Minar Rashid
এ দেশে কোটি কোটি টাকা খরচ করা হয় গিনেস বুক অব রেকর্ডসে শুধুমাত্র নামটি ওঠানোর
জন্য। আমাদের বুকের মাঝে কতখানি দেশপ্রেম রয়েছে তা ঠিকঠাক মতো প্রদর্শনের জন্য কোটি
কোটি টাকার প্রয়োজন পড়ে। আমরা যে কিছিমের দেশপ্রেমের রেকর্ড গড়ি সেই রেকর্ড ভাঙার
জন্য আমেরিকা, ফ্রান্স, ব্রিটেনের মতো কোনো প্রজ্ঞাবান জাতি কখনই এগিয়ে আসে না। কোটি
কোটি টাকা খরচ করে আমরা বৃহত্তম মানবপতাকার যে রেকর্ড গড়েছিলাম, তা নাকি আবার
পাকিস্তান পুনরুদ্ধার করে নিয়েছে। বাইরে যাই দেখাই না কেন, ভেতরের মিলটি সত্যিই অবাক
করার মতো!
সেই বিবেচনায় বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে খানিকটা বুদ্ধিমানই মনে হয়। মেরুদণ্ড আছে কি
নেই তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করলেও তাদের বুদ্ধি নিয়ে একই সন্দেহ পোষণ করা যাবে না।
কারণ কোনোরূপ খরচ ছাড়াই এই কমিশন অনেক বিশ্বরেকর্ড এই জাতিকে উপহার দিয়েছে।
একটি ব্যালট পেপারে সিল না দিয়েও সরকার গঠনের মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা এই পৃথিবীর অন্য
কোনো নির্বাচন কমিশন তাদের ঝুলিতে ভরতে পারেনি। মাত্র চার বছর বয়সে তিন তিনটি ভোট
দেয়ার সৌভাগ্য হয়েছে এই দেশের একটি শিশুর। পৃথিবীর অন্য কোনো শিশুর কপালে
জোটেনি। প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কন বেঁচে থাকলে এই শিশুটিকে ডেকে নিয়ে অনেক অনেক
আদর করতেন। এই শিশুটির নাম দিতেন ‘ভোট শিশু’।
পৃথিবীর কোনো দেশের পূর্ণবয়স্ক ভোটাররা ভোট দিতে গিয়ে গণহারে জন্মদাতা পিতাদের নাম
ভুলে যায়নি। জাদুকর পিসি সরকার ভেলকি দিয়ে যেমন সারা দেশের ঘড়ির সময় বদলে
ফেলেছিল তেমনি সরকারের ভেলকিতে ডিজিটাল ভোটাররা জন্মদাতা পিতার নাম ভুলে গেছে।
পিসি সরকারের মতো এই ভেলকি এ সরকারের একটি অনন্য রেকর্ড হয়ে থাকবে।
বুদ্ধিমান রকীব সাহেব সাংবাদিকদের নির্বাচন কেন্দ্রে বেশিক্ষণ না থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
জাতি তার সেই পরামর্শের মাহাত্ম্য এখন ঠিকভাবে মালুম করতে পেরেছে। পিচকি পিচকি
সাংবাদিকদের কেউ কেউ সেই নির্দেশটি অমান্য করলেও বাঘা বাঘা সাংবাদিকেরা রকীব
সাহেবের মনোবাঞ্ছা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছেন। উভয়লিঙ্গের বিরোধীদলীয় নেত্রী ঠিকই
ঠাহর করেছেন, দেশে বেকার সমস্যার কারণেই এই বিচ্ছুর বাচ্চাদের (তার দৃষ্টিতে) সংখ্যা
মারাত্মকভাবে বেড়ে গেছে।
তবে বিপন্ন মানবতার উদ্ধারকারী হিসেবে সামনে উপস্থিত হয়েছে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ
মাধ্যম। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম শুধু নির্বাচন কমিশনকেই উলঙ্গ করেনি, তার অন্যতম
প্রশ্রয়দাতা এসব মিডিয়াকেও ন্যাংটা করে ছেড়েছে ও ছাড়বে।
যেই প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া কথিত অপরাধ সংঘটনের আগেই বিচারপতি এম এ আজিজের
প্রতি ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সেই একই মিডিয়া পরপর কয়েকবার (সারা পৃথিবীর বিস্ময় রকীব কর্তৃক)
