প্রায় ৫শ’ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ; তলিয়ে গেছে ফসলের ক্ষেত; গজলডোবার গেট খুলে দিয়েছে ভারত ; তিস্তার পানি বিপদসীমার উপরে
- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ১৭ জুন ২০২২
সম্প্রতি প্রথম দফা বন্যার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারো দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যার দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। সিলেট, সুনামগঞ্জ, রংপুর, নীলফামারী,কুড়িগ্রাম ও জামালপুর জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এসব এলাকার শত শত গ্রাম প্লাবিত হওয়ায় প্রায় ৫০০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। এদিকে ভারতের গজলডোবা বাঁধের গেট খুলে দেয়ায় তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যার পানিতে ডুবে জামালপুরে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বন্যা আক্রান্ত এলাকায় ফসলের ক্ষেত ও বীজতলা প্লাবিত হয়েছে। ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে এসব জেলার আশপাশের নদনদীর পানি হু হু করে বাড়ছে।
রংপুর অফিস জানায়, ভারতের গজলডোবার গেট খুলে দেয়ায় উজানের ঢল এবং বর্ষণে তিস্তার পানি ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্টে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তার বাড়ন্ত পানি ঢুকেছে অববাহিকার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলে বাসাবাড়িতে। তলিয়ে গেছে বাদামসহ উঠতি ফসল। দুর্গত মানুষের পাশে এখনো পৌঁছেনি কোনো সহায়তা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা তাদের অসহায়ত্বের কথা জানিয়েছেন।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীব জানিয়েছেন, ডালিয়া ব্যাজার পয়েন্টে তিস্তায় গত বুধবার রাত ৯টা থেকে তৃতীয় দফায় পানি বেড়ে গতকাল দুপুরে তা বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে। এই পানি বিকেলে কিছুটা কমে রাতে আবারো বিপদসীমার অনেক ওপরে থাকবে। পাউবোর এই কর্মকর্তা আরো জানান, এই পূর্বাভাষ আমরা দুই এক সপ্তাহ থেকে সংশ্লিষ্টদের জানাচ্ছি। যাতে নদী অববাহিকার লোকজন নিরাপদে অবস্থান নিতে পারেন। এদিকে রংপুর আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান জানান, গতকাল বেলা ৩টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় রংপুর অঞ্চলে ৩৫ দশমিক ৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এই ধারা অব্যাহত থাকবে।
সরেজমিন বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে এবং নদীপাড়ের মানুষের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য মতে, তিস্তায় পানি বৃদ্ধি শুরু হওয়ায় নিলফামারীর ডিমলার ছাতনাই এলাকা থেকে জলঢাকা, লালমনিরহাটের পাটগ্রাম হাতীবান্ধা, কালিগঞ্জ, আদিতমারি, সদর, রংপুরের গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া, পীরগাছা, কুড়িগ্রামের রাজারহাট, উলিপুর, চিলমারি, এবং গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের হরিপুরের ব্রহ্মপুত্র নদ পর্যন্ত অববাহিকার ৩৫২ কিলোমিটার এলাকার চরাঞ্চল এবং নিম্নাঞ্চলে পানি উঠেছে। কোথাও কোথাও কোন কোন বাড়িতে কোমর অবধি পানি ঢুকেছে। অনেক স্থানে রাস্তাঘাট ভেঙে যাচ্ছে পানির তোড়ে ভেঙে গেছে। দুর্গত এলাকায় মানুষ খুবই বিপাকে পড়েছেন। স্থানীয় চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদী জানান, সকাল থেকে তিস্তার পানি বিপদসীমার ওপরে যাওয়ায় আমরা মাইকিং করছি। আমার ইউনিয়নের পাঁচটি ওয়ার্ডের ইতোমধ্যেই এক হাজার বাড়িঘর তলিয়ে গেছে। এদিকে দেখা গেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড বাংলা ছাড়া আর মহিপুরসহ বিভিন্ন স্থানে আপদকালীন বালুভর্তি জিও ব্যাগ রেখে দিয়েছেন। সম্ভাব্য ভাঙন ঠেকাতে এসব জিও ব্যাগ আগাম মজুদ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পাউবো।
