ঢাকা-৫ উপনির্বাচনে অনিয়মের প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধন নেতাকর্মী ও স্লোগানে মুখরিত

Daily Nayadiganta

ঢাকা-৫ উপনির্বাচনে অনিয়মের প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধন নেতাকর্মী ও স্লোগানে মুখরিত – ছবি : নয়া দিগন্ত


ঢাকা-৫ সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচনে নানা অনিয়মের প্রতিবাদে বিএনপি প্রার্থী সালাহউদ্দিন আহমেদ আয়োজিত মানববন্ধনে জনস্রোতের সৃষ্টি হয়েছে। রোববার বিকেল তিনটায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। বেলা তিনটায় মানববন্ধন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তিনটার আগেই প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তা কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে যায় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠন এর নেতাকর্মী দিয়ে।

এসময় মানববন্ধনে অংশ নেয়া কয়েক হাজার বিএনপি নেতাকর্মী রাস্তায় দাঁড়িয়ে বিভিন্ন প্রকার সরকার বিরোধী স্লোগানে পুরো এলাকা প্রকম্পিত করে তোলেন। স্লোগানে স্লোগানে তারা সরকার ও নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ দাবি করে পুঃননির্বাচনের আহ্বান জানান। এসময় পল্টন থেকে জাতীয় প্রেসক্লাব হয়ে শাহাবাগ গামী যানবাহনগুলো কিছু সময় যানজটে পড়ে।

বিএনপির প্রার্থী সালাউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, ঢাকা মহানগর দক্ষিন বিএনপির সাধারন সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারন সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল প্রমুখ।

মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল বলেন, দেশে নাকি আইন হয়েছে ধর্ষণ করলে মৃত্যুদণ্ড কিন্তু যারা দি‌নের ভোট রাত্রে করে অবৈধভাবে একটি দলকে ক্ষমতায় বসিয়েছে। যার কারণে দেশে আজ খুন রাহাজানি, আমাদের মা বোনরা ধর্ষিত হচ্ছে তাদের বিচার কি হবে না? তাদেরও ফাঁসি হতে হবে।

এসময় সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আজকে এই সভা থেকে স্পষ্টভাবে বলতে চাই বাংলাদেশের মানুষ এখন আর ঘরে বসে থাকবে না। যেভাবে সন্ত্রাস, রাহাজানি, নারী নির্যাতন হচ্ছে সেটা মেনে নেয়া যায় না। কাজেই এই সরকারের পতন ছাড়া বিকল্প কোন পথ নাই। ঢাকা-৫ এর উপনির্বাচন এর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই নির্বাচন ছিল একটি প্রহসনের নির্বাচন। ভোটাররা কেউ যায়নি। কোনো পোলিং এজেন্ট ছিল না। সবাইকে মারধর করে বের করে দেয়া হয়েছে। কোনো জনগণ ভোট দিতে যায়নি। তাহলে এই অবৈধ সরকার এবং অবৈধ নির্বাচন কমিশন কোথা থেকে এই ভোট দিল? তাই আমি আবারো এই অবৈধ সরকারের পদত্যাগ এবং এই অবৈধ নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ দাবি করছি।