- গোলাম মাওলা রনি
- ১৭ মার্চ ২০২২
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের চেয়ারে বসে আমার কাজ হবে, মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানিয়ে সব কাজে তার মদদ কামনা করা। এরপর আমি যেটা করব সেটি হলো, দেশের প্রথিতযশা আইনজ্ঞদের সাথে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করে আমার সাংবিধানিক ক্ষমতা, অন্তর্নিহিত ক্ষমতা এবং সাহায্যকারী অতিরিক্ত ক্ষমতার বলয় সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা নেয়া। তদনুযায়ী আমি আমার কর্মগুলোকে তিন ভাগে ভাগ করে নেবো। প্রথম দফার কর্মগুলো হবে এমন যার সিদ্ধান্ত আমি অত্যন্ত গোপনীয়ভাবে গ্রহণ করব এবং সেগুলো যখন বাস্তবায়নের জন্য ঘোষণা দেবো তখন দেশের ৯৯ শতাংশ মানুষ প্রকাশ্যে আমাকে স্বাগত জানাবে। সিদ্ধান্তগুলো হবে এমন যা ইতঃপূর্বে কেউ ভাবেনি কিংবা ভাবলেও তা বাস্তবায়নের দুঃসাহস দেখায়নি!
দ্বিতীয় স্তরের কর্মগুলো আমি বাস্তবায়ন করব আমার সহকর্মীদের সাথে পরামর্শক্রমে এবং এসব কর্মের মধ্যে কিছু কর্মের কার্যকারিতা হবে বুলেটের মতো। অর্থাৎ কর্মের ফলাফল পাওয়া যাবে সাথে সাথে এবং বুলেট যেভাবে লক্ষ্যবস্তু ভেদ করে তেমনি আমার এই কর্মগুলো কিছু অন্যায় কিছু অনিয়ম এবং কিছু দুর্নীতির বিরুদ্ধে টনিকের মতো কার্যকর হবে। আমার তৃতীয় স্তরের কর্ম হবে একটি অবাধ-সুষ্ঠু নিরপেক্ষ গ্রহণযোগ্য স্বচ্ছ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ, আস্থা এবং বিশ্বাস সৃষ্টি করা।
উল্লিখিত কর্মগুলো সম্পাদনের লক্ষ্যে আমি নিজের জন্য একটি বাধ্যতামূলক সময়সীমা বানিয়ে নেবো এবং জাতীয় নির্বাচনের অন্তত ছয় মাস আগে যদি দেখি যে, আমি আমার কর্মে সফল হয়েছি তবেই কেবল নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথে এগুব; অন্যথায় আইনের আওতায় এবং হাওতায় থেকে এমন কিছু করব যার ফলে রাতের ভোট, বিনা ভোট, ছলচাতুরী আর মিথ্যাচারের ভোট করার দুঃসাহস কোনো দুর্নীতিবাজের মাথায় ভর করবে না। এখন প্রশ্ন হলো- যেখানে গণতন্ত্রের ‘গ’ গগনে চলে গেছে আর ‘ন’ গেছে নদীতে নাইতে, সেখানে আমি এতসব ‘তন্ত্র’ কিভাবে করব? এ বিষয়ে আপনারা যদি দয়া করে ধৈর্যহারা না হন এবং সময় করে আমার নিম্নরূপ পরিকল্পনাগুলো পড়েন তবে খুব সহজেই বুঝতে পারবেন যে, বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে আমি কি একটি জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা করতে পারব, নাকি অতীতকালের আজিজ-রকিব-নুরুল হুদাদের মতো পরিণতি ভোগ করব?