সিলেট ব্যুরো জানায়, সিলেট মহানগরীর অন্তত অর্ধশতাধিক এলাকার বাসাবাড়ি তলিয়ে যাওয়ায় এসব এলাকায় বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এতে দ্বিতীয়বারের ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরীর লাখো পানিবন্দী মানুষ। সময় যত গড়াচ্ছে ততই বাড়ছে বানভাসি মানুষের সংখ্যা। এ অবস্থায় মহানগরীতে প্রাথমিক পর্যায়ে ৩১টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার অন্তত সাত-আটটি উপজেলা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। তলিয়ে যাওয়া এলাকার সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। সুনামগঞ্জে গত মঙ্গলবার থেকে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে থাকে। ছাতক, দোয়ারাবাজার, তাহিরপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় এখন পানি বাড়ছে। অপরদিকে সিলেটে বুধবার থেকে খারাপের দিকে যায় বন্যা পরিস্থিতি। জেলার কানাইঘাট, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, সদর ও বিশ্বনাথ উপজেলায় পানি ক্রমেই বাড়ছে। অব্যাহত পানিবৃদ্ধির কারণে ইতোমধ্যে লাখো মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বন্যাকবলিত এলাকাগুলোর সাথে উপজেলা সদর কিংবা জেলা সদরের যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। সুপেয় পানির সঙ্কটও দেখা দিচ্ছে।
এদিকে, সুরমা নদীতে পানি বাড়তে থাকায় তীর উপচে নগরীতে ঢুকে পড়েছে পানি। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, জেলার প্রধান দুই নদী সুরমা ও কুশিয়ারার বিভিন্ন পয়েন্টে পানি বেড়েছে। সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ৯৮ সেন্টিমিটার ও সিলেট পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ২৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এছাড়া কুশিয়ারা নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার এবং সারি নদীর সারিঘাট পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ৪৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
সিলেটে ৩৬৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঃ বন্যার কারণে সিলেট জেলার ৩৬৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত এসব প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ থাকবে। গতকাল বিকেলে শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা এ তথ্য দিয়েছেন। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাখাওয়াত গণমাধ্যমকে বলেন, জেলায় এক হাজার ৪৭৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ২৩০টি বিদ্যালয় পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এর বাইরে যেসব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয়কেন্দ্র চালু করা হয়েছে, সেগুলোতেও পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে। গত বুধবার সিলেটে দ্বিতীয় দফায় বন্যা দেখা দেয়। এতে নগরসহ জেলার সদর, দক্ষিণ সুরমা, কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর ও কানাইঘাট উপজেলায় ছয় শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। উপজেলা সদরের সাথে বিভিন্ন ইউনিয়ন ও গ্রামের সড়কের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এর আগে গত ১৪ মে থেকে সিলেট নগরসহ ১৩টি উপজেলায় বন্যা দেখা দেয়।
সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা জানান, সুনামগঞ্জে আবারো বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। গতকাল সুনামগঞ্জ পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকায় সুনামগঞ্জ-সিলেট অঞ্চলিক মহাসড়কে বহু স্থান ডুবে উপছে পড়ছে পানি। যাবাহন চলছে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে। সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা, বিশ^ম্ভরপুর, জামালগঞ্জ, তাহিরপুর, শান্তিগঞ্জ ও দোয়ারাবাজারসহ সব ক’টি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সুনামগঞ্জ শহরের সাহেববাড়ি ঘাট, জগন্নাথবাড়ি এলাকা, তেঘরিয়া, বড়পাড়া, নবীনগরসহ কয়েকটি এলাকার নিচু এলাকা ও সড়ক প্লাবিত হয়ে ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করায় ভোগান্তিতে পড়েছেন পৌর নাগরিকরা। সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ইতোমধ্যে জেলা শহরের প্রধান সড়কে পানি উঠে পড়েছে। এমনকি সুনামগঞ্জ-সিলেট অঞ্চলিক সড়কের কোনো কোনো স্থানে পানি উঠায় ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলছে। জেলার তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, ছাতক, দোয়ারাবাজার ও সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চলের হাজারো মানুষ সকাল থেকে পানিবন্দী হয়ে আছেন।