Prothom Alo | খেলা ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ নভেম্বর ২০২১, ২৩: ৫৮
এরপর অস্ট্রেলিয়া দলে কত ফাস্ট বোলার এসেছেন! ডেনিস লিলি, জেফ টমসন, ক্রেইগ ম্যাকডারমট, ব্রুস রিড, গ্লেন ম্যাকগ্রা, ব্রেট লি, মার্ভ হিউজ…লিন্ডওয়ালের পর এমন অনেক নামই নেওয়া যাবে, কিন্তু কেন যেন তাদের হাতে কখনোই অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব ওঠেনি। টিম পেইনের কেলেঙ্কারির পর যদি দায়িত্বটা প্যাট কামিন্সের হাতে ওঠে, তাহলে সেটি হবে বড় ঘটনা। অন্য রকম এক ব্যাপারই।
কামিন্সকে যদি অধিনায়কত্ব দেওয়া হয়, তাহলে অনেকটা অপ্রস্তুত অবস্থায়ই কিন্তু নেতৃত্বের ভার কাঁধে তুলে নিতে হবে তাঁকে। কামিন্সের অধিনায়কত্বের অভিজ্ঞতা বলতে এ বছরের শুরুতে অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ওয়ানডে কাপে নিউ সাউথ ওয়েলসের অধিনায়কত্ব। তবে তিনি অধিনায়ক হলে আরও একটা রেকর্ডে তাঁর নাম উঠবে। তিনিই হবেন প্রথম ফাস্ট বোলার, যাঁকে স্থায়ীভাবে অস্ট্রেলীয় টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব দেওয়া হবে।
২০১৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কেপটাউন টেস্টে বল বিকৃতির সেই কেলেঙ্কারি স্টিভ স্মিথকে টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব ছাড়তে বাধ্য করেছিল। এর পরপরই অস্ট্রেলিয়া টেস্ট দলের অধিনায়ক হন পেইন। তাঁর সাড়ে তিন বছরের অধিনায়কত্বের কালে মিচেল মার্শ, জশ হ্যাজলউড, ট্রাভিস হেডরা সহ-অধিনায়কত্ব করেছেন বিভিন্ন সময়ে। কামিন্সও সহ–অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
অস্ট্রেলিয়ার সাবেক কিংবদন্তি ফাস্ট বোলার ডেনিস লিলি অবশ্য টিম পেইনের খুদেবার্তা কেলেঙ্কারির আগেই প্যাট কামিন্সের অধিনায়কত্ব নিয়ে ইতিবাচক কথাবার্তা বলেছিলেন। তিনি বিশ্বাস করেন, আট বছর ধরে তারকা হয়ে ওঠা কামিন্স এই দায়িত্বের জন্য পুরোপুরি নির্ভরযোগ্য, ‘কামিন্স বুদ্ধিদীপ্ত ক্রিকেটার। তবে তার চেয়ে বড় কথা, ওর মধ্যে ক্রিকেটের সত্যিকারের জ্ঞান খুব ভালোভাবেই আছে। সে জন্মগতভাবেই নেতা।’
কামিন্সের যে ব্যাপার লিলির ভালো লাগে, সেটি হচ্ছে আত্মনিবেদন, ‘মাঠে সে সব সময়ই নিজের ১১০ শতাংশ সামর্থ্য দিয়ে খেলে। উইকেট ফাস্ট বোলিংয়ের উপযোগী হোক আর না–ই হোক, সে নিজেকে উজাড় করে দেয়।’
ফাস্ট বোলারদের অধিনায়ক করাটা লিলির কাছে দারুণ ব্যাপারই। ইতিহাসে অনেক দেশই ফাস্ট বোলারদের হাতে দায়িত্ব দিয়ে লাভবান হয়েছে। অস্ট্রেলিয়াও লাভবান হবে বলেই মনে করেন লিলি, ‘এর আগে অনেক দেশেরই টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব করেছেন ফাস্ট বোলাররা। এঁদের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ইমরান খান ও বব উইলিস—এর মধ্যে ইমরান খানের ব্যাটিংটাও ছিল বলার মতো। তাঁরা দুজনই আধুনিক ক্রিকেটে প্রমাণ করেছেন, ফাস্ট বোলাররাও টেস্টে অধিনায়ক হিসেবে ভালো করতে পারে।’
লিলি আরও কয়েকজনের নাম বলেননি। ইমরান খান, বব উইলিসের সঙ্গে কপিল দেব, ওয়াসিম আকরাম, শন পোলকরাও তাঁদের দেশকে টেস্টে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং দারুণ করেছেন। এই কিছুদিন আগপর্যন্তও ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন জেসন হোল্ডার।
লিলির মতোই স্টিভ ওয়াহও যোগ্য মনে করেন কামিন্সকে। তিনিও আগেই বলেছিলেন, পেইন যখন অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেবেন, তখন কামিন্সেরই অধিনায়ক হওয়া উচিত। কারণ, দলের অন্য খেলোয়াড়দের কামিন্সের প্রতি আলাদা শ্রদ্ধা আছে, ‘আমার মনে হয় কামিন্স যথেষ্ট প্রস্তুত। অধিনায়ক হিসেবে ওর যোগ্যতা আছে। দলের খেলোয়াড়েরাও ওকে শ্রদ্ধা করে। আমার মনে হয়, ওরই অধিনায়ক হওয়া উচিত।’