদিও চাপমুক্ত থাকার আশ্বাস আছে বিসিবি’র পক্ষ থেকে, বিসিবি সভাপতি পরবর্তী বিশ্বকাপকে নিয়েছেন লক্ষ্যে। তারপরও যে সাফল্য-ব্যর্থতায় কথা হবে, সমালোচনা হবে। জয় পরাজয় ছাপিয়ে, খেলার ধরন আলোচনায় আসবে।
সৌম্য সরকার আসি আসি করেও আসেননি দলে, ইয়াসির রাব্বি, হাসান মাহমুদ ফিরেছেন দলে৷ সহ-অধিনায়কত্ব উঠেছে সোহানের কাঁধে। তবে অবাক করে শান্তও ফিরেছেন নীড়ে; ব্যর্থদের ভিড়ে বাঘহীন জঙ্গলে বিড়ালই রাজা তবে। তবুও সমালোচনার ঝড় উঠেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে, তবে বিসিবি’র পছন্দ শান্তই, তৃতীয় ওপেনার হিসেবে।
সাব্বির, মিরাজই ওপেনিংয়ে থাকবেন। আফিফ, ইয়াসির, মোসাদ্দেক মিডল সামলাবেন। লোয়ার অর্ডারে সোহানই ভরসা, শেখ মেহেদী হারিয়েছেন জায়গা। ইবাদত, তাসকিন আছেন পেস বোলিংয়ে, মুস্তাফিজই থাকবে এর নেতৃত্বে। নাসুম টিকে গেছেন স্পিনে সাকিবের সহকারী হয়ে। টিকে গেছেন সাইফুদ্দীনও অধিনায়কের ভরসা পেয়ে।
দেখা যাক এবার কী হয় তবে, তারুণ্যের শক্তিতে দলটা যায় কিনা বদলে? ধুসর মলিন রঙ সরিয়ে, রঙধনুর রঙে রঙিন করতে।