- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২২ জানুয়ারি ২০২২
প্রথম ম্যাচে ১৮৩ রান করেও জিততে পারেনি ঢাকা। দ্বিতীয় ম্যাচে সেখানে জয়ের জন্য টার্গেট ছিল ১৬২ রান। তামিমের ফিফটিতে দারুণভাবেই জয়ের দিকে এগুচ্ছিল মাহমুদউল্লাহরা। কিন্তু মাঝ পথে হুড়মুড়িয়ে উইকেট পড়ায় শেষটা বিষাদের মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকার। বিপিএলে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে হেরেছে মাহমুদউল্লাহরা। অনদিকে প্রথম ম্যাচে হারলেও দ্বিতীয় ম্যাচে এসে জয়ের দেখা পেয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ১৬১ রান করে চট্টগ্রাম। জবাবে মিনিস্টার ঢাকা ১৯.৫ ওভারে অলআউট হয় ১৩১ রান। ৩০ রানের দারুণ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মেহেদী মিরাজের চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দারুণ ঢাকার। উদ্বোধনী জুটিতে তামিম ও শেহজাদ তোলেন ৪২ রান। ১২ বলে ৯ রান করে ফেরেন শেহজাদ মুকিদুলের বলে শামিমের হাতে ক্যাচ দিয়ে। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তামিম এগিয়ে যেতে থাকেন জহুরুল ইসলামের সঙ্গে। দলীয় ৭৩ রানে এই জুটি বিচ্ছিন্ন করেন শরিফুল ইসলাম। বোল্ড করে দেন তামিম ইকবালকে। তামিম সাজঘরে ফেরেন টানা দুই ম্যাচে ফিফটি করে। ৪৫ বলে ছয়টি চার ও দুটি ছক্কায় তামিমের রান ৫২।
একই ওভারের চতুর্থ বলে শরিফুল বিদায় করেন জহুরুলকে। তিনি ক্যাচ দেন জ্যাকসের হাতে। ১২ বলে এক চারে ১০ রান করেন জহুরুল। ৭৪ রানে তিন উইকেট হারানো ঢাকাকে তখন পথ দেখানোর চেষ্টা করেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মোহাম্মদ নাঈম। তবে বেশিদূর আগাতে পারেননি দুজন।
দুজনকেই সাজঘরে ফেরত পাঠান চট্টগ্রামের স্পিনার নাসুম আহমেদ। দলীয় ৮২ রানে লুইসের হাতে ক্যাচ দেন নাঈম (৪)। একই ওভারের পঞ্চম বলে শামীমের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ঢাকার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। ৫ বলে তার সংগ্রহ ৫ রান।
১০ রানের মধ্যে চার উইকেট পড়ায় ভীষণ চাপে তখন ঢাকা। আন্দ্রে রাসেলের সাথে তখন হাল ধরার চেষ্টা করেন শুভাগত হোম। দলীয় ৯৬ রানে রাসেল বিদায় নিলে ঢাকার আশা অনেকটাই মিইয়ে যায়। ১০ বলে ১২ রান করা রাসেল নাসুমের বলে ক্যাচ দেন শামীমের হাতে।
শেষের দিকে বল ও রানের কঠিন সমীকরণ মেলাতে পারেনি লেজের সারির ব্যাটসম্যানরা। শেষ ১২ বলে ঢাকার তখন দরকার ৪৪ রান। ম্যাচ অনেকটাই মুঠোর বাইরে। ১৯তম ওভারে বল করতে এসে ঢাকার শেষ আশা শেষ করে দেন পেসার শরিফুল। এই ওভারে দুই উইকেট নেন তিনি। একটি রান আউট। রান আসে মাত্র ৫।
৯ বলে ১৬ রান করেন ইসরু উদানা। ১৪ বলে ১৩ রান করেন শুভাগত হোম। আরাফাত সানি হন রান আউট কোন বল না খেলেই। ইনিংসের শেষ বলে স্টাম্পিংয়ের শিকার রুবেল। বল হাতে চট্টগ্রামের হয়ে ৪ ওভারে মাত্র ৯ রানে তিন উইকেট নেন নাসুম আহমেদ। ৪ ওভারে ৩৪ রানে সর্বোচ্চ চার উইকেট নেন পেসার শরিফুল ইসলাম। মুকিদুল ও নাঈম পান একটি করে উইকেট।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ম্যাচেও ব্যর্থ চট্টগ্রামের ওপেনার কেনার লুইস। ৯ বলে দুই রান করে রুবেলের বলে বিদায় হন তিনি। তবে আরেক ওপেনার উইল জ্যাক করেন ইনিংস সর্বোচ্চ ৪১ রান। ২৪ বলের ইনিংসে তিনি হাঁকান ছয়টি চার ও দুটি ছক্কা।
আফিফ হোসেন ১২ বলে ১২ রান করে ফিরলেও মিডল অর্ডারের তিন ব্যাটারের ব্যাটে সম্মাজনক পূজি পায় চট্টগ্রাম। আগের ম্যাচে ব্যাট হাতে ঝড় তোলা বেনি হাওয়েল ১৯ বলে করেন ৩৭ রান। তিন ছক্কার পাশাপাশি তিনি হাঁকান একটি চারও। পরে হয়ে যান রান আউট।
অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ ২৫ বলে করেন ২৫ রান। ১৭ বলে দুইটি করে চার ও ছক্কায় ২৯ রান করেন হার্ড হিটার খ্যাত সাব্বির রহমান। বল হাতে ঢাকার হয়ে ৪ ওভারে ২৬ রানে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন পেসার রুবেল হোসেন। একটি করে উইকেট নেন আরাফাত সানি, ইসরুল উদানা, শুভাগত হোম ও অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।