সিইসি হিসেবে আমার প্রথম সিদ্ধান্ত হবে আমার নিজের এবং সহকর্মীদের সম্পদের বিবরণ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জমা দেয়া, যা কমিশনের ওয়েবসাইটে সর্বসাধারণের দর্শনের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এরপর আমি সদ্য সাবেক নির্বাচন কমিশনাররা, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও সংসদ সদস্যদের সম্পদ বিবরণী জমা দেয়ার জন্য সাত দিনের সময় বেঁধে দেবো। একই সাথে আমি ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের দেয়া বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেবো। একই সময়ে আমি ইভিএম ক্রয়, ইভিএমের ত্রুটি, বর্তমানে কতগুলো ইভিএম সচল রয়েছে এবং কতগুলো অচল রয়েছে সেগুলোর একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করব, পরে ইভিএম ক্রয় নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি করব এবং ইভিএমের ব্যবহার সম্পর্কে সারা দেশের প্রতিটি উপজেলা সদরে একটি করে গণশুনানি অনুষ্ঠানের জন্য সমাজের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার লোকজন নিয়ে গণ-কমিটি গঠন করব এবং সারা দেশে যুগপৎভাবে একই সাথে এবং একই সময়ে গণশুনানির আয়োজন করব।
আমার ক্ষমতাগ্রহণের প্রথম সাত দিনে আমি যেসব সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করব সেগুলোর নিরিখে পরবর্তী সাত দিন কজ অব অ্যাকশন এবং অ্যাকশনের রিঅ্যাকশন নিয়ে আমার সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়ন করব। আমি প্রথম সাত দিনে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং বাস্তবায়ন করেছি তার একটি স্থায়ী কাঠামো দাঁড় করানোর জন্য আমার অন্তর্নিহিত ক্ষমতাবলে কয়েকটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান যেমন দুর্নীতি দমন কমিশন, তথ্য কমিশন এবং মানবাধিকার কমিশনের সাথে যুগপৎভাবে কাজ করার জন্য এমওইউ স্বাক্ষর করব। এর বাইরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং পুলিশ বিভাগের প্রধানদের বরাবরে ডিও ইস্যু করব নির্বাচন কমিশন কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য।
তৃতীয় এবং চতুর্থ সপ্তাহে আমি অনেক পাবলিক মিটিং কাম-সেমিনার সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করব। বিশ্বের সফলতম প্রধান নির্বাচন কমিশনার, জনপ্রিয় এবং চৌকস নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি যেমন ভারতের অরবিন্দ কেজরিওয়াল, শশী থারুর, জার্মানির সাবেক চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মেরকেল, বারাক ওবামা প্রমুখ ব্যক্তিকে নিমন্ত্রণ করে বিভিন্ন সভাসমিতি সেমিনারের আয়োজন করব। এসব অনুষ্ঠানের আয়োজনের জন্য কমিশনের ফান্ড থেকে একটি পয়সাও খরচ করতে হবে না। দেশী-বিদেশী সুনামধারী প্রতিষ্ঠানের কাছে সাহায্য চাইলে সবাই অকাতরে এসব অনুষ্ঠানের ব্যয় নির্বাহের জন্য পরস্পরের সাথে প্রতিযোগিতা আরম্ভ করে দেবে।
আমার এক মাসের কর্মকাণ্ডের কারণে আমার সহকর্মীরা আমার নেতৃত্ব, নৈতিক মনোবল, শিক্ষা-দীক্ষা, দক্ষতা-দৃঢ়তা এবং সাহস সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা পোষণ করতে আরম্ভ করবে এবং আমার কর্মকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে উঠবে। কমিশনের দুর্নীতিবাজ কর্মচারীদের মধ্যে কাঁপন শুরু হয়ে যাবে এবং সৎ ও দক্ষ কর্মকর্তারা সম্মুখ সারির নির্বাচন যোদ্ধায় পরিণত হবে। অন্য দিকে যারা রাতের ভোট, বিনা ভোটের সুবিধাভোগী, তারা ভবিষ্যতে ওসব কুকর্ম করা তো দূরের কথা, বরং বিগত কুকর্মের জন্য কাঁপতে থাকবে। তারা যেসব রাষ্ট্রীয় অর্থ গ্রহণ করেছে কিংবা অপচয় বা নষ্ট করছে সেগুলো যে কড়ায় গণ্ডায় তাদের সমুদয় সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে আদায় করা হবে এমন আতঙ্কে অনেকের খাওয়াদাওয়া হারাম হয়ে যাবে।
