- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৩ জুন ২০২২, ০৭:০৬
শচিন-দ্রাবিড়দের বাঁদর নাচ নাচাতে দারুণ পছন্দ করতেন শোয়েব আখতার। চাইতেন, ব্যাটাররা যখন আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়াবেন, তখন যেন তার মুখটা মনে পড়ে। তাই আগুনের গোলার মতো বলগুলো বেরোত তার হাত থেকে। তার করা বাউন্সারে কত ব্যাটার যে আহত হয়েছেন, ইয়ত্তা নেই। তাতেই মজা পেতেন পাকিস্তানের ফাস্ট বোলার।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে শোয়েব বলেন, ‘বাউন্সার সামলাতে গিয়ে বাঁদরের মতো লাফাত ব্যাটাররা। সেটা দেখে খুব মজা পেতাম। মিথ্যা কথা বলব না। আমি ব্যাটারদের মাথায় বল মারতে চাইতাম। নইলে ফাস্ট বোলার হয়ে কী লাভ।’
ব্যাটারদের মনে ভয় ধরাতে চাইতেন শোয়েব। চাইতেন তাকে যেন ব্যাটাররা মনে রাখেন। তাই গতির সাথে কোনো দিন আপস করেননি। শোয়েব বলেন, ‘আমাকে দেখে ব্যাটাররা ভয় পাক, সেটাই চাইতাম। অত দূর থেকে দৌড়ে এসে ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার গতিবেগে কি ব্যাটারের পায়ের কাছে বল করব? গায়েই তো মারব। যেখানে লাগবে সেখানে ফুলে যাবে। পরে যখন সেই ব্যাটার আয়নায় নিজেকে দেখবে তখন আমার মুখটা মনে পড়বে ওর।’
পাকিস্তানের হয়ে ৪৬টি টেস্টে ১৭৮টি উইকেট নিয়েছেন শোয়েব। ১৬৩টি এক দিনের ম্যাচে ২৪৭টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। টি২০ ক্রিকেট যখন শুরু হয় তখন কেরিয়ারের সায়াহ্নে শোয়েব। কুড়ি বিশের ক্রিকেটে ১৫টি ম্যাচে ১৯টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। পাকিস্তানের হয়ে ১৯৯৯, ২০০৩ ও ২০১১ সালের বিশ্বকাপ খেলেছেন শোয়েব। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সব থেকে দ্রুতগতির বল তার হাত থেকেই বেরিয়েছে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২০০৩ সালের বিশ্বকাপে ঘণ্টায় ১৬১.৩ কিলোমিটার গতিবেগে বল করেছিলেন তিনি।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা