১১ পণ্য আমদানিতে ৯০ দিনে বিল পরিশোধের সুযোগ

আসন্ন পবিত্র রমজানের আগে অত্যাবশ্যকীয় চাল, গম, পেঁয়াজ, ডাল, ভোজ্যতেল, চিনি, ডিম, ছোলা, মটর, মসলা ও খেজুর—এই ১১ পণ্যের নিরাপদ মজুত গড়ায় সহায়ক উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ লক্ষ্যে পণ্যগুলো আমদানিতে সাপ্লায়ার্স-বায়ার্স ক্রেডিটের আওতায় বিলম্ব বিল লেনদেন সম্পন্নের পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে পরিশোধের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

গতকাল এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে। এ নির্দেশনা প্রতিপালনে দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছেও বাংলাদেশ ব্যাংক চিঠি পাঠিয়ে অবহিত করেছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আমদানি লেনদেন সহজ করার লক্ষ্যে চলতি বছরের ৩১ মার্চ আমদানি করা পণ্যের বিল পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে পরিশোধ করা যাবে। যেসব পণ্য আগে আমদানি করা হয়েছে, সেগুলোর ক্ষেত্রেও পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে বিল পরিশোধের শর্ত কার্যকর হবে।

প্রসঙ্গত, ৬ নভেম্বর পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে আগে ১০০ শতাংশ মার্জিন বা জামানত মূল্য রাখার নির্দেশ শিথিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন সেই মার্জিন নির্ধারণ করা হবে গ্রাহক-ব্যাংক সম্পর্কের ভিত্তিতে।

জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, রমজান উপলক্ষে ভোগ্যপণ্যের চাহিদা বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনায় ওই পণ্যগুলোর আমদানি সহজীকরণের মাধ্যমে মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে এই উদ্যোগ। এর ফলে উল্লিখিত পণ্যের আমদানি ঋণপত্র স্থাপনের ক্ষেত্রে সংরক্ষিতব্য নগদ মার্জিনের হার ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ন্যূনতম পর্যায়ে রাখার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হলো। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, অভ্যন্তরীণ বাজারে এসব পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করতে আমদানি ঋণপত্র স্থাপনে এই অগ্রাধিকার নির্দেশনা ২০২৫ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

খাত সংশ্লিষ্টদের মতে, এলসি মার্জিন শিথিল করার কারণে আমদানিকারকদের নগদ টাকা কম লাগবে। এতে আমদানির খরচও কম হবে। ফলে এ সুবিধার কারণে বাজারে এসব পণ্যের দাম কিছুটা হলেও কমার কথা। ডলার-সংকটে সাম্প্রতিক সময়ে এসব পণ্যের এলসি খোলা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। ফলে ডাল, ভোজ্যতেল, ছোলা, খেজুরসহ বিভিন্ন ফলের এলসি খুলতে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন ব্যবসায়ীরা। আগামী রোজায় প্রয়োজনীয় পণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

Ajker Patrika