সুপার টুয়েলভে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪ নম্বরে নেমে ৩৭ বলে ৫৭ রানের ইনিংস খেলেছেন মুশফিক। সাম্প্রতিক সময়ের সমালোচনা নিয়ে ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন করা হলে শুরুতে তেমন গায়ে মাখেননি বলেই মনে হয়েছিল, ‘মাঠের বাইরে কী কথা হচ্ছে? এমন কথা তো হবেই। ভালো করলে তালি দেবে, খারাপ করলে গালি দেবে। আমি ১৬ বছর ধরে খেলছি, আমার জন্য এসব নতুন কিছু না। আমার কাছে এসব খুবই স্বাভাবিক মনে হয়।’
তবে এরপরই সমালোচকদের পরামর্শটা দিয়েছেন তিনি, ‘আর যাঁরাই এমন কথা বলেন, তাঁদের নিজেদের মুখটা একটু আয়নায় দেখা উচিত। কারণ, তাঁরা বাংলাদেশের হয়ে খেলে না, আমরাই খেলি। শুধু আমি না, ১৬ বছর ধরে যাঁরা খেলছেন কিংবা তারও আগে থেকে, যাঁরা টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার আগেও খেলেছেন, সবাই কিছু করার চেষ্টা করেছেন। কোনো দিন হয়, কোনো দিন হয় না। তবে দিনের শেষে আমরা দেশের প্রতিনিধিত্ব করি, আমাদের কাছে সবচেয়ে গর্বের বিষয় এটিই।’
যে পজিশনে ব্যাটিং করেন, সেখানে ধারাবাহিক খেলাটা এ সংস্করণে কঠিন বলেই মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি, ‘টি-টোয়েন্টিতে ধারাবাহিকভাবে রান করে যাওয়াটা সহজ নয়। হয়তো শুরুতে শীর্ষ তিনের ব্যাটসম্যানরা সময় পান। ইনিংস পুনর্গঠনের সময় পাওয়া যায়, এরপর সুযোগ নেওয়া যায়। তবে আমরা যারা চার-পাঁচ-ছয়ে খেলে থাকি, আমাদের ধারাবাহিক রান করে যাওয়া…আপনি একজনও দেখাতে পারবেন, যে কিনা এখানে ধারাবাহিকভাবে রান করে।’
সবার প্রতিদিন এক রকম যায় না, মুশফিক মনে করিয়েছেন সেটাও, ‘উত্থান-পতন থাকেই। তবে আমাদের নিশ্চিত করতে হবে, কন্ডিশনের বিচারে ওই দিন যার ভালো অবস্থা, তার ইনিংসটা যেন বড় হয়। আজ নাঈম যেমন করেছে। অমন হলে সে ইনিংসটা, এমনকি সেঞ্চুরি পর্যন্ত টানতে হবে। এটা একেক দিন একেকজন করতে পারে, আজ যেমন নাঈম খেলেছে। একজনের ওপরই দল ভরসা করে থাকবে, সেটা হয় না। যার দিন থাকবে, সেটি যেন কাজে লাগানোর চেষ্টা করি।’
তবে সমালোচনা যে তাঁকে তাতিয়ে দিয়েছে, সেটা ঠিকই বলেছেন মুশফিক, ‘এ সংস্করণটা এমনই। দলের জন্য বিভিন্ন পজিশনেও খেলতে হয়। আমি কাইরন পোলার্ডের মতো না যে ২-৩ বল পেলেই মারব। আমারও একটু সময় লাগে। তবে আমারও শক্তির জায়গা আছে, দুর্বলতার জায়গাও আছে। তবে কয়েকটা ম্যাচ হয়তো খারাপ গেছে একটু, তবে কথা শুনে মনে হচ্ছে, পাঁচ-ছয় বছর ধরে রান করি না। এটাও আমাকে বাড়তি উজ্জীবিত করেছে। আজ ভেবেছিলাম, যত বেশি রান করতে পারি। সেটা ১০ কিংবা ৮০ রান, যা-ই হোক না কেন।’