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: জহুরুল ইসলাম জানান, কয়েকদিন ধরে সুনামগঞ্জ ও ভারতের মেঘালয়ে ভারী ও মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বৃষ্টির পানি উজান থেকে নেমে আসায় সুনামগঞ্জের ষোলঘর পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সিলেটের আবহাওয়াবিদ সাইদুর রহমান চৌধুরী বলেন, চলমান বৃষ্টিপাত কয়েকদিন থাকবে। এই মাসে ৮১৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের মধ্যে ৬৮৭ মিলিমিটার হয়েছে। এই কয়েকদিনে যে পরিমাণে বৃষ্টিপাত হচ্ছে, তা ১৯ তারিখ পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
ছাতক (সুনামগঞ্জ) সংবাদদাতা জানান, দ্বিতীয় দফা বন্যায় তলিয়ে গেছে উপজেলার একটি পৌর এলাকা ও ১৩টি ইউনিয়নের কয়েক শ’ গ্রাম। সুরমাসহ পাহাড়ি চেলা ও পিয়াইন নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে বিপদসীমার ওপর দিয়ে। ছাতক-সিলেট ও ছাতক-সুনামগঞ্জ সড়কের বিভিন্ন অংশে প্রায় আড়াই ফুট উচ্চতায় বন্যার পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ছাতকের সাথে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বর্তমানে বিভিন্ন অংশে সড়কের ওপর দিয়ে চলাচল করছে নৌকা। শাক-সবজির বাগান, বীজতলাসহ গ্রামীণ রাস্তা-ঘাট বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। বাড়ির আঙ্গিনাসহ নিম্নাঞ্চলে বাস করা মানুষের বসতঘরে বন্যার পানি প্রবেশ করে উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
নীলফামারী সংবাদদাতা জানান, গতকাল সকাল থেকে তিস্তা নদীর পানি নীলফামারীর ডালিয়া তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে বিপদসীমা বরাবর প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় নদী তীরবর্তী গ্রামগুলোর বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করেছে। নীলফামারীর ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, গতকাল ভোর থেকে তিস্তা নদীর পানি বাড়তে থাকে। সকাল ৬টায় বিপদসীমার তিন সেন্টিমিটার (বিপদসীমা ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার) নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। এরপর পানি বেড়ে সকাল ৯টায় বিপদসীমা বরাবর অর্থাৎ ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হয়। এদিকে পানির গতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় ৭৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই, টেপাখড়িবাড়ী, খগাখড়িবাড়ী, খালিশা চাপানি, ঝুনাগাছ চাপানি ও গয়াবাড়ী ইউনিয়নের প্রায় ১৫টি চরের মানুষজনের বসতবাড়িতে পানি উঠেছে বলে জানিয়েছেন ওইসব ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিরা।
দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর) সংবাদদাতা জানান, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে ব্রহ্মপুত্র যমুনা নদ-নদীসহ শাখা নদীগুলোতে বন্যার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ১ সপ্তাহে উত্তরাঞ্চলে প্রবল বৃষ্টি ও ভারতের মেঘালয় রাজ্যের গাড়ো পাহাড় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ার অন্যতম কারণ বলে জানিয়েছে পাউবো। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি মাপক আব্দুল মান্নানের সাথে কথা বলে জানা গেছে, যমুনা নদীর বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে বিপদসীমার ৬০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হলেও ২০ জুনের মধ্যে বন্যা হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। গতকাল দেওয়ানগঞ্জ-খোলাবাড়ী প্রধান পাকা সড়কের মণ্ডল বাজারের সন্নিকটে প্রায় ২০০ মিটার সড়ক ধসে নিমজ্জিত হয়েছে। সানন্দবাড়ী পশ্চিম এলাকার কয়েকটি গ্রামে ভাঙন ছাড়াও সানন্দবাড়ী ব্রিজের পূর্ব দক্ষিণ প্রান্তে ব্যাপক ভাঙন চলছে। অপর দিকে উপজেলার চিকাজানী ইউনিয়নের নয়া গ্রামে দুই শিশু পানিতে ডুবে মারা গেছে। এরা হচ্ছে নয়া গ্রামের কৃষক মোজাম্মেল হকের কন্যা বৃষ্টি (১২) ও একই গ্রামের কৃষক নালুর কন্যা আসমানি (১১)।