- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৬ জুলাই ২০২২, ২১:৪৬
যাত্রী সঙ্কটের কারণে বন্ধ হয়ে গেলো ঢাকা-বরিশাল রুটের নৌ সার্ভিস এমভি গ্রীন লাইন-৩। বেশ কয়েকটি সঙ্কটের সম্ভাব্যতায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এই নৌপথটিতে প্রায় ছয় বছর ধরে যাত্রীসেবা দিয়ে আসছিল দ্রুতগতির অত্যাধুনিক নৌযান এমভি গ্রীন লাইন।
মঙ্গলবার সকালে ঢাকা প্রান্ত থেকে নির্ধারিত সার্ভিসটি স্থগিত করা হয়। পদ্মা সেতু খুলে দেয়ার পর যাত্রী কমে যাওয়ার কারণে কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এর আগে সোমবার রাতে গ্রিন লাইনের ফেসবুক পেজ থেকে এ সংক্রান্ত ঘোষণা দেয়া হয়। তবে ঢাকা-কালীগঞ্জ-ভোলা (ইলিশা) রুটের এমভি গ্রিন লাইন-২ নিয়মিত চলাচল করবে।
সড়কপথে যাত্রীর চাপ বাড়ায় নৌযানটিতে কমতে শুরু করে যাত্রী। সম্প্রতি যাত্রী সঙ্কটের কারণে জ্বালানি বাবদ ব্যয় উঠে আসছে না বলে নৌযানটির মালিক পক্ষ দাবি করেছে।
গ্রিন লাইনের বরিশাল কাউন্টারের হিসাবরক্ষক আল-আমিন জানান, সার্ভিসটি আপাতত বন্ধ থাকবে। তবে এটা স্থায়ীভাবে বন্ধ করার কোনো ঘোষণা দেয়া হয়নি। তিনি আরো জানান, পদ্মা সেতু চালুও হওয়ার পর নৌ-পথে যাত্রী কমে গেছে। মূলত এ কারণেই আপাতত সার্ভিসটি স্থগিত করা হয়েছে।
গ্রীন লাইন পরিবহন ও ওয়াটার ওয়েজের জেনারেল ম্যানেজার মো: আব্দুস ছাত্তার জানান, ঈদের পরে এক শ’ যাত্রীও হচ্ছিল না। আসলে পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর যাত্রী কমে গেছে। অনেকেই প্রস্তাব দিয়েছিলেন ভাড়া কমাতে। তবে ক্যাটামেরান সার্ভিস পরিচালনায় ট্রিপ প্রতি খরচ বেশি। তাছাড়া আমরা পর্যালোচনা করে দেখেছি, ভাড়া কমালেও যাত্রী আশানুরূপ বাড়বে না। এছাড়াও বিশ্বব্যাপী ডিজেলের দাম বেড়েছে। ফলে ট্রিপ খরচ উত্তোলন নিয়েই শঙ্কা রয়েছে। ভাড়া কমিয়ে লঞ্চ সার্ভিস দেয়া সম্ভব। ক্যাটামেরান সার্র্ভিস অব্যাহত রাখা অসম্ভব।
আব্দুস ছাত্তার বলেন, এমভি গ্রীন লাইন-৩-এ কিছু যান্ত্রিক ত্রুটি রয়েছে। সেটি মেরামত করতে ডকইয়ার্ডে নিতে হবে। এতে কমপক্ষে ১৫ দিন সময় লাগবে। তবে আবারো সার্ভিসটি চালু করা হবে কিনা এখনই আমরা বলতে পারছি না।
২০১৫ সালের ৮ সেপ্টেম্বর ক্যাটামেরান সার্ভিসের দুটি ওয়াটারওয়েজ জাহাজ নিয়ে ঢাকা-হিজলা-বরিশাল রুটে দিবা সার্ভিস শুরু করে গ্রীন লাইন পরিবহন। সার্ভিসটি চালুর পর তুমুল জনপ্রিয়তা পায়। প্রতিদিন সকাল ৮টায় ঢাকার সদরঘাট থেকে এবং বিকেল ৩টায় বরিশাল প্রান্ত থেকে যাত্রী পরিবহন করে আসছিল এমভি গ্রীন লাইন। তবে মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) ঢাকার সদরঘাট থেকে এবং বরিশাল প্রান্ত থেকে নৌযানটি ছাড়েনি। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের এক মাসের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে সার্ভিসটি বন্ধের ঘোষণা দেয়া হলো।