স্কোয়াড ২৬ জনের। এই কজন খেলোয়াড়ের মধ্য থেকেই ম্যাচ শুরুর একাদশ বেছে নেন কোচ। কিন্তু কাল পর্তুগালের শীর্ষ লিগে বেনফিকার বিপক্ষে বেলেনেসেস খেলোয়াড়ের তালিকা দিয়েছে মাত্র ৯ জনের। মাঠেও নেমেছেন মাত্র ৯ জন খেলোয়াড়!
খেলোয়াড়ের তালিকা দেখে এবং ম্যাচ শুরুর পর বেনফিকার ১১ জনের বিপক্ষে বেলেনেসেসকে ৯ জন নিয়ে খেলতে দেখে অনেকেই হয়তো অবাক হয়েছেন। কিন্তু কাউকে অবাক করার জন্য এ কাজ করেননি বেলেনেসেসের কোচ। তাঁর যে উপায়ই ছিল না। ২৬ জনের স্কোয়াড থেকে করোনার কারণে ১৭ জনই ছিটকে পড়েছেন।
বেলেনেসেসের ৯ জন খেলোয়াড়ের মধ্য আবার দুজন ছিলেন গোলকিপার। তাঁদের একজন দাঁড়িয়েছেন গোলবারের নিচে, আরেকজন রক্ষণে। এমন ম্যাচে যা হওয়ার তা–ই হয়েছে—প্রথমার্ধেই ৭-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে বেলেনেসেস! প্রথম গোলটি হয়েছে আত্মঘাতী। ম্যাচের প্রথম মিনিটে সেটি করেছেন রক্ষণে দাঁড়ানো ব্রাজিলিয়ান গোলকিপার এদুয়ার্দো সান্তোস।
নির্ধারিত সময়ের চেয়ে একটু বেশি সময় বিরতি দিয়েছেন রেফারি। লম্বা বিরতি কাটিয়ে বেলেনেসেস যখন মাঠে নামে, তাদের খেলোয়াড়ের সংখ্যা আরও কমে গিয়ে হয় সাত। চোটের কারণে মাঠে নামতে পারেননি ওই দুজন।
ম্যাচের অবস্থা যখন এই, ম্যানচেস্টার সিটির পর্তুগিজ মিডফিল্ডার বের্নার্দো সিলভা একটি টুইট করেন। সেখানে তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘এটা কী হচ্ছে? ম্যাচটা কেন বাতিল করা হচ্ছে না, সেটা কি আমি একাই বুঝতে পারছি না?’
বিরতি কাটিয়ে মাঠে নামার পর অবশ্য পরিস্থিতি আরও বাজে আকার ধারণ করে। ম্যাচের ৩৮ মিনিটে ফাউলের শিকার হয়ে মাঠে পড়ে যান বেলেনেসেসের এক খেলোয়াড়। চোটের কারণে উঠে দাঁড়াতে পারছিলেন না তিনি। ঠিক সেই সময়ে রেফারি খেলা বন্ধ করে দেন। পরে ম্যাচটি বাতিল ঘোষণা করা হয়। কারণ, নিয়ম অনুযায়ী, কোনো দলে কমপক্ষে সাতজন খেলোয়াড় মাঠে না থাকলে খেলা হতে পারে না।
এমন একটি অসম ম্যাচে যা হতে পারে, কাল ঠিক তা–ই হয়েছে। ম্যাচে বেনফিকার বল দখল ছিল ৮৫ শতাংশ। বলের পেছনে ছুটতে ছুটতে খাবি খেয়েছেন বেলেনেসেসের খেলোয়াড়েরা। তাঁদের ক্লান্তির কথা ভেবেই বিরতির সময় বাড়ানো হয়েছে।
মাত্র ৯ জন খেলোয়াড় নিয়ে ম্যাচ খেলতে হবে—এটা জানার পরই অবশ্য বেলেনেসেসের সব খেলোয়াড় মিলে একটি বিবৃতি দিয়েছিলেন। সেখানে তাঁরা লিখেছেন, ‘একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকলেই ফুটবলে প্রাণ থাকে। একমাত্র ক্রীড়াসুলভ হলেই ফুটবলে প্রাণ থাকে। একমাত্র গণমানুষের স্বাস্থ্যের উদাহরণ হতে পারলেই ফুটবলে প্রাণ থাকে। আজ ফুটবল তার প্রাণ হারিয়েছে।’