এমন রেকর্ড সৃষ্টি করার পরও মুখে কুলুপ এঁটে বসেছে! অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার পথিকৃৎ
দাবিদার একটি প্রথম শ্রেণীর পত্রিকার নির্বাচনসংক্রান্ত রিপোর্টটি দেখলে সত্যি মায়া হয়।
রিপোর্টের শিরোনামসহ সব লাইন বিএনপি অমুক অভিযোগ করেছে, তমুক আপত্তি জানিয়েছে
এই গোছের বাক্য দিয়ে গঠিত। কিন্তু নিজেদের অনুসন্ধানে কি জিনিসটি বেরিয়ে এসেছে, তা
নিয়ে একটা লাইনও তারা যোগ করেনি। নির্বাচন নিয়ে সিইসির সন্তুষ্টির কথাটিও এসব মিডিয়া
অত্যন্ত সন্তুষ্টিসহকারে প্রকাশ করেছে।
সদ্যসমাপ্ত পৌরসভা নির্বাচনের মাধ্যমে স্পষ্টভাবে প্রমাণ হয়ে পড়েছে যে বর্তমান সরকার ও
তাদের তল্পিবাহক নির্বাচন কমিশনের অধীনে এ দেশে আর কোনো সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন সম্ভব
হবে না। এত দিন যারা এই মোহে আটকা ছিলেন তাদের সেই মোহও ভেঙে গেছে। এই মুহূর্তে
বিরোধী দল তথা বিএনপির জন্য বোধহয় নগদ লাভ এটাই হয়েছে।
সরকার ও সরকার সমর্থক টিয়াপাখিতুল্য মিডিয়ার প্রচারণায় বিভ্রান্ত হয়ে বিএনপির একটা
অংশও বিশ্বাস করা শুরু করেছিল যে, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে বিশদলীয় জোট
মারাত্মক ভুল করেছে। আজ স্পষ্ট হয়েছে যে সেই নির্বাচনে অংশ নিলে বিশেষ ভেলকির মাধ্যমে
এরশাদের জাতীয় পার্টিকে প্রধান বিরোধী দল বানিয়ে বিএনপি জোটকে সর্বোচ্চ আট থেকে
১০টি আসন ধরিয়ে দেয়া হতো। ২০০৮,-এর নির্বাচন নিয়ে এ ধরনের সুখস্বপ্ন ও সক্ষমতার
কথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখ থেকেই বেরিয়ে এসেছিল, ‘আমরা ইচ্ছা করলেই এরশাদকে
বিরোধীদলীয় নেতা বানাতে পারতাম। বিশ্বাস করুন, একটু ইচ্ছা করলেই পারতাম।’
পৌরসভা নির্বাচনের পর দিবালোকের মতো স্পষ্ট হয়ে পড়েছে যে, শেখ হাসিনার অধীনে
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ নিলে ফলাফলটি কেমন হতো। আজকে সরকারের
ওপর অবৈধতার যে মনস্তাত্ত্বিক চাপটি রয়েছে, তখন সেটি আর থাকত না।
কাজেই অত্যন্ত দুর্বল ঈমান তথা হালকা রাজনৈতিক প্রজ্ঞার অধিকারী বিএনপির এই অংশটির
প্রয়োজনীয় বোধটি এই নির্বাচনের মাধ্যমে ফিরে এসেছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। পৌরসভা
নির্বাচনে অংশ নেয়ার মাধ্যমে বিএনপি নেত্রী এ কথাটি তার পার্টির অনেককে চোখে আঙুল
দিয়ে দেখাতে পারবেন।
সর্বশক্তি নিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়া ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই এই
ধারণাটি এখন দেশের সব পক্ষের মধ্যেই নতুন করে সঞ্চারিত হয়েছে। নতুন প্রজন্ম একদলীয়
বাকশালের রূপটি আরেকটু খোলাসাভাবে দেখতে পেরেছে। গণতান্ত্রিক বিশ্বও এই সরকারের
আসল চেহারাটি চিনতে পেরেছে। এককথায় এই সরকারের নৈতিক ভিত্তি তলায় নেমে এসেছে।
এমতাবস্থায় বিশদলীয় জোট নেতৃত্বের একমাত্র দাবি হবে, জাতিসঙ্ঘের তত্ত্বাবধানে অতি
শিগগিরই একটি সাধারণ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। কোনোরূপ অস্পষ্টতা না রেখে সুস্পষ্ট