দ্বিতীয় ধাপের কর্মগুলো সম্পাদনের জন্য আমি সর্বোচ্চ তিন মাস সময় ব্যয় করব। এই সময়ের মধ্যে সাবেক নির্বাচন কমিশনার, সিইসি বা কমিশনের কর্মকর্তাদের মধ্যে যাদের দুর্নীতির দলিলপত্র হাতে চলে আসবে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব। যেসব সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণীতে মিথ্যা তথ্য প্রদানের অভিযোগ পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে ত্রিমাত্রিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এর বাইরে যেসব নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক সর্বজনবিদিত, অনিয়মের দলিল প্রকাশ্য এবং জনমত প্রবল এমন নির্বাচন থেকে অবচয়ন পদ্ধতিতে একটি করে টেস্ট কেস গ্রহণ করব। এই হিসেবে একটি ইউপি, একটি উপজেলা, একটি পৌরসভা এবং একটি জাতীয় সংসদের উপনির্বাচনকে উপলক্ষ করে আমার কর্মপন্থা এগোতে থাকবে। আমার সহকর্মীদের সাহায্য ও সহযোগিতা নিয়ে আমি উল্লিখিত ভোটের ফলাফল শ্বেতপত্র আকারে প্রকাশ করব এবং সেই ফলাফলের ত্রুটি নিয়ে গণশুনানির আয়োজন করব এবং যদি অভিযোগগুলো প্রমাণিত হয় তবে নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে নতুন নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণা করব। আমার এই ধাপের কর্মগুলো এত দ্রুততার সাথে করব এবং প্রতিটি কর্মে এতটা সাসপেন্স তৈরি করব যে, ভুক্তভোগীরা চক্রান্ত করার জন্য এক মিনিট সময়ও পাবে না। দেশ বিদেশের গণমাধ্যম, সুশীল সমাজ, আইন অঙ্গনের নেতারা এবং জনপ্রিয় রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সহযোগিতায় আমার এই ধাপের কর্মগুলোর পক্ষে জনমত এতটাই প্রবল হয়ে উঠবে যে, কর্তৃত্ববাদী মনোভাবের কর্তারা প্রমাদ গুনতে থাকবে।
উল্লিখিত কর্মের পাশাপাশি আমি যেকোনো একটি জেলাকে একেকটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মডেল জেলা ঘোষণা করে সাত দিনের সময়সীমা বেঁধে দেবো ইউনিয়নপর্যায় থেকে শুরু করে উপজেলাপর্যায় এবং জেলাপর্যায়ে প্রত্যক্ষ ভোটে রাজনৈতিক নেতৃত্ব নির্বাচন করার জন্য। কোনো জেলার যেস্তরে যদি সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দল অথবা তাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা কোনো বিশৃঙ্খলা বা অনিয়মের চেষ্টা করে তবে ফৌজদারি কার্যবিধি এবং দণ্ডবিধির সব ধারা প্রয়োগ করে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করে দুর্বৃত্তদের নির্মূল করব। প্রতিটি নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব উপস্থিত থাকবেন এবং পর্যবেক্ষক হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এবং অন্যান্য নির্বাচন কর্মকর্তা উপস্থিত থাকবেন। ভিন্ন জেলা থেকে রিজার্ভ পুলিশের চৌকস দল এবং সুনামধারী ম্যাজিস্ট্রেটদের নির্বাচনের দিন পোস্টিং দেয়া হবে এবং তাদের ব্যর্থতা ও গাফিলতিকেও শাস্তির আওতায় আনা হবে। কোনো রাজনৈতিক দল যদি অন্যায় করে তবে সংশ্লিষ্ট জেলায় তাদের সাংগঠনিক কর্ম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয়া হবে, রাজনৈতিক অফিসগুলো সিলগালা করা হবে এবং দায়ী রাজনৈতিক নেতাদের জাতীয় পরিচয়পত্র বøক করে তাদের নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ‘পারসনা নন গ্রাটা’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হবে।
