নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) বাস্তবায়নের বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের বিবৃতি প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত। এটিকে ‘ভুল তথ্য’ এবং ‘অযৌক্তিক’ বলে অভিহিত করেছে তারা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছিলো সিএএ-এর ভারতের বাস্তবায়নের বিষয়টি তারা ‘নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে’। এ প্রসঙ্গে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল একটি মিডিয়া ব্রিফিংয়ে বলেছেন, “ভারতের সংবিধান তার সকল নাগরিকের ধর্মের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেয়। সংখ্যালঘুদের নিয়ে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।দুর্দশাগ্রস্তদের সাহায্য করার জন্য একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগকে ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতির দ্বারা নির্ধারণ করা উচিত নয়।’
তিনি মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারের বিবৃতিতে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছিলেন যে ওয়াশিংটন ভারতে সিএএ নিয়মের বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কে উদ্বিগ্ন এবং আইনটির বাস্তবায়ন নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। একটি তীক্ষ্ণ প্রতিক্রিয়ায় ভারতীয় মুখপাত্র আরও বলেছেন, ভারতের বহুত্ববাদী ঐতিহ্য এবং এই অঞ্চলের বিভাজন-পরবর্তী ইতিহাস সম্পর্কে যাদের সীমিত ধারণা রয়েছে তাদের বক্তৃতা দেওয়া উচিত নয়। ভারতের অংশীদার এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের এই পদক্ষেপের অভিপ্রায়কে স্বাগত জানানো উচিত।”
বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, সিএএ ভারতের একটি অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং এটি ভারতের অন্তর্ভুক্তিমূলক ঐতিহ্য এবং মানবাধিকারের প্রতি দীর্ঘস্থায়ী প্রতিশ্রুতি মেনে চলছে। এই আইনটি আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের নিরাপদ আশ্রয় দেয় যারা ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ বা তার আগে ভারতে প্রবেশ করেছে।
মুখপাত্র বলেন, সিএএ নাগরিকত্ব দেয়ার বিষয়ে, নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়ার বিষয়ে নয়। এটি রাষ্ট্রহীনতার সমস্যা সমাধান করে, মানবিক মর্যাদা প্রদান করে এবং মানবাধিকারকে সমর্থন করে।
সূত্র : মানব জমিন