উচ্চারণে এই দাবিটি তোলা দরকার। বর্তমান সরকার দেশের প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনকে
এমনভাবে ধ্বংস করে ফেলেছে যে দেশের ভেতরের কোনো শক্তি বা গোষ্ঠী দিয়ে এই কাজটি
আর সম্ভব হবে না। এ দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হলে জাতিসঙ্ঘের তত্ত্বাবধানে নির্বাচন
অনুষ্ঠান ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প হাতে নেই। স্বামী স্ত্রী যখন নিজেদের মধ্যকার দাম্পত্য
সমস্যা নিজেরা সমাধান করতে পারে না, তখন বাইরের কোনো সুহৃদের সাহায্য অনিবার্য হয়ে
পড়ে। ওই দম্পতির ছেলেমেয়ের জন্য বিষয়টি যেমন জরুরি, এ দেশের ১৬ কোটি মানুষের জন্য
বিষয়টি তার চেয়েও বেশি জরুরি হয়ে পড়েছে।
একটা বিশেষ মতলব থেকে আগে থেকেই দেশের নিরপেক্ষ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিকলাঙ্গ
করে ফেলা হয়েছে।
হয় আমার দলে, না হয় তার দলে- এ ধরনের বুশীয় উন্মাদনায় দেশের সব নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান
ও ব্যক্তিত্বকে সমূলে বিনাশ করা হয়েছে। সব পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তির সংখ্যা এ দেশে
মারাত্মকভাবে কমে গেছে। এই ঘরানার যে কয়জন অবশিষ্ট ছিলেন তাদেরও ‘মুই কার খালু’
বানিয়ে রাখা হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাটিকেও অতি চালাকির মাধ্যমে বিতর্কিত করে
ফেলা হয়েছে। এই ব্যবস্থাটি আবার ফিরিয়ে এনে কতটুকু কার্যকর করা যাবে তা নিয়েও সন্দেহ
দেখা দিয়েছে। দেশের গণমাধ্যমগুলোও মারাত্মকভাবে একপেশে হয়ে পড়েছে। এরা কখনো
তিলকে তাল বানায়, আবার কখনো আস্ত তিলকেই ভ্যানিশ করে দেয়। কাজেই সবকিছু
বিবেচনায় আগামী পাঁচটি সাধারণ নির্বাচন এই জাতিসঙ্ঘের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত হওয়া দরকার।
বিএনপি জোটকে শুধু সামনের একটা নির্বাচনের দাবি নয়, পরপর পাঁচটি সাধারণ নির্বাচন
জাতিসঙ্ঘের আওতায় অনুষ্ঠানের দাবি নিয়ে জনগণের সম্মুখে উপস্থিত হওয়া দরকার। তখন
স্পষ্ট হবে এটা শুধু নিজেদের ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়, দেশ ও দেশের গণতন্ত্রকে রক্ষা করার
জন্যই এই দাবিটি তোলা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো যে পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে
তাতে সামনের পাঁচটি সাধারণ নির্বাচন জাতিসঙ্ঘের তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠিত হলে আমাদের রাষ্ট্রীয়
প্রতিষ্ঠানগুলো কাক্সিক্ষত একটা জায়গায় ফিরে আসবে বলে অনুমিত হয়। জনগণের সার্বিক
সচেতনতায় তখন জবাবদিহিতার একটা কালচারও সমাজ ও প্রশাসনের সর্বস্তরে গড়ে উঠবে।
আমাদের সেনাবাহিনী জাতিসঙ্ঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীতে সুনাম ও দক্ষতার সাথে কাজ করছে।
অন্যান্য দেশ থেকে কিছু পর্যবেক্ষক রেখে বাদবাকি জায়গায় আমাদের সেনাবাহিনীর প্রয়োজনীয়
সংখ্যক সদস্যের ব্যবহারের মাধ্যমে এই কাজটি সহজেই করতে পারে জাতিসঙ্ঘ।
