ঢাকা
করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে দুই মাস পরও জাতীয় সংসদে একই জবাব দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। আজ বুধবার সরকারি দলের সাংসদ আবুল কালাম আজাদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বাংলাদেশ এ পর্যন্ত (১৮ জানুয়ারি ২০২২) ২১ কোটি ১৭ লাখ ৩০ হাজার টিকা কিনেছে।
দুই মাস আগে গত বছরের ১৮ নভেম্বর আবুল কালাম আজাদেরই প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ একই তথ্য দিয়েছিলেন। সে হিসাবে গত দুই মাসে সরকার নতুন করে করোনার টিকা কেনেনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আজ আবারও বলেছেন, চীন, ভারত ও কোভ্যাক্স থেকে সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মতামত এবং অর্থ বিভাগ, সিসিজিপি ও প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনে সর্বোচ্চ সততা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে ভ্যাক্সিন কেনা হয়েছে। নন-ক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্টের মাধ্যমে ভ্যাকসিন কেনার কারণে সংসদে অর্থ খরচের হিসাব প্রকাশ করা সমীচীন হবে না। গত নভেম্বরেও একই জবাব দিয়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, সরকারের ক্রয় করা টিকার মধ্যে কোভ্যাক্সের আওতায় ২ কোটি ৯৭ লাখ ২০ হাজার সিনোফার্ম, চীন থেকে ৭ কোটি ৭০ লাখ সিনোফার্ম ও ৭ কোটি ৫০ লাখ ১০ হাজার সিনোভ্যাক এবং ভারত থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৩ কোটি টিকা ক্রয় করা হয়েছে।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়।
ঢাকা-২০ আসনের সাংসদ বেনজীর আহমেদের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, দেশে এ পর্যন্ত (১৮ জানুয়ারি) ৮ কোটি ৩৮ লাখ ১৩ হাজার ৬৮৬ জন করোনার টিকা নিতে রেজিস্ট্রেশন করেছেন। এ সময়ে ৯ কোটি ৩ লাখ ৯১ হাজার ৮৩৮ জনকে প্রথম ডোজ ও ৫ কোটি ৭৩ লাখ ৬৩ হাজার ৩৮ জনকে দ্বিতীয় ডোজ, ৭ লাখ ৯৭ হাজার ৯০০ জনকে বুস্টার ডোজসহ মোট ১৪ কোটি ৮৫ লাখ ৫২ হাজার ৭৭৬ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক না থাকায় রেজিস্ট্রেশনের চেয়ে টিকা প্রদান বেশি হয়েছে।