আমার বিশ্বাস, উল্লিখিত উপায়ে রাজনৈতিক দল সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে একটি মডেল প্রকল্পের আওতায় একটি জেলার জন্য নির্বাচিত রাজনৈতিক নেতৃত্ব তৈরি করতে সক্ষম হবে, যা সারা দেশে রীতিমতো তোলপাড় শুরু করে দেবে। এ অবস্থায় আমি কাল ক্ষেপণ না করে সব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে উল্লিখিত নিয়মে প্রতিটি জেলার নির্বাচন কর্মকর্তার কাছ থেকে শিডিউল নিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সব জেলার সম্মেলন অনুষ্ঠান ও নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য নির্দেশ জারি করব। তারপর নির্বাচিত নেতৃত্বের মহাসম্মেলনে প্রত্যক্ষ ব্যালটে জাতীয় নেতৃত্বের প্রতিটি পদপদবিতে সরাসরি নির্বাচনে মাধ্যমে জাতীয় কমিটি গঠন করার নির্দেশনা বাস্তবায়ন করব।
আমার কর্মের প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপ মোটামুটি উল্লিখিত উপায়ে পার করতে পারলে নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে মানুষের মনে আশার সঞ্চার হবে। মানুষ ইতঃপূর্বে নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে যে নেতিবাচক ধারণা পোষণ করত এবং সিইসি পদধারীকে যেভাবে অন্যের তল্পিবাহক ভাবত তা থেকে জনগণের মন-মানসে গণতন্ত্র-নির্বাচন-অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন এবং সত্যিকারের জনপ্রতিনিধির ব্যাপারে আগ্রহ সৃষ্টির জন্য নানা রকম প্রচার ও প্রপাগান্ডার আয়োজন করতে হবে এবং তা পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত অব্যাহত রাখা হবে। নির্বাচন কর্মে দেশী বিদেশী পর্যবেক্ষক, সাংবাদিক, সুশীল সমাজ, পেশাজীবী এবং জনপ্রিয় সাংস্কৃতিক কর্মীদেরকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। নির্বাচনকর্মে এমন সব লোকদের দায়িত্ব দেয়া হবে যারা প্রচলিত ধ্যানধারণার সম্পূর্ণ বিপরীত হবে এবং ডিসি ওসিদের দাপট শূন্যে নামিয়ে আনা হবে। অধিকন্তু এসব পদপদবিকে নির্বাচনকালীন সময়ে নিউট্রাল করার জন্য অ্যাডহক ভিত্তিতে কিছু সুপার নিউমারারি পদ সৃষ্টি করা হবে যার আগাম তথ্য আমি এবং আমার সহকর্মী কমিশনাররা ছাড়া অন্য কেউ জানতে পারবে না।
আমার কর্মগুলো জনগণের মধ্যে নিদারুণ চাঞ্চল্য সৃষ্টি করবে এবং আমাকে একটি সিনেমাটিক হিরোতে পরিণত করবে। এই কারণে আমি যেমন অনেক সুযোগ পাবো তেমনি অনেক অসুবিধাও আমাকে গিলে খাওয়ার জন্য হা করে থাকবে যার মধ্যে প্রথম অসুবিধা হবে, আমার নফস বা প্রবৃত্তি। মানুষ যখন খ্যাতি জনপ্রিয়তা এবং ক্ষমতার কেন্দ্রে থাকে তখন তার সবচেয়ে বড় শত্রু হলো তার নিজের নফস। লোভ অহঙ্কার হিংসা এবং আত্মতৃপ্তি যেন আমাকে পেয়ে না বসে সে জন্য একজন মানসিক রোগের চিকিৎসকের সার্বক্ষণিক পরামর্শ নিজের জন্য বাধ্যতামূলক করে নেবো। শরীর সুস্থ রাখার জন্য ব্যায়াম এবং সুষম খাদ্য গ্রহণের পাশাপাশি ধর্মকর্ম, মেডিটেশন বা ধ্যান এবং ভালো মানুষের সঙ্গ হবে আমার নিত্যকার অপরিহার্য অনুষঙ্গ। দ্বিতীয়ত, আমার অবস্থান যেন কাউকে ব্যক্তিগতভাবে অপমানিত না করে; অন্যায্যভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না করে এবং আমি যেন কারো ব্যক্তিগত ক্রোধের উপলক্ষ না হয়ে উঠি সে ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করব।
একটি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সব রাজনৈতিক দল, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা, বিদেশী বন্ধু রাষ্ট্রগুলো, এনজিও, করপোরেট হাউজ, গণমাধ্যমের মালিক ও কর্মী, থিংকট্যাংক ইত্যাদি গ্রæপের সাথে ফেলোশিপ গড়ে তোলার জন্য কমিশনের জনসংযোগ বিভাগকে শক্তিশালী ও গণমুখী হিসেবে কার্যকর করে তুলব। সর্বোপরি দুর্নীতিবাজরা যে উপায়ে ভয় দেখায়, বাধা দেয় এবং ক্ষতি করে থাকে সেগুলোর বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিঘাতের প্রস্তর এবং পিলারগুলো আপন মেধা ও মনন দ্বারা তৈরি করে নির্বাচন কমিশন অফিস, আমার বাসস্থান এবং কর্মের অধিক্ষেত্রে স্থাপন করব এমনভাবে, যাতে আঘাত এলে প্রতিঘাত স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করতে থাকে।
লেখক : সাবেক সংসদ সদস্য