এই দেশটি একটি কলিসন কোর্সে রয়েছে। আমরা এখনই যদি একটা কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না
করি তবে নির্দিষ্ট সময় পরে একটা মারাত্মক বিস্ফোরণ বা সঙ্ঘাতের সৃষ্টি হবে। আমাদের এই
প্রিয় মাতৃভূমিটিও হয়ে পড়বে ইরাক, আফগানিস্তান বা সিরিয়ার মতো কিংবা তার চেয়েও ভয়ঙ্কর
কোনো জায়গা। গণতন্ত্রের স্বাভাবিক পথে যদি জনগণের ক্ষোভ, হতাশা, আকাক্সক্ষা, ইচ্ছা,
অনুভূতি প্রভৃতিকে প্রবাহিত করা না যায় তবে এ ধরনের বিস্ফোরণ অনিবার্য। গণতন্ত্রহীনতা
মধ্যপ্রাচ্যের এসব দেশকে কোন পর্যায়ে নিয়ে গেছে, আমরা তা নিজের চোখে দেখছি। আবার
গণতন্ত্রের কল্যাণে পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলোতে যে সামাজিক ও আর্থিক উন্নতি হয়েছে তাও
আমাদের চোখে পড়ছে।
বর্তমানে যে রাজনৈতিক বিশ্বাসই ধারণ করি না কেন, তখন আমরা কেউ এর পরিণাম থেকে
আত্মরক্ষা করতে পারব না। একবার ওই পর্যায়ে চলে গেলে সেখান থেকে শত চেষ্টা করেও আর
ফিরে আসতে পারব না। কাজেই যা করার এখনই সময়।
এ দেশের একজন নগণ্য নাগরিক হিসেবে সবার কাছে নিবেদন, আসুন সময় থাকতে সবাই
সজাগ হই। সময়ের এক ফোঁড়, অসময়ের ১০ ফোঁড়ের সমান। একদিন আওয়ামী লীগ,
বিএনপি, জামায়াত, জাতীয় পার্টি নামে কোনো দল হয়তোবা এ দেশে থাকবে না। কিন্তু এই
দেশটিকে টিকে থাকতে হবে। আমার আপনার সামান্য ক্ষোভ, হতাশা, লোভ যেন ১৬ কোটি
আত্মা এবং তাদের আগত প্রজন্মকে মারাত্মক বিপদে না ফেলে। আজকে যে মহাপরাক্রমশালী
পুলিশ বা আর্মি অফিসার আছেন, আগামী দিন হয়তোবা তারই কোনো রক্তের উত্তরসূরি
ইরাক-সিরিয়ার অসহায় নারী ও শিশুর মতো বোমা বা গোলার আঘাতে জর্জরিত হবে। আমার
আপনার রক্তের উত্তরসূরির কান্নায় বাংলার আকাশ-বাতাস মুখরিত হবে। কোনো সম্মিলিত
বাহিনীর স্মার্টবোমা যত স্মার্ট হোক, তখন আওয়ামী লীগ আর বিএনপির উত্তরসূরি বা ঘরবাড়ির
মধ্যে পার্থক্য করতে পারবে না।
আমাদের মানতে হবে যে, এই দেশটি যেমন আওয়ামী লীগের, তেমনিভাবে এই দেশটি
বিএনপির, এই দেশটি জামায়াতের, এই দেশটি অন্য সবার। এদের কাউকেই এই দেশ থেকে
বের করে দেয়া সম্ভব হবে না। এমনকি জামায়াতের যে জনসংখ্যা রয়েছে তা শ্রীলঙ্কার মতো
দেশের সর্বসাকুল্য জনসংখ্যার সমান। এসব মানুষকে মেরে ফেলা সম্ভব হবে না। সবাইকে
নিয়েই এই দেশটিতে থাকতে হবে। সবাইকে নিয়ে থাকার ফর্মুলা বের করতে হবে। কোনো ক্রুদ্ধ
রাজনৈতিক বা ধর্মীয় আদর্শ দিয়ে বিরোধী শক্তিকে নির্মূল করা সম্ভব হবে না। তা করতে গিয়ে
শুধু এই সোনার দেশটিকে জাহান্নাম বানিয়ে রাখা সম্ভব হবে।
এ ধরনের সর্বনাশা পরিণতি থেকে জাতিকে রক্ষা করতে দেশের বিবেকবান ও সচেতন অংশকে
এগিয়ে আসতে হবে। এ জন্য জাতিসঙ্ঘের অধীনে আগামী পাঁচটি সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের
দাবি তুলতে হবে। এ দেশের শিক্ষক, সাংবাদিক, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, ব্যাংকারসহ সবাইকে
নিজ নিজ জায়গা থেকে এই দাবির পক্ষে জনমত গড়ে তুলতে হবে। বর্তমান সময় ও বাস্তবতার
প্রেক্ষাপটে এর কোনো বিকল্প নেই।