জাতীয় |
অবশেষে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের তারিখ ঘোষণা করেছে সরকার। আগামী ২৫ জুন খুলে দেয়া হবে সেতুর সড়ক পথ। এর মধ্যে দিয়ে শেষ হবে নদী পারাপারের দুর্ভোগ। তবে এখন প্রশ্ন হলো, পদ্মা সেতু চালু হলে কি শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও মাঝিকান্দি নৌপথ বন্ধ করে দেয়া হবে? নৌরুট ও লঞ্চ-ফেরিঘাটের চাহিদা কি ফুরিয়ে যাবে শতভাগ? এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে যাত্রী ও স্থানীয়দের মধ্যে। বিশেষ ও বিকল্প প্রয়োজনের জন্য হলেও নৌপথ ও সীমিত নৌযান সচল রাখার দাবি তাদের। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পরিস্থিতি ও চাহিদার প্রেক্ষিতে নেয়া হবে ব্যবস্থা, থাকবে নদীবন্দর।
দেশের দক্ষিণবঙ্গের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়াঘাট। প্রতিদিন এই ঘাট হয়ে বাংলাবাজার ও মাঝিকান্দি নৌরুটে লঞ্চ, ফেরি ও স্পিডবোটে পারাপার হয় হাজার হাজার যাত্রী-যানবাহন। নদী পারাপারে ভোগান্তি অবসানের পথ পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হতে চলেছে এই মাসেই। তবে সেতু চালু হলেই কি বন্ধ হয়ে যাবে নদীবন্দর?
স্থানীয়দের চলাচলে, বিকল্প ও বিশেষ প্রয়োজনীয়তায় স্বল্প সংখ্যায় হলেও নৌযানের ব্যবস্থা প্রয়োজন বলে মত যাত্রী ও স্থানীয়দের একাংশের। যাত্রী ও যানবাহন পারাপার ছাড়াও অন্যান্য নৌযান চলাচলে নৌপথ ও চ্যানেল সংরক্ষণের প্রয়োজন মনে করছেন তারা। জানা গেছে, নৌপথ আর শিমুলিয়া-মাঝিকান্দিতে থাকবে ঘাট। যাত্রী চাহিদা অনুযায়ী নৌযানের ব্যবস্থা থাকবে। তাবে বন্ধ হতে পারে বাংলাবাজার। ২৯ একর নদীবন্দরের পরিসর আরও বাড়িয়ে কনটেইনার ওঠানামার পোর্ট ও পর্যটনকেন্দ্র করে তোলার পরিকল্পনা আছে বিআইডব্লিউটিএ’র।
এ নিয়ে শিমুলিয়া নদীবন্দরের সহকারী বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, পদ্মা সেতু চালু হলে শিমুলিয়া নদীবন্দরের অভ্যন্তরীণ নৌরুটগুলো বিআইডব্লিউটিএ’র পক্ষ থেকে আমরা সব সময় মনিটরিংয়ের মধ্যে রাখবো। ঘাটের চিত্র আগের মতো থাকবে কিনা তা নির্ভর করবে যাত্রীদের চাহিদা অনুযায়ী। তবে নৌপ্রতিমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ঘাট এলাকায় লঞ্চ এবং স্পিডবোট থাকবে।
এদিকে, ফেরি সরিয়ে নেয়া হবে অন্য রুটে। নতুন রুট চালু করবে বিআইডব্লিউটিসি। তবে পরীক্ষামূলকভাবে কয়েক মাসের জন্য রাখা হতে পারে কয়েকটি ফেরি। পরিস্থিতি অনুযায়ী নেয়া হবে ব্যবস্থা।
বিআইডাব্লিউটিসি’র পরিচালক (বাণিজ্য) এস এম আশিকুজ্জামান বলেন, অন্যান্য ঘাটগুলোতে কিছু চাহিদা আছে। এই নৌরুটের নৌযান দিয়ে সেগুলো পূরণ করা হবে। আরও কয়েকটি নতুর রুট চালু করারও পরিকল্পনা আছে। তবে কয়েকটি ফেরি থাকবে বলেও জানান তিনি।
বর্তমানে ১৫৫টি স্পিডবোট, ৮৭টি লঞ্চ ও ৮টি ফেরি সচল থাকা দুই নৌরুটে প্রতিদিন শতশত যানবাহন আর প্রায় ২০ হাজারের অধিক যাত্রী পারাপার হয়। বিভিন্ন ছুটিতে পারাপার হয় দিনে লক্ষাধিক যাত্রী।
এসজেড/