- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১১ জুন ২০২২, ০৭:২২, আপডেট: ১১ জুন ২০২২, ০৮:৫৭
বর্তমান বিশ্বের সব ফর্ম্যাটের সেরা ক্রিকেটার হিসেবে গণ্য করা হয় বাবর আজমকে। কেন তাকে সেরা ব্যাটার মনে করা হয়, তা প্রতিনিয়ত সকলকে মনে করিয়ে দিচ্ছেন বাবর। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রথম ওয়ান ডেতে শতরান করার পর দ্বিতীয় ওয়ান ডেতে অর্ধশতরান করেই নতুন রেকর্ড গড়ে ফেললেন পাকিস্তানের এই অধিনায়ক।
প্রথম ম্যাচে ১০৩ রান করে প্রথম ব্যাটার হিসাবে ওয়ান ডেতে দুবার পর পর তিন ম্যাচে শতরান করার বিশ্বরেকর্ড গড়েছিলেন বাবর। মুলতানে দ্বিতীয় ওয়ান ডেতে আরেকটি শতরান করলেই কুমার সাঙ্গাকারার টানা চারটি ওয়ান ডে ম্যাচে শতরান করার রেকর্ডে ভাগ বসাতে পারতেন তারকা পাকিস্তানি ব্যাটার। তবে ৯৩ বলে পাঁচ চার ও একটি ছক্কার সাহায্যে ৭৭ রান করেই থামতে হয় বাবরকে। ফলে সাঙ্গাকারার রেকর্ড স্পর্শ করা হলো না। তাতে কী, আরেক বিশ্বরেকর্ড গড়ে ফেললেন বাবর।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে (সব ফর্ম্যাট মিলিয়ে) প্রথম ব্যাটার হিসেবে পর পর নয়টি ইনিংসে অন্তত অর্ধশতরান করলেন বাবর। এই রেকর্ড বিশ্বে আর কোনো ব্যাটারের নেই।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৯৬ রান দিয়ে শুরু হয়েছিল বাবরের এই সফর। এরপর সেই সিরিজের তৃতীয় টেস্টে তিনি দুই ইনিংসে ৬৭ ও ৫৫ রান করেন। অজিদের বিরুদ্ধে তিন ওয়ান ডেতে তার সংগ্রহ ছিল যথাক্রমে ৫৭, ১১৪ ও ১০৫ রান। অজিদের বিরুদ্ধে একমাত্র টি-টোয়েন্টিতে বাবর করেছিলেন ৬৬। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে একটি শতরান ও অর্ধশতরান। এই রেকর্ড আর কিছু না হোক, বাবরের ধারাবাহিকতাটা স্পষ্ট বুঝিয়ে দেয়।
বাবর, ইমাম আর নওয়াজের চমক : ক্যারিবীয়দের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের ১০ম সিরিজ জয়
অধিনায়ক বাবর আজম, ওপেনোর ইমাম-উল-হক দুর্দান্ত সেঞ্চুরি এবং স্পিনার মোহাম্মদ নওয়াজের স্পিন ভেলকিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ১২০ রানের বিশাল জয় পেয়েছে পাকিস্তান। শুক্রবার মুলতানে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচে এই জয়ের ফলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ১০ম সিরিজ জয় করল পাকিস্তান।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান করেছিল নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৭৫ রান। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৫৫ রানে অল আউট হয়ে যায়।
বাবর আজম ৭৭ বলে ৯৩ এবং ইমাম ৭২ রানের ইনিংস খেলেন। উভয়ে তাদের টানা ষষ্ট হাফসেঞ্চুরি করেন। এরপর বাঁহাতি স্পিনার নওয়অজ ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করে ১৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট নন। ফলে ক্যারিবীয়রা ৩২.২ ওভারেই গুটিয়ে যায।
এই জয়ের ফলে তিন ম্যাচ ওডিআই সিরিজে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ জিতে নিলো পাকিস্তান। আর এর ফলে ওডিআই সুপার লিগে তারা ২০টি মূল্যবান পয়েন্টও পেল। ২০২৩ সালে ভারতে অনুষ্ঠেয় ওয়ার্ল্ড কাপে অংশ নিতে এই পয়েন্ট গুরুত্বপূর্ণ বিবেচিত হবে। প্রথম ম্যাচে পাকিস্তান জিতেছিল ৫ উইকেটে। সিরিজের তিনটি ম্যাচই অনুষ্ঠিত হচ্ছে মুলতানে।
পাকিস্তানের করা ২৭৬ রান চেজ করতে নেমে প্রথম ওভারেই প্রথম ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান শাই হোপকে হারায়। শামার ব্রুকস (৪২) ও কাইল মেয়ার্স (৩৩) দ্বিতীয় উইকেটে লড়াই করার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। কিন্তু শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে তাদের জুটি ভেঙে যায় ৬৭ রানে। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর খেলায় ফিরতে